সৌগত বসু, ঢাকা
দেশে দক্ষ যানবাহন চালকের সংকট কাটাতে ২০১৯ সালে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বাস-ট্রাকের ৩ লাখ চালককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) মাধ্যমে। তবে চার বছরেও সেটি অনুমোদনই পায়নি। প্রকল্প সংশোধন করে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চালকের সংখ্যা অর্ধেকে নামানো হয়েছে। এক দফা সংশোধন করে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার আপত্তি ওঠে। এখন দ্বিতীয় দফা সংশোধনের কাজ চলছে। ফলে বাস্তবায়ন কবে শুরু হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। বিআরটিসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ৩ লাখ বাস-ট্রাকচালককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্পটি নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। ‘ভারী যানবাহন চালক তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তখন বলা হয়েছিল, বিআরটিসির নিজস্ব ট্রেনিং কেন্দ্রসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের প্রথম মডিউল ধরা হয়েছিল দুই সপ্তাহের এবং দ্বিতীয় মডিউল চার সপ্তাহের। এতে যথাক্রমে ২ লাখ ও ১ লাখ চালকের অংশ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অক্টোবর ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে প্রশ্ন ওঠে। পরে প্রকল্পে চালকের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজারে নামানো হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩ লাখ প্রশিক্ষণের প্রকল্প থেকে এখন এটির সংখ্যা কমে ১ লাখ ৫৭ হাজার হয়েছে। এটা অনেক বড় প্রকল্প। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ফেরত এসেছে। এটি আরও সংশোধন করতে হবে। তবে কবে এটি কমিশনে যাবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।
জানা যায়, প্রথমে ৯৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রকল্পে খাওয়া ও হাতখরচ ধরা হয়েছিল ৩৮৪ কোটি টাকা। আর প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে সেটি আবার সংশোধনের কাজ শুরু করে বিআরটিসি।
এই প্রকল্পের আওতায় চালকদের প্রশিক্ষণের সময়সীমা দুই সপ্তাহ ও চার সপ্তাহ। যাঁরা হালকা যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাঁদের হালকা যানবাহনের লাইসেন্স আছে, হালকা যানবাহন চালাচ্ছেন, কিন্তু ভারী গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক, তাঁদের চার সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর ন্যূনতম ৬০ হাজার দক্ষ চালক তৈরি করাই লক্ষ্য। তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমটি দেরি হওয়ায় তাঁরা আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সেটিও চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার। তবে সেখানে চালকের সংখ্যা অনেক কম। এ ছাড়া ‘নিরাপদ সড়ক’ নামে আরও একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, যেটি জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানায়, প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য গড়ে দেড়জন চালক দরকার। তবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য দুজন করে চালক থাকার কথা। সে হিসাবে বর্তমানে চলমান ভারী যানবাহনের জন্য ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬০ জন চালকের ঘাটতি আছে।
জানা যায়, ৫০ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি হালকা যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য।
এ বিষয়ে বিআরটিসির পরিকল্পনা বিভাগের উপমহাপরিচালক (ডিজিএম) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ১৪ হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটিও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে।
দেশে দক্ষ যানবাহন চালকের সংকট কাটাতে ২০১৯ সালে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বাস-ট্রাকের ৩ লাখ চালককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) মাধ্যমে। তবে চার বছরেও সেটি অনুমোদনই পায়নি। প্রকল্প সংশোধন করে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চালকের সংখ্যা অর্ধেকে নামানো হয়েছে। এক দফা সংশোধন করে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে আবার আপত্তি ওঠে। এখন দ্বিতীয় দফা সংশোধনের কাজ চলছে। ফলে বাস্তবায়ন কবে শুরু হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। বিআরটিসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ৩ লাখ বাস-ট্রাকচালককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্পটি নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। ‘ভারী যানবাহন চালক তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তখন বলা হয়েছিল, বিআরটিসির নিজস্ব ট্রেনিং কেন্দ্রসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের প্রথম মডিউল ধরা হয়েছিল দুই সপ্তাহের এবং দ্বিতীয় মডিউল চার সপ্তাহের। এতে যথাক্রমে ২ লাখ ও ১ লাখ চালকের অংশ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অক্টোবর ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে প্রশ্ন ওঠে। পরে প্রকল্পে চালকের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজারে নামানো হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩ লাখ প্রশিক্ষণের প্রকল্প থেকে এখন এটির সংখ্যা কমে ১ লাখ ৫৭ হাজার হয়েছে। এটা অনেক বড় প্রকল্প। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ফেরত এসেছে। এটি আরও সংশোধন করতে হবে। তবে কবে এটি কমিশনে যাবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।
জানা যায়, প্রথমে ৯৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রকল্পে খাওয়া ও হাতখরচ ধরা হয়েছিল ৩৮৪ কোটি টাকা। আর প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে সেটি আবার সংশোধনের কাজ শুরু করে বিআরটিসি।
এই প্রকল্পের আওতায় চালকদের প্রশিক্ষণের সময়সীমা দুই সপ্তাহ ও চার সপ্তাহ। যাঁরা হালকা যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাঁদের হালকা যানবাহনের লাইসেন্স আছে, হালকা যানবাহন চালাচ্ছেন, কিন্তু ভারী গাড়ি চালাতে ইচ্ছুক, তাঁদের চার সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর ন্যূনতম ৬০ হাজার দক্ষ চালক তৈরি করাই লক্ষ্য। তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমটি দেরি হওয়ায় তাঁরা আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। সেটিও চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার। তবে সেখানে চালকের সংখ্যা অনেক কম। এ ছাড়া ‘নিরাপদ সড়ক’ নামে আরও একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, যেটি জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানায়, প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য গড়ে দেড়জন চালক দরকার। তবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য দুজন করে চালক থাকার কথা। সে হিসাবে বর্তমানে চলমান ভারী যানবাহনের জন্য ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬০ জন চালকের ঘাটতি আছে।
জানা যায়, ৫০ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি হালকা যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য।
এ বিষয়ে বিআরটিসির পরিকল্পনা বিভাগের উপমহাপরিচালক (ডিজিএম) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ১৪ হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটিও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে