রুদ্র রুহান, বরগুনা
জনবল নিয়োগ-সংক্রান্ত জটিলতা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না হওয়ায় উদ্বোধনের ৪ বছরেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনবল ও চিকিৎসাসামগ্রী চেয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালি করেও সাড়া মিলছে না।
বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের টানাটানিতেই এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালটিকে ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১০ সালে হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে নতুন ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগ ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে সাততলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করে। ৩০ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তরের কথা থাকলেও ৯ বছর পর ২০২১ সালের জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসক,
নার্স, টেকনোলজিস্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৫১টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কথা; কিন্তু উদ্বোধনের চার বছরেও এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুই হয়নি; বরং নিয়োগ কারা দেবেন, এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে টানাটানি চলছে।
জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘১০০ শয্যার হাসপাতালের দুই-তৃতীয়াংশ জনবল নেই। এটা নিয়েও আমরা আন্দোলন করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকির অভাব ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ৩০ মাসের কাজ ৯ বছরে শেষ করে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হয়েছে। চার বছর হলো উদ্বোধন হয়েছে। এখন আবার জনবল নিয়োগ নিয়ে টানাটানি করছে।’
বরগুনার সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জটিলতা চলছে। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় উভয়েই জনবল নিয়োগ দিতে চায়। দুই দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে টানাটানির কারণে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হাসপাতালটি আমরা চালু করতে পারছি না।’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘সদর হাসপাতালে ৪৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা; কিন্তু আছেন মাত্র ১১ জন। লোকবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বরাদ্দ না হওয়ায় আমরা ২৫০ শয্যার ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী কক্সবাজারে গেছেন। তিনি না আসা পর্যন্ত কথা বলা যাচ্ছে না।’
জনবল নিয়োগ-সংক্রান্ত জটিলতা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না হওয়ায় উদ্বোধনের ৪ বছরেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনবল ও চিকিৎসাসামগ্রী চেয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালি করেও সাড়া মিলছে না।
বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের টানাটানিতেই এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালটিকে ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১০ সালে হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে নতুন ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগ ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে সাততলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করে। ৩০ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তরের কথা থাকলেও ৯ বছর পর ২০২১ সালের জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসক,
নার্স, টেকনোলজিস্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৫১টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কথা; কিন্তু উদ্বোধনের চার বছরেও এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুই হয়নি; বরং নিয়োগ কারা দেবেন, এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে টানাটানি চলছে।
জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘১০০ শয্যার হাসপাতালের দুই-তৃতীয়াংশ জনবল নেই। এটা নিয়েও আমরা আন্দোলন করেছি। স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকির অভাব ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ৩০ মাসের কাজ ৯ বছরে শেষ করে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হয়েছে। চার বছর হলো উদ্বোধন হয়েছে। এখন আবার জনবল নিয়োগ নিয়ে টানাটানি করছে।’
বরগুনার সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জটিলতা চলছে। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় উভয়েই জনবল নিয়োগ দিতে চায়। দুই দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে টানাটানির কারণে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হাসপাতালটি আমরা চালু করতে পারছি না।’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘সদর হাসপাতালে ৪৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা; কিন্তু আছেন মাত্র ১১ জন। লোকবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বরাদ্দ না হওয়ায় আমরা ২৫০ শয্যার ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী কক্সবাজারে গেছেন। তিনি না আসা পর্যন্ত কথা বলা যাচ্ছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে