আজাদুল আদনান, ঢাকা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি টেইলার্সে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে ১৬ বছরের সম্রাট। টেইলার্সের মালিক শাজাহান দুই ডোজের টিকা নিয়েছেন। কিন্তু সঙ্গে জন্মসনদ না থাকায় টিকা পায়নি সম্রাট। রাজধানী ঢাকার বনশ্রীতে একটি গাড়ির ওয়ার্কশপে কাজ করে বগুড়া থেকে আসা কিশোর আশিকুর রহমান ও আজিজুল হাকিম। একই সমস্যার কারণে তারাও টিকা নিতে পারেনি বলে জানান ওয়ার্কশপের মালিক জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে গত বছরের শেষ দিকে আমি টিকা নিয়েছি। তাদের (তাঁর দুই কর্মচারীর) জন্মসনদ দেশের বাড়িতে থাকায় টিকা নিতে পারেনি। শিশুদের জন্য টিকার ব্যবস্থা আরও সহজ করলে ভালো হয়।
দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন টিকার আওতায়। গত বুধবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সম্রাট ও আজিজুলদের মতো লাখ লাখ শিশু-কিশোর এখনো টিকার বাইরে, যারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলকারখানা, টেইলার্সসহ নানা পেশায় জড়িত। এদের খুব নগণ্য একটা অংশ টিকা নিতে পারলেও সিংহভাগ টিকার বাইরে। শিশুশ্রমিকেরা টিকা না পাওয়ার পেছনে উদ্যোগহীনতাকেই দায়ী করছেন শ্রমিক সংস্থা ও সংগঠনগুলোর নেতারা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বলছে, দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫০ হাজারের মতো। বিপুলসংখ্যক এই শিশুদের মধ্যে কত শতাংশ টিকা পেয়েছে—এমন কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য শাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের করোনা টিকাদানে সরকার পিছিয়ে, বিশেষ করে শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে। অথচ একই বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বৈষম্য। আমরা বলেছিলাম, পুরো শ্রমিকশ্রেণির জন্য যেন আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু সেটি আমলে নেওয়া হয়নি।
সরকারের জাতীয় টিকা বণ্টন কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, আমরা কোনো বৈষম্য করিনি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ১২ বছরের বেশি বিভিন্ন পেশায় জড়িত শিশুরা যাতে টিকা পায়, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। টিকাদান শুরুর পর দোকান মালিক সমিতি, কারখানা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বারবার বলা হয়েছে। শুরুর দিকে অনেক শিশুকে টিকা নিতেও দেখেছি। কিন্তু অনেকে নানা সমস্যায় এখনো নিতে পারেনি।
সরকারি হিসাবে দেশে গত বুধবার পর্যন্ত ১১ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার ৬২০ জন মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী টিকা নেওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ প্রথম ডোজ পেলেও এখনো দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাইরে কতজন টিকা পেয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে কী পরিমাণ এখনো টিকার বাইরে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বয়সের সব শিক্ষার্থী দুই ডোজের টিকা নিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া প্রায় ১৩ লাখ শিশুর অধিকাংশই বিভিন্ন পেশার। এ ছাড়া কোনো টিকাই নেয়নি এমন শিশু আরও কয়েক লাখ আছে। সব মিলিয়ে টিকা না নেওয়া শিশুর সংখ্যা ২০ লাখের মতো হবে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলছেন, শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবল পরিবহন ও গার্মেন্টস কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু শিশুশ্রমিকদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাণরসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান বলেন, টিকাদানে শিক্ষার্থী ও শিশুশ্রমিকের মাঝে কোনো বৈষম্য থাকা কখনই উচিত নয়। যেখানে টিকা নিয়েও আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানে টিকা নেওয়া না থাকলে তো ঝুঁকি আরও বাড়বে। আমরা দেখছি, ১৪ বছরের একজন শিক্ষার্থী হওয়ায় টিকা নিতে পারলেও শ্রমিক হওয়ায় একই বয়সের অন্যজন টিকা পায়নি, এটা দুঃখজনক।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি টেইলার্সে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে ১৬ বছরের সম্রাট। টেইলার্সের মালিক শাজাহান দুই ডোজের টিকা নিয়েছেন। কিন্তু সঙ্গে জন্মসনদ না থাকায় টিকা পায়নি সম্রাট। রাজধানী ঢাকার বনশ্রীতে একটি গাড়ির ওয়ার্কশপে কাজ করে বগুড়া থেকে আসা কিশোর আশিকুর রহমান ও আজিজুল হাকিম। একই সমস্যার কারণে তারাও টিকা নিতে পারেনি বলে জানান ওয়ার্কশপের মালিক জাহিদ হোসেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে গত বছরের শেষ দিকে আমি টিকা নিয়েছি। তাদের (তাঁর দুই কর্মচারীর) জন্মসনদ দেশের বাড়িতে থাকায় টিকা নিতে পারেনি। শিশুদের জন্য টিকার ব্যবস্থা আরও সহজ করলে ভালো হয়।
দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন টিকার আওতায়। গত বুধবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সম্রাট ও আজিজুলদের মতো লাখ লাখ শিশু-কিশোর এখনো টিকার বাইরে, যারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলকারখানা, টেইলার্সসহ নানা পেশায় জড়িত। এদের খুব নগণ্য একটা অংশ টিকা নিতে পারলেও সিংহভাগ টিকার বাইরে। শিশুশ্রমিকেরা টিকা না পাওয়ার পেছনে উদ্যোগহীনতাকেই দায়ী করছেন শ্রমিক সংস্থা ও সংগঠনগুলোর নেতারা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বলছে, দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫০ হাজারের মতো। বিপুলসংখ্যক এই শিশুদের মধ্যে কত শতাংশ টিকা পেয়েছে—এমন কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য শাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের করোনা টিকাদানে সরকার পিছিয়ে, বিশেষ করে শিশুশ্রমিকদের ক্ষেত্রে। অথচ একই বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা বৈষম্য। আমরা বলেছিলাম, পুরো শ্রমিকশ্রেণির জন্য যেন আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু সেটি আমলে নেওয়া হয়নি।
সরকারের জাতীয় টিকা বণ্টন কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, আমরা কোনো বৈষম্য করিনি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ১২ বছরের বেশি বিভিন্ন পেশায় জড়িত শিশুরা যাতে টিকা পায়, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। টিকাদান শুরুর পর দোকান মালিক সমিতি, কারখানা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বারবার বলা হয়েছে। শুরুর দিকে অনেক শিশুকে টিকা নিতেও দেখেছি। কিন্তু অনেকে নানা সমস্যায় এখনো নিতে পারেনি।
সরকারি হিসাবে দেশে গত বুধবার পর্যন্ত ১১ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার ৬২০ জন মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী টিকা নেওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ প্রথম ডোজ পেলেও এখনো দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাইরে কতজন টিকা পেয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে কী পরিমাণ এখনো টিকার বাইরে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বয়সের সব শিক্ষার্থী দুই ডোজের টিকা নিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া প্রায় ১৩ লাখ শিশুর অধিকাংশই বিভিন্ন পেশার। এ ছাড়া কোনো টিকাই নেয়নি এমন শিশু আরও কয়েক লাখ আছে। সব মিলিয়ে টিকা না নেওয়া শিশুর সংখ্যা ২০ লাখের মতো হবে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলছেন, শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবল পরিবহন ও গার্মেন্টস কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু শিশুশ্রমিকদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাণরসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান বলেন, টিকাদানে শিক্ষার্থী ও শিশুশ্রমিকের মাঝে কোনো বৈষম্য থাকা কখনই উচিত নয়। যেখানে টিকা নিয়েও আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানে টিকা নেওয়া না থাকলে তো ঝুঁকি আরও বাড়বে। আমরা দেখছি, ১৪ বছরের একজন শিক্ষার্থী হওয়ায় টিকা নিতে পারলেও শ্রমিক হওয়ায় একই বয়সের অন্যজন টিকা পায়নি, এটা দুঃখজনক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে