সম্পাদকীয়
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশরাফুল আলম, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। ৩ লাখের ওপর যে আসনে ভোটারসংখ্যা, সেই আসনে মাত্র ৩৭ হাজার ৪২০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এই আসনের ভোটারদের বড় অংশই ভোটদানে বিরত ছিলেন। হিরো আলম ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর লাঞ্ছিত হয়েছেন, এটা রাজনীতির জন্য শুভলক্ষণ নয়। এই অসহিষ্ণুতা যদি আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। হিরো আলমকে লাঞ্ছিত করলেন যাঁরা, তাঁদের তদন্তের আওতায় এনে বিচার করা জরুরি।
দেশের রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে ধাবমান, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা এখনো গড়ে ওঠেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রতিপক্ষের মন্দ দিকগুলোর দিকে আঙুল তুলেছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এবারের নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর আগের দুই নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার যে নজির সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ, সেই ফর্মুলা যে এবার আর খাটবে না, সেটা বোঝা যাচ্ছে। ফলে রাজনীতির মাঠটিতে এখনো কোনো দল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পর্যায়ে আসেনি।
দরিদ্র জনগণের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার প্রশংসা পেতে পারে, আওয়ামী লীগ তার আমলে করা উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বলছে না, এ সময় রাজনীতিটা ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে, তাঁরা ইচ্ছেমতো মনোপলির মাধ্যমে খাদ্যব্যবস্থাসহ নানা দিকে নিজেদের হাত প্রসারিত করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ বলে না, উন্নয়নের সময় কত টাকা এদিক-ওদিক হয়ে যাচ্ছে। বলে না, হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের কেন আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিএনপি এখন পর্যন্ত এমন কোনো রোডম্যাপের সন্ধান দিতে পারেনি, যার ওপর আস্থা রাখতে পারে জনগণ। বিএনপির শেষ শাসনামলে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক যে ক্ষমতাবলয় গড়ে উঠেছিল, সেই বলয় হয়ে উঠেছিল মাফিয়া সাম্রাজ্যের মতো। সে কথা জনগণ ভুলে যায়নি। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দলটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে, এই গ্যারান্টি কে দেবে? দোষারোপের রাজনীতি শুধু পুঁজ-দুর্গন্ধভরা ক্ষতগুলোকেই দেখিয়ে দিতে পারে। নিরাময়ের সন্ধান নিতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোন ক্ষতগুলোয় প্রলেপ লাগাবে, সেটা তাদের স্পষ্ট করে বলা উচিত।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে পাঁচ বছরে একবারই জনগণ তাঁর মূল্যবান ভোটটি দিয়ে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারেন। কিন্তু তাতে লাভ কী হয়? নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দল যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়, এর সিংহভাগই তারা ভুলে যায় সরকার গঠনের পর। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে এখন যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা বাড়তে দেওয়া সংগত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর অতিমাত্রায় স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার প্রবণতা দরিদ্র জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ থেকে জনগণকে নিষ্কৃতি দেওয়ার কথা ভাবতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। কিন্তু বেশির ভাগ রাজনীতিবিদের দেহভাষায় এখনো তার আলামত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, যা দুঃখজনক।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশরাফুল আলম, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। ৩ লাখের ওপর যে আসনে ভোটারসংখ্যা, সেই আসনে মাত্র ৩৭ হাজার ৪২০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এই আসনের ভোটারদের বড় অংশই ভোটদানে বিরত ছিলেন। হিরো আলম ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর লাঞ্ছিত হয়েছেন, এটা রাজনীতির জন্য শুভলক্ষণ নয়। এই অসহিষ্ণুতা যদি আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। হিরো আলমকে লাঞ্ছিত করলেন যাঁরা, তাঁদের তদন্তের আওতায় এনে বিচার করা জরুরি।
দেশের রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে ধাবমান, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা এখনো গড়ে ওঠেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রতিপক্ষের মন্দ দিকগুলোর দিকে আঙুল তুলেছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এবারের নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর আগের দুই নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার যে নজির সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ, সেই ফর্মুলা যে এবার আর খাটবে না, সেটা বোঝা যাচ্ছে। ফলে রাজনীতির মাঠটিতে এখনো কোনো দল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পর্যায়ে আসেনি।
দরিদ্র জনগণের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার প্রশংসা পেতে পারে, আওয়ামী লীগ তার আমলে করা উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বলছে না, এ সময় রাজনীতিটা ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে, তাঁরা ইচ্ছেমতো মনোপলির মাধ্যমে খাদ্যব্যবস্থাসহ নানা দিকে নিজেদের হাত প্রসারিত করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ বলে না, উন্নয়নের সময় কত টাকা এদিক-ওদিক হয়ে যাচ্ছে। বলে না, হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের কেন আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিএনপি এখন পর্যন্ত এমন কোনো রোডম্যাপের সন্ধান দিতে পারেনি, যার ওপর আস্থা রাখতে পারে জনগণ। বিএনপির শেষ শাসনামলে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক যে ক্ষমতাবলয় গড়ে উঠেছিল, সেই বলয় হয়ে উঠেছিল মাফিয়া সাম্রাজ্যের মতো। সে কথা জনগণ ভুলে যায়নি। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দলটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে, এই গ্যারান্টি কে দেবে? দোষারোপের রাজনীতি শুধু পুঁজ-দুর্গন্ধভরা ক্ষতগুলোকেই দেখিয়ে দিতে পারে। নিরাময়ের সন্ধান নিতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোন ক্ষতগুলোয় প্রলেপ লাগাবে, সেটা তাদের স্পষ্ট করে বলা উচিত।
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে পাঁচ বছরে একবারই জনগণ তাঁর মূল্যবান ভোটটি দিয়ে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারেন। কিন্তু তাতে লাভ কী হয়? নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দল যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়, এর সিংহভাগই তারা ভুলে যায় সরকার গঠনের পর। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে এখন যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা বাড়তে দেওয়া সংগত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর অতিমাত্রায় স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার প্রবণতা দরিদ্র জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ থেকে জনগণকে নিষ্কৃতি দেওয়ার কথা ভাবতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। কিন্তু বেশির ভাগ রাজনীতিবিদের দেহভাষায় এখনো তার আলামত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, যা দুঃখজনক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে