নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের রাজনীতিতে একক দলের প্রভাব কমেছে। দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, চলমান রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থায় একক দল প্রভাব বজায় রেখেছে। অথচ ২০১৯ সালে এমন মত দিয়েছিলেন ৭২ শতাংশ মানুষ। সে সময় ১১ শতাংশ মানুষ ভাবতেন, রাজনীতিতে একক দলের প্রভাব নেতিবাচক। আর ২০২২ সালে এমন ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশে।
দি এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, উন্নয়ন ও সামাজিক অবস্থার ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এশিয়া ফাউন্ডেশন গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জরিপের ফলাফল জানিয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি করা হয়। ৬৪ জেলার মোট ১০ হাজার ২৪০ জন নারী-পুরুষের ওপর জরিপটি চালানো হয়। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একই ধরনের জরিপ করা হয়েছিল।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে চলছে কি না। এতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় এবারের জরিপে তিনটি দিকেই মানুষের ইতিবাচক ধারণা তুলনামূলকভাবে কম। এতে দেশের সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক মূল্যায়ন প্রকাশ পায়।
সর্বশেষ জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের রাজনীতি ভুল পথে চলছে। বিপরীতে ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, রাজনীতি সঠিক পথেই আছে।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ভুল দিকে যাচ্ছে। বিপরীতে ২৫ শতাংশ মানুষের মত, অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে।
জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের জীবন ও জীবিকার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। আর বাড়তি দ্রব্যমূল্যকে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা বলে মনে করেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। সমস্যা হিসেবে বেকারত্ব, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ব্যবসায় মন্দার কথা বলেছেন অনেকে।
অর্থনৈতিক অবস্থা ভবিষ্যতে কেমন হবে, এ বিষয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের ইতিবাচক মনোভাব উচ্চ আয়ের মানুষের তুলনায় অনেক বেশি কমেছে। ২০১৯ সালে ৫ হাজার টাকা বা তার চেয়ে আয় কম ছিল, এমন ৮৪ শতাংশ মানুষ বলেছিল, দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে ছিল। আর ২০২২ সালে একই পরিমাণ আয় করেন, এমন মাত্র ৩২ ভাগ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে আছে।
অর্থাৎ অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ৫২ ভাগ মানুষ নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয়ের মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তনের হার ৩০ শতাংশ।
২০১৯ সালে ৫৮ শতাংশ মানুষ দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন। আর ২০২০ সালে একই অঙ্কের আয়ের মাত্র ২৭ ভাগ মানুষ ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
দেশ সামাজিকভাবে সঠিক পথে চলেছে বলে মনে করেন ৫৮ শতাংশ মানুষ। আর ৩৯ ভাগ মানুষ এমন প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালের জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ নিজেদের মাঝে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাতে রাজি ছিলেন, যা ২০১৯ ও ২০১৮ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ৩৪ শতাংশ।
পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ মানুষ। ৪৭ ভাগ মানুষ মনে করেন, সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অন্যদিকে ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এ কৃতিত্ব সরকারের।
দেশের রাজনীতিতে একক দলের প্রভাব কমেছে। দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, চলমান রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থায় একক দল প্রভাব বজায় রেখেছে। অথচ ২০১৯ সালে এমন মত দিয়েছিলেন ৭২ শতাংশ মানুষ। সে সময় ১১ শতাংশ মানুষ ভাবতেন, রাজনীতিতে একক দলের প্রভাব নেতিবাচক। আর ২০২২ সালে এমন ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশে।
দি এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিচালিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, উন্নয়ন ও সামাজিক অবস্থার ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এশিয়া ফাউন্ডেশন গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জরিপের ফলাফল জানিয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি করা হয়। ৬৪ জেলার মোট ১০ হাজার ২৪০ জন নারী-পুরুষের ওপর জরিপটি চালানো হয়। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একই ধরনের জরিপ করা হয়েছিল।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে চলছে কি না। এতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় এবারের জরিপে তিনটি দিকেই মানুষের ইতিবাচক ধারণা তুলনামূলকভাবে কম। এতে দেশের সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক মূল্যায়ন প্রকাশ পায়।
সর্বশেষ জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের রাজনীতি ভুল পথে চলছে। বিপরীতে ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, রাজনীতি সঠিক পথেই আছে।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ভুল দিকে যাচ্ছে। বিপরীতে ২৫ শতাংশ মানুষের মত, অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে।
জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের জীবন ও জীবিকার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। আর বাড়তি দ্রব্যমূল্যকে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা বলে মনে করেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। সমস্যা হিসেবে বেকারত্ব, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ব্যবসায় মন্দার কথা বলেছেন অনেকে।
অর্থনৈতিক অবস্থা ভবিষ্যতে কেমন হবে, এ বিষয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের ইতিবাচক মনোভাব উচ্চ আয়ের মানুষের তুলনায় অনেক বেশি কমেছে। ২০১৯ সালে ৫ হাজার টাকা বা তার চেয়ে আয় কম ছিল, এমন ৮৪ শতাংশ মানুষ বলেছিল, দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে ছিল। আর ২০২২ সালে একই পরিমাণ আয় করেন, এমন মাত্র ৩২ ভাগ মানুষ মনে করেন, দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে আছে।
অর্থাৎ অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ৫২ ভাগ মানুষ নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয়ের মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তনের হার ৩০ শতাংশ।
২০১৯ সালে ৫৮ শতাংশ মানুষ দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন। আর ২০২০ সালে একই অঙ্কের আয়ের মাত্র ২৭ ভাগ মানুষ ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
দেশ সামাজিকভাবে সঠিক পথে চলেছে বলে মনে করেন ৫৮ শতাংশ মানুষ। আর ৩৯ ভাগ মানুষ এমন প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করেন।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি কমে যাচ্ছে। ২০২২ সালের জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ নিজেদের মাঝে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাতে রাজি ছিলেন, যা ২০১৯ ও ২০১৮ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ৩৪ শতাংশ।
পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে মনে করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ মানুষ। ৪৭ ভাগ মানুষ মনে করেন, সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অন্যদিকে ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এ কৃতিত্ব সরকারের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে