মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী পৌর শহরে গণপূর্ত বিভাগের ২৬টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে ২০টি এখন পরিত্যক্ত। ৫০ বছর আগে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও সেগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী, আর এগুলোতেই এখন চলছে নানা অপকর্ম। সন্ধ্যা গড়ালেই এসব পরিত্যক্ত ভবনে চলে মাদক সেবনের হিড়িক।
মাদকসেবীদের কারণে সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই তো গণপূর্তের এই ২০টি ভবন এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ ভবনগুলো অপসারণ করে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগের কথা জানালেও এখনো কোনো কাজ দৃশ্যমান নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌর শহরের সরকারি অফিসগুলোর পাশেই আবাসিক এলাকার এ-টাইপ নয়টি, বি-টাইপ চারটি, সি-টাইপ তিনটি, ডি-টাইপ ছয়টি এবং ই-টাইপ চারটিসহ বিভিন্ন আকারের ২৬টি ভবন রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পরপরই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্র। তবে নির্মাণের পর অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ায় ভবনগুলো থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ইতিমধ্যে ২০টি ভবন ব্যবহার করা সম্ভব না হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
তবে বর্তমানে পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে মানুষের বসবাস কিংবা পাহারা না থাকায় এসব ভবন এখন মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বি-টাইপ আবাসিক এলাকার পাশেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি লেক থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাদক সেবনকারী কিংবা অসামাজিক কার্যকলাপের বিভিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ইয়ারুল হক বলেন, ‘আমাদের কলেজের অন্য পাশেই বি টাইপের কিছু পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে, যাতে বিভিন্ন সময় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে—যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। আর একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এ রকম কাজ হবে, এটা শোভনীয় নয়। কর্তৃপক্ষকে বলব, দ্রুত এই ভবনগুলো যেন অপসারণ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।’
পটুয়াখালী শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ না করায় অধিকাংশ ভবনের দরজা, জানালা, গ্রিলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সুইচ, সকেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভবনের পাশে নতুন লেক তৈরি হওয়ায় আমরা অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।’
পটুয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজল বরন দাস বলেন, ‘এই ভবনগুলো স্থানীয়দের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেরা এসব পরিত্যক্ত ভবনে আড্ডা দেয় এবং মাদক সেবন করে। গণপূর্ত বিভাগ এ বিষয়ে জানার পরও তাঁরা নির্বিকার। যদি কোনো আইনি জটিলতা থাকে তাহলে অন্য যেভাবে সম্ভব দ্রুত যেন ভবনগুলো অপসারণ করে।’
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের ২৬টি পুরোনো ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি ভবন বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সার্ভে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে নতুন করে নয়টি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য নকশা করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করে ডিপিপি তৈরি করা সম্ভব হবে।’
পটুয়াখালী পৌর শহরে গণপূর্ত বিভাগের ২৬টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে ২০টি এখন পরিত্যক্ত। ৫০ বছর আগে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও সেগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী, আর এগুলোতেই এখন চলছে নানা অপকর্ম। সন্ধ্যা গড়ালেই এসব পরিত্যক্ত ভবনে চলে মাদক সেবনের হিড়িক।
মাদকসেবীদের কারণে সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই তো গণপূর্তের এই ২০টি ভবন এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ ভবনগুলো অপসারণ করে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগের কথা জানালেও এখনো কোনো কাজ দৃশ্যমান নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌর শহরের সরকারি অফিসগুলোর পাশেই আবাসিক এলাকার এ-টাইপ নয়টি, বি-টাইপ চারটি, সি-টাইপ তিনটি, ডি-টাইপ ছয়টি এবং ই-টাইপ চারটিসহ বিভিন্ন আকারের ২৬টি ভবন রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পরপরই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয় বলে জানিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্র। তবে নির্মাণের পর অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যাওয়ায় ভবনগুলো থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ইতিমধ্যে ২০টি ভবন ব্যবহার করা সম্ভব না হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
তবে বর্তমানে পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে মানুষের বসবাস কিংবা পাহারা না থাকায় এসব ভবন এখন মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বি-টাইপ আবাসিক এলাকার পাশেই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি লেক থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাদক সেবনকারী কিংবা অসামাজিক কার্যকলাপের বিভিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ইয়ারুল হক বলেন, ‘আমাদের কলেজের অন্য পাশেই বি টাইপের কিছু পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে, যাতে বিভিন্ন সময় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে—যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। আর একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এ রকম কাজ হবে, এটা শোভনীয় নয়। কর্তৃপক্ষকে বলব, দ্রুত এই ভবনগুলো যেন অপসারণ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।’
পটুয়াখালী শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ না করায় অধিকাংশ ভবনের দরজা, জানালা, গ্রিলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক সুইচ, সকেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভবনের পাশে নতুন লেক তৈরি হওয়ায় আমরা অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।’
পটুয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজল বরন দাস বলেন, ‘এই ভবনগুলো স্থানীয়দের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেরা এসব পরিত্যক্ত ভবনে আড্ডা দেয় এবং মাদক সেবন করে। গণপূর্ত বিভাগ এ বিষয়ে জানার পরও তাঁরা নির্বিকার। যদি কোনো আইনি জটিলতা থাকে তাহলে অন্য যেভাবে সম্ভব দ্রুত যেন ভবনগুলো অপসারণ করে।’
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের ২৬টি পুরোনো ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি ভবন বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সার্ভে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে নতুন করে নয়টি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য নকশা করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করে ডিপিপি তৈরি করা সম্ভব হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে