চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার অলিগলিতে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। তারা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছে। তা ছাড়া অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার দক্ষিণ বাজারে একটি কিশোর গ্যাং সোনালী ব্যাংক ও এর আশপাশের ভবনের ছাদে বিকেল ও সন্ধ্যার পরে আড্ডায় মেতে ওঠে।
চাটখিল প্রধান সড়কের উত্তর পাশে, আজিজ সুপার মার্কেটের পশ্চিমে কৃষিগুদামের আঙিনায় রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য একটি গ্রুপ। এসব কিশোর গ্যাং বেশির ভাগ মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িত বলে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে চাটখিল বদলকোর্ট রোড সেন্টার পয়েন্টের কেএফসিতে আড্ডা দিয়ে সময় পার করছে। এ ছাড়া এ ভবনের বিভিন্ন কোণে পিলারঘেঁষে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
এ ভবন থেকে পলোয়ানবাড়ি পর্যন্তও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা লক্ষণীয়। মাগরিবের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
ভীমপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিরাজ উদ্দিন বলেন, চাটখিল আলিয়া মাদ্রাসা রোডের আজিজিয়া লাইব্রেরির পূর্ব পাশের দোকানঘেঁষে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। মাদ্রাসা ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্তসহ নানা অপকর্মে জড়িত তারা।
চাটখিল বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা ফারুক বলেন, চাটখিল পৌরসভার হাসপাতাল রোডের মহিলা কলেজ ও গার্লস স্কুলের সামনে রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং। দোকান ও রাস্তার ওপর তাদের আড্ডা। স্কুল-কলেজ চলাকালে গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘোরাঘুরি করে। মহিলা কলেজ ও গার্লস স্কুল ছুটির পর মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, চাটখিল খিলপাড়া রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের আশপাশে রয়েছে একটি শক্তিশালী কিশোর গ্যাং।
চাটখিল মহিলা কলেজের অভিভাবক পান্না আক্তারের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, চাটখিল পাল্লা রোডের দারোগাবাড়ি থেকে মিজিবাড়ি পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অপকর্ম চলে। তাদের অত্যাচারে তাঁর মেয়েকে নিজেই প্রতিদিন কলেজে আনা-নেওয়া করেন।
সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, অপ্রাপ্ত বয়সে এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এখনই এদের ফেরানো না গেলে ভবিষ্যতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
চাটখিল পৌরশহর ও বাজারের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে ঘুরে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের এমনই চিত্র দেখা গেছে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও সচেতন সমাজের অনেকেই মনে করেন, শাসনের অভাবে কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার অলিগলিতে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। তারা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছে। তা ছাড়া অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার দক্ষিণ বাজারে একটি কিশোর গ্যাং সোনালী ব্যাংক ও এর আশপাশের ভবনের ছাদে বিকেল ও সন্ধ্যার পরে আড্ডায় মেতে ওঠে।
চাটখিল প্রধান সড়কের উত্তর পাশে, আজিজ সুপার মার্কেটের পশ্চিমে কৃষিগুদামের আঙিনায় রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য একটি গ্রুপ। এসব কিশোর গ্যাং বেশির ভাগ মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িত বলে একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে চাটখিল বদলকোর্ট রোড সেন্টার পয়েন্টের কেএফসিতে আড্ডা দিয়ে সময় পার করছে। এ ছাড়া এ ভবনের বিভিন্ন কোণে পিলারঘেঁষে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
এ ভবন থেকে পলোয়ানবাড়ি পর্যন্তও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা লক্ষণীয়। মাগরিবের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
ভীমপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিরাজ উদ্দিন বলেন, চাটখিল আলিয়া মাদ্রাসা রোডের আজিজিয়া লাইব্রেরির পূর্ব পাশের দোকানঘেঁষে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। মাদ্রাসা ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্তসহ নানা অপকর্মে জড়িত তারা।
চাটখিল বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা ফারুক বলেন, চাটখিল পৌরসভার হাসপাতাল রোডের মহিলা কলেজ ও গার্লস স্কুলের সামনে রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং। দোকান ও রাস্তার ওপর তাদের আড্ডা। স্কুল-কলেজ চলাকালে গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘোরাঘুরি করে। মহিলা কলেজ ও গার্লস স্কুল ছুটির পর মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, চাটখিল খিলপাড়া রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালের আশপাশে রয়েছে একটি শক্তিশালী কিশোর গ্যাং।
চাটখিল মহিলা কলেজের অভিভাবক পান্না আক্তারের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, চাটখিল পাল্লা রোডের দারোগাবাড়ি থেকে মিজিবাড়ি পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অপকর্ম চলে। তাদের অত্যাচারে তাঁর মেয়েকে নিজেই প্রতিদিন কলেজে আনা-নেওয়া করেন।
সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, অপ্রাপ্ত বয়সে এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এখনই এদের ফেরানো না গেলে ভবিষ্যতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
চাটখিল পৌরশহর ও বাজারের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে ঘুরে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধের এমনই চিত্র দেখা গেছে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও সচেতন সমাজের অনেকেই মনে করেন, শাসনের অভাবে কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে