মো. মাহমুদুল হাসান বিপ্লব সিকদার, মেঘনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার অন্যতম বড় বাজার মানিকারচর বেশির ভাগ সময়ই থাকে জলমগ্ন। উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বাজারটি। প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার বসে বিরাট হাট। প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালক উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ব্যাংক, বিমা, বেসরকারি সংস্থা, হাসপাতাল, শপিং মল ঘেরা এই বাজারে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে।
চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩৮ লাখ টাকায় বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব পেলেও বাজারটির উন্নয়নে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাজারে নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, পানি ওঠে দোকানপাটে। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিতে দিতে দিশেহারা। প্রতিদিনই কমছে ক্রেতা। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে এখন আর আসেন না।
বাজারের মুদি দোকানি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে দোকানের সামনে ক্রেতা আসে না, বিক্রি কমে গেছে। পুঁজি ভেঙে খেতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন?’
মাধবপুর গ্রামের কৃষক মোখলেস বলেন, ফুটপাতে বসা শত শত কৃষক কৃষিসামগ্রী নিয়ে হাটের দিন পসরা সাজিয়ে বসেন। কিন্তু পানিতে ডুবে থাকার কারণে আগের মতো কেনাবেচা হয় না।
বাজারের ব্যবসায়ী পল্টু সাহা বলেন, বৃষ্টি হলেই ধান-চাল-সারসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল পানিতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকেন অন্তত ৪০ জন ব্যবসায়ী। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বাজার। ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যায় বাজারের অলিগলি।
বাজারের ব্যবসায়ী শাহাজান শিকদার, রতন মিয়া, দীপক সাহা, কামরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মো. ফারুক, রাজু দাস ও রতন মিয়া বলেন, বাজারের আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে বালু ভরাট করে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা এবং পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দোকানে পানি ওঠে। পানিতে ভিজে অনেক মালামাল নষ্ট হয়। ব্যবসার চিন্তা বাদ দিয়ে সারা দিন পানি নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। সবাই মিলে একটা পানি সেচের পাম্প কিনেছেন, পাম্প দিয়ে পানি সরান। তবে বেশি বৃষ্টি হলে পাম্প দিয়েও কাজ হয় না।
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজারের ইজারাদার হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলার মধ্যে মানিকারচর বাজার একটি বড় বাজার। এখানে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। চলতি বছরও বাজারটি ইজারা দিয়ে সরকার ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব পেয়েছে। কিন্তু বাজারের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর বর্ষাকালে বাজারটি তলিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই বাজারে সোম ও বৃহস্পতিবার বড় হাট বসে। বৃহস্পতিবারের হাটে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়। বৃষ্টিতে তলিয়ে থাকায় এই হাট বসা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
মানিকারচর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি অনেকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন। উপজেলা থেকে অনেকবার প্রকৌশলী মাপ দিয়ে গেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি।
বাজার কমিটির সভাপতি ও মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, তিনি অনেকবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বাজারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন, ইউএনও তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, ‘শিগগিরই ব্যবস্থা হবে’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, তাঁরা বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলে আপাতত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন। স্থায়ীভাবে বাজারটির পানি নিষ্কাশন সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারটি প্রকল্পের আওতায় এনেছেন, আগামী নভেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন, তাঁরা ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় বাজারটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন, আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে বলে মনে করছেন তিনি।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার অন্যতম বড় বাজার মানিকারচর বেশির ভাগ সময়ই থাকে জলমগ্ন। উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বাজারটি। প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার বসে বিরাট হাট। প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালক উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, ব্যাংক, বিমা, বেসরকারি সংস্থা, হাসপাতাল, শপিং মল ঘেরা এই বাজারে প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে।
চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩৮ লাখ টাকায় বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব পেলেও বাজারটির উন্নয়নে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাজারে নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, পানি ওঠে দোকানপাটে। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিতে দিতে দিশেহারা। প্রতিদিনই কমছে ক্রেতা। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে এখন আর আসেন না।
বাজারের মুদি দোকানি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে দোকানের সামনে ক্রেতা আসে না, বিক্রি কমে গেছে। পুঁজি ভেঙে খেতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন?’
মাধবপুর গ্রামের কৃষক মোখলেস বলেন, ফুটপাতে বসা শত শত কৃষক কৃষিসামগ্রী নিয়ে হাটের দিন পসরা সাজিয়ে বসেন। কিন্তু পানিতে ডুবে থাকার কারণে আগের মতো কেনাবেচা হয় না।
বাজারের ব্যবসায়ী পল্টু সাহা বলেন, বৃষ্টি হলেই ধান-চাল-সারসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল পানিতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকেন অন্তত ৪০ জন ব্যবসায়ী। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বাজার। ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যায় বাজারের অলিগলি।
বাজারের ব্যবসায়ী শাহাজান শিকদার, রতন মিয়া, দীপক সাহা, কামরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মো. ফারুক, রাজু দাস ও রতন মিয়া বলেন, বাজারের আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে বালু ভরাট করে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা এবং পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দোকানে পানি ওঠে। পানিতে ভিজে অনেক মালামাল নষ্ট হয়। ব্যবসার চিন্তা বাদ দিয়ে সারা দিন পানি নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। সবাই মিলে একটা পানি সেচের পাম্প কিনেছেন, পাম্প দিয়ে পানি সরান। তবে বেশি বৃষ্টি হলে পাম্প দিয়েও কাজ হয় না।
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজারের ইজারাদার হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলার মধ্যে মানিকারচর বাজার একটি বড় বাজার। এখানে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। চলতি বছরও বাজারটি ইজারা দিয়ে সরকার ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব পেয়েছে। কিন্তু বাজারের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর বর্ষাকালে বাজারটি তলিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই বাজারে সোম ও বৃহস্পতিবার বড় হাট বসে। বৃহস্পতিবারের হাটে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়। বৃষ্টিতে তলিয়ে থাকায় এই হাট বসা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
মানিকারচর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি অনেকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন। উপজেলা থেকে অনেকবার প্রকৌশলী মাপ দিয়ে গেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি।
বাজার কমিটির সভাপতি ও মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, তিনি অনেকবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বাজারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন, ইউএনও তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, ‘শিগগিরই ব্যবস্থা হবে’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, তাঁরা বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলে আপাতত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন। স্থায়ীভাবে বাজারটির পানি নিষ্কাশন সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারটি প্রকল্পের আওতায় এনেছেন, আগামী নভেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন, তাঁরা ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় বাজারটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন, আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে বলে মনে করছেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে