অলকানন্দা রায়, ঢাকা
বর্ষার রিনিঝিনি সুর ফুরাতে না ফুরাতেই আসছে শরৎ, ভাসছে মেঘ। প্রকৃতিতে বাজছে সেই সুর মন্দ মন্থরে। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সাদা কমলায় মেশানো শিউলি ফুলের দল। পাখির মতো ডানা মেলে ছুটছে ফুরফুরে সাদা বাউল মেঘ। সাজসাজ রব নদীর ধারের কাশবনে, থরে থরে ফোটাবে কাশের ফুল, জলে কুঁড়ি মেলবে পদ্ম, ফুটবে শিউলি।
শরতের আয়োজনে প্রকৃতি যেমন সাজে, তেমনি সাজে মানুষের মনও আর সাজে তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ, ঘরদোর। আলমারির কাপড় পায় রোদের আদর। খাবার-দাবারসহ জীবনযাত্রায় আসে নানা পরিবর্তন। শরতে প্রকৃতি স্নিগ্ধ হলেও পালাবদল করে চলে কখনো রোদের খেলা আবার কখনো অভিমানী বৃষ্টি ঝরার পালা। এই ভ্যাপসা গরম, তো খানিক পরেই বয়ে যায় শরীর জুড়ানো ঝিরি হাওয়া।
আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে শরতের সাজ হওয়া উচিত হালকা ধাঁচের। নুজহাত খান দিশা,ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপবিশেষজ্ঞ, পারসোনা
শরতের সাজ
এই শরৎ দিনের সাজ কেমন হওয়া উচিত, কেমন হলে সারাটা দিন সতেজ ও ঝরঝরে থাকা যাবে কাজে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে? সেই উপায় বাতলে দিলেন পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপবিশেষজ্ঞ নুজহাত খান দিশা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই গরমে সানস্ক্রিন বা ক্রিমগুলো সাধারণত এড়িয়ে চলি। এই গরমে ক্রিম ব্যবহার না করে জেল বেজ ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। এতে আরামও পাওয়া যাবে আবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজারও ঠিক থাকবে।’
সে জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর মেকআপ করা কিংবা মেকআপ শুরুর আগে মুখ পরিষ্কার করে এক টুকরো বরফ ঘষে নেওয়া যায়। মেকআপের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা— ক্রিম বেজ মেকআপ ব্যবহার না করে শরতের এই সময় পাউডার অথবা জেল বেজ মেকআপ ব্যবহার করতে হবে। ফেইস পাউডার অনেকেই ব্যবহার করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে কনসিলার বা ফাউন্ডেশন-জাতীয় কিছু সিসিক্রিম বা বিবিক্রিম ধরনের হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়।
শরৎ সকালে কোথাও বের হতে হলে হালকা সাজে ভালো লাগবে। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে ম্যাট বা ক্রিমি লিপস্টিক এবং হালকা রঙের শেড ব্যবহার করা যায়। ব্লাসনের ক্ষেত্রেও হালকা শেড যেমন হালকা গোলাপি রং ভালো লাগবে। গরমে ঘেমে যাতে কাজল লেপটে না যায়, সে জন্য কাজল এবং আইলাইনার হওয়া উচিত ওয়াটার প্রুফ। এতে সতেজ ও ঝরঝরে লাগবে সারা দিন। চোখের পাতায় পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপ সেট হয় ভালো।
পোশাক
এ তো গেল ত্বকের সাজের কথা। এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের মোটিফ নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ উঠে আসছে শাড়ির রাঙা আঁচল, পাড় কিংবা জমিনে। পোশাকে কখনো দুলছে এক টুকরো নীল আকাশ, তো কখনো শরতের কাশবন ঘিরে আছে টপ, কামিজ অথবা পাঞ্জাবির ঝুল। শাপলা-শালুক, কাশফুল, নদী, নৌকা, পাখি, গোধূলির আকাশ ও নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, গ্রামীণ আখ্যান বা বিমূর্ত চিত্রকলা—শরতের প্রকৃতির এমন নানা রূপ এখন ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের পোশাকে। এ ধরনের পোশাকের নকশার বেশির ভাগেই থাকছে সুই-সুতার কাজ, হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্ট, কাঠ ব্লক, বাটিক। এ ছাড়া মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টও।
যে রং বা যে নকশার পোশাকই বেছে নিন না কেন, আরামের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। শাহীন আহমেদ, প্রধান নির্বাহী অঞ্জন’স
শরতে আকাশ যখন নীলে নীলাম্বরি, গাছের পাতায় পাতায় বর্ষা ধোয়া সবুজ রঙের সাজ নিয়ে প্রকৃতি যখন মেতে উঠেছে, তখন আমরাই বা বসে থাকব কেন? আমরাও মেতে উঠতে পারি প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে মানানসই হবে এমন পোশাক-পরিচ্ছদে। পরতে পারি সাদা, ঘিয়ে, আকাশি, হালকা সবুজ বা টিয়ে রঙের পোশাক। এর বাইরেও হলুদ, বেগুনি, ধূসর ও কমলার মিশেলের পোশাকও শরৎ দিনে স্নিগ্ধতা ছড়াবে—বলছিলেন ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ। তিনি মনে করেন, এ সময় বেছে নেওয়া যায় নরম সুতি কাপড়ের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ, কুর্তি অথবা পাঞ্জাবি। শরতের এই গরম, এই বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় দারুণ আরাম দেবে এসব পোশাক।
উৎসব আয়োজনে, গানের অনুষ্ঠানে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় নারীদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে শাড়ির আবেদন ভিন্নমাত্রার। সে ক্ষেত্রে খুব ভারী কাজের চেয়ে হালকা কাজের সুতির শাড়িই বেশি ভালো লাগবে। এ ছাড়া এন্ডি কটন, তাঁত ও ভয়েল প্রভৃতি কাপড়ও বেশ আরামদায়ক এ সময়। দাওয়াতের সাজে একটু অভিজাত সিল্ক, জয় সিল্ক বা মসলিন মানাবে ভালো।
গয়না
মানানসই গয়না না পরলে যে জমেই না সাজসজ্জা! এই সময়ে গয়না পরতে হলে কোন ধরনের গয়নায় ভালো লাগবে তা জানিয়েছেন শৈলীর স্বত্বাধিকারী তাহমিনা শৈলী। শৈলী বলেন, ‘শরৎকালের স্নিগ্ধ সাজ পোশাকের সঙ্গে অফিসে, আড্ডায় কিংবা সান্ধ্যকালীন ঘোরাফেরায় গয়না পরার আগে ভাবতে হবে গরম এবং আরামের বিষয়টি। গুমোট গরম দিনে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে এমন গয়নায় স্বস্তির বদলে অস্বস্তিই বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে গয়না পরার সময় খেয়াল করতে হবে, যা-ই পরি না কেন তা যেন থাকে খোলামেলা। গলায় জড়িয়ে থাকে, যেমন চোকার বা হার ধরনের কিছু না পরে লম্বা মালা পরা যেতে পারে। কানে পরা যেতে পারে বড় ঝোলানো দুল। টেনে খোঁপা বেঁধে চুলে পরা যেতে পারে নানান ধরনের কাঁটা কিংবা নানা রকম নকশার ক্লিপ।’
গলায় জড়িয়ে থাকে তেমন গয়না না পরে খোলামেলা গয়না পরুন শরতে। তাহমিনা শৈলী, স্বত্বাধিকারী, শৈলী
শরৎকাল প্রকৃতিতে একধরনের ঔদাসীন্য ভর করে, আবার বৃষ্টিও হয়। এই সময়টাকে যদি কেউ উদ্যাপন করতে চায় তাহলে পায়ে পরা যায় এক জোড়া নূপুর। রিনিঝিনি সুরে বাজবে। আবার শাড়ির সঙ্গে কোমরে পরা যায় বিছা। শাড়ি পরুন কিংবা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক, গয়না পরতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বেশি চাকচিক্যময় না হয়। বয়স-ব্যক্তিত্বভেদে সাদামাটা গয়নায় ছিমছাম সাজেই সুন্দর দেখাবে।
কাপড়গুলো রোদে দিন
বৃষ্টির দিনে প্রকৃতি ভীষণ আর্দ্র থাকে। বর্ষায় যখন-তখন বৃষ্টি হওয়ায় নিয়মিত পরার কাপড় ধুয়ে শুকানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই শরতের রোদে কাপড়গুলো বের করে রোদে দিন। শ্রাবণ শেষে ভাদ্র মাসের কড়া মিঠে রোদে আলমারিতে তুলে রাখা কাপড়-চোপড় সব রোদে উল্টে-পাল্টে শুকিয়ে নেওয়া আমাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতির অংশ। এতে দীর্ঘদিন ভেতরে থাকার ফলে কাপড়ে যে গন্ধের সৃষ্টি হয় বা একধরনের ছত্রাক পড়ে তা দূর হয়ে যাবে। এমনকি পোকায় কাটার আশঙ্কা থেকেও মুক্ত থাকা যাবে।
সঙ্গে রাখুন
শরতের এই ভ্যাপসা গরমদিনে সঙ্গে রাখতে পারেন ব্লটিং পেপার বা ওয়েট টিস্যু, এতে মুখে ঘাম ও অতিরিক্ত তেল জমলে ব্লটিং পেপার দিয়ে মুছলে দ্রুত শুষে নেবে। রাখবেন সানব্লক ক্রিম, ছাতা আর পানির বোতল।
এক ঝলক
বর্ষার রিনিঝিনি সুর ফুরাতে না ফুরাতেই আসছে শরৎ, ভাসছে মেঘ। প্রকৃতিতে বাজছে সেই সুর মন্দ মন্থরে। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সাদা কমলায় মেশানো শিউলি ফুলের দল। পাখির মতো ডানা মেলে ছুটছে ফুরফুরে সাদা বাউল মেঘ। সাজসাজ রব নদীর ধারের কাশবনে, থরে থরে ফোটাবে কাশের ফুল, জলে কুঁড়ি মেলবে পদ্ম, ফুটবে শিউলি।
শরতের আয়োজনে প্রকৃতি যেমন সাজে, তেমনি সাজে মানুষের মনও আর সাজে তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ, ঘরদোর। আলমারির কাপড় পায় রোদের আদর। খাবার-দাবারসহ জীবনযাত্রায় আসে নানা পরিবর্তন। শরতে প্রকৃতি স্নিগ্ধ হলেও পালাবদল করে চলে কখনো রোদের খেলা আবার কখনো অভিমানী বৃষ্টি ঝরার পালা। এই ভ্যাপসা গরম, তো খানিক পরেই বয়ে যায় শরীর জুড়ানো ঝিরি হাওয়া।
আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে শরতের সাজ হওয়া উচিত হালকা ধাঁচের। নুজহাত খান দিশা,ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপবিশেষজ্ঞ, পারসোনা
শরতের সাজ
এই শরৎ দিনের সাজ কেমন হওয়া উচিত, কেমন হলে সারাটা দিন সতেজ ও ঝরঝরে থাকা যাবে কাজে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে? সেই উপায় বাতলে দিলেন পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রূপবিশেষজ্ঞ নুজহাত খান দিশা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই গরমে সানস্ক্রিন বা ক্রিমগুলো সাধারণত এড়িয়ে চলি। এই গরমে ক্রিম ব্যবহার না করে জেল বেজ ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। এতে আরামও পাওয়া যাবে আবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজারও ঠিক থাকবে।’
সে জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর মেকআপ করা কিংবা মেকআপ শুরুর আগে মুখ পরিষ্কার করে এক টুকরো বরফ ঘষে নেওয়া যায়। মেকআপের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা— ক্রিম বেজ মেকআপ ব্যবহার না করে শরতের এই সময় পাউডার অথবা জেল বেজ মেকআপ ব্যবহার করতে হবে। ফেইস পাউডার অনেকেই ব্যবহার করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে কনসিলার বা ফাউন্ডেশন-জাতীয় কিছু সিসিক্রিম বা বিবিক্রিম ধরনের হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়।
শরৎ সকালে কোথাও বের হতে হলে হালকা সাজে ভালো লাগবে। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে ম্যাট বা ক্রিমি লিপস্টিক এবং হালকা রঙের শেড ব্যবহার করা যায়। ব্লাসনের ক্ষেত্রেও হালকা শেড যেমন হালকা গোলাপি রং ভালো লাগবে। গরমে ঘেমে যাতে কাজল লেপটে না যায়, সে জন্য কাজল এবং আইলাইনার হওয়া উচিত ওয়াটার প্রুফ। এতে সতেজ ও ঝরঝরে লাগবে সারা দিন। চোখের পাতায় পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপ সেট হয় ভালো।
পোশাক
এ তো গেল ত্বকের সাজের কথা। এখন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের মোটিফ নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ উঠে আসছে শাড়ির রাঙা আঁচল, পাড় কিংবা জমিনে। পোশাকে কখনো দুলছে এক টুকরো নীল আকাশ, তো কখনো শরতের কাশবন ঘিরে আছে টপ, কামিজ অথবা পাঞ্জাবির ঝুল। শাপলা-শালুক, কাশফুল, নদী, নৌকা, পাখি, গোধূলির আকাশ ও নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, গ্রামীণ আখ্যান বা বিমূর্ত চিত্রকলা—শরতের প্রকৃতির এমন নানা রূপ এখন ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের পোশাকে। এ ধরনের পোশাকের নকশার বেশির ভাগেই থাকছে সুই-সুতার কাজ, হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্ট, কাঠ ব্লক, বাটিক। এ ছাড়া মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টও।
যে রং বা যে নকশার পোশাকই বেছে নিন না কেন, আরামের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। শাহীন আহমেদ, প্রধান নির্বাহী অঞ্জন’স
শরতে আকাশ যখন নীলে নীলাম্বরি, গাছের পাতায় পাতায় বর্ষা ধোয়া সবুজ রঙের সাজ নিয়ে প্রকৃতি যখন মেতে উঠেছে, তখন আমরাই বা বসে থাকব কেন? আমরাও মেতে উঠতে পারি প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে মানানসই হবে এমন পোশাক-পরিচ্ছদে। পরতে পারি সাদা, ঘিয়ে, আকাশি, হালকা সবুজ বা টিয়ে রঙের পোশাক। এর বাইরেও হলুদ, বেগুনি, ধূসর ও কমলার মিশেলের পোশাকও শরৎ দিনে স্নিগ্ধতা ছড়াবে—বলছিলেন ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ। তিনি মনে করেন, এ সময় বেছে নেওয়া যায় নরম সুতি কাপড়ের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ, কুর্তি অথবা পাঞ্জাবি। শরতের এই গরম, এই বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় দারুণ আরাম দেবে এসব পোশাক।
উৎসব আয়োজনে, গানের অনুষ্ঠানে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় নারীদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে শাড়ির আবেদন ভিন্নমাত্রার। সে ক্ষেত্রে খুব ভারী কাজের চেয়ে হালকা কাজের সুতির শাড়িই বেশি ভালো লাগবে। এ ছাড়া এন্ডি কটন, তাঁত ও ভয়েল প্রভৃতি কাপড়ও বেশ আরামদায়ক এ সময়। দাওয়াতের সাজে একটু অভিজাত সিল্ক, জয় সিল্ক বা মসলিন মানাবে ভালো।
গয়না
মানানসই গয়না না পরলে যে জমেই না সাজসজ্জা! এই সময়ে গয়না পরতে হলে কোন ধরনের গয়নায় ভালো লাগবে তা জানিয়েছেন শৈলীর স্বত্বাধিকারী তাহমিনা শৈলী। শৈলী বলেন, ‘শরৎকালের স্নিগ্ধ সাজ পোশাকের সঙ্গে অফিসে, আড্ডায় কিংবা সান্ধ্যকালীন ঘোরাফেরায় গয়না পরার আগে ভাবতে হবে গরম এবং আরামের বিষয়টি। গুমোট গরম দিনে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে এমন গয়নায় স্বস্তির বদলে অস্বস্তিই বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে গয়না পরার সময় খেয়াল করতে হবে, যা-ই পরি না কেন তা যেন থাকে খোলামেলা। গলায় জড়িয়ে থাকে, যেমন চোকার বা হার ধরনের কিছু না পরে লম্বা মালা পরা যেতে পারে। কানে পরা যেতে পারে বড় ঝোলানো দুল। টেনে খোঁপা বেঁধে চুলে পরা যেতে পারে নানান ধরনের কাঁটা কিংবা নানা রকম নকশার ক্লিপ।’
গলায় জড়িয়ে থাকে তেমন গয়না না পরে খোলামেলা গয়না পরুন শরতে। তাহমিনা শৈলী, স্বত্বাধিকারী, শৈলী
শরৎকাল প্রকৃতিতে একধরনের ঔদাসীন্য ভর করে, আবার বৃষ্টিও হয়। এই সময়টাকে যদি কেউ উদ্যাপন করতে চায় তাহলে পায়ে পরা যায় এক জোড়া নূপুর। রিনিঝিনি সুরে বাজবে। আবার শাড়ির সঙ্গে কোমরে পরা যায় বিছা। শাড়ি পরুন কিংবা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক, গয়না পরতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বেশি চাকচিক্যময় না হয়। বয়স-ব্যক্তিত্বভেদে সাদামাটা গয়নায় ছিমছাম সাজেই সুন্দর দেখাবে।
কাপড়গুলো রোদে দিন
বৃষ্টির দিনে প্রকৃতি ভীষণ আর্দ্র থাকে। বর্ষায় যখন-তখন বৃষ্টি হওয়ায় নিয়মিত পরার কাপড় ধুয়ে শুকানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই শরতের রোদে কাপড়গুলো বের করে রোদে দিন। শ্রাবণ শেষে ভাদ্র মাসের কড়া মিঠে রোদে আলমারিতে তুলে রাখা কাপড়-চোপড় সব রোদে উল্টে-পাল্টে শুকিয়ে নেওয়া আমাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতির অংশ। এতে দীর্ঘদিন ভেতরে থাকার ফলে কাপড়ে যে গন্ধের সৃষ্টি হয় বা একধরনের ছত্রাক পড়ে তা দূর হয়ে যাবে। এমনকি পোকায় কাটার আশঙ্কা থেকেও মুক্ত থাকা যাবে।
সঙ্গে রাখুন
শরতের এই ভ্যাপসা গরমদিনে সঙ্গে রাখতে পারেন ব্লটিং পেপার বা ওয়েট টিস্যু, এতে মুখে ঘাম ও অতিরিক্ত তেল জমলে ব্লটিং পেপার দিয়ে মুছলে দ্রুত শুষে নেবে। রাখবেন সানব্লক ক্রিম, ছাতা আর পানির বোতল।
এক ঝলক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে