নিরত বরন চাকমা, বরকল (রাঙামাটি)
পাহাড়ে নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকা দরকার। কিন্তু ভূষণছড়া ইউনিয়নে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে ৩টি। এতে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে রাঙামাটির বরকল উপজেলার মরা অজ্জ্যাংছড়ি, ভূধছড়া ও লুদিবাশছড়াসহ পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই গ্রামগুলোতে হাজারো মানুষ বসবাস। তাই ভূধছড়া গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীর।
ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূধছড়া গ্রাম থেকে উপজেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ইউনিয়নের বড় অজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতে ভূধছড়া, মরা অজ্জ্যাংছড়ি, লুদিবাশছড়া, সুয়ারিপাতা ও বৈরাগী পাড়া গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ-পথ। সেখানে যাওয়া-আসা অনেক সময়ের ব্যাপার। এ ছাড়া পায়ে হাঁটা পথগুলো সবই দুর্গম। এতে অসুস্থ ব্যক্তি বা গর্ভবতী রোগীর জরুরি সেবার প্রয়োজন পড়লে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াটা বড় অসম্ভব ব্যাপার।
এদিকে এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র না থাকায় কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, পেটে পীড়াসহ নানান রোগের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীর স্বজনেরা দুর্ভোগে পড়েন। অনেক সময় রোগীর জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে।
মরা উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুশীল চাকমার স্ত্রী রিপা চাকমা জানান, তিন বছর আগে জন্মের কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁর শিশু। পরে এর মাত্রা বাড়তে থাকে। গ্রামে কোনো স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র না থাকায় মারা যায় দেড় মাসের শিশুটি। আরেক ভুক্তভোগী পরিতোষ চাকমার স্ত্রী রেখা চাকমা, ‘গত বছর আমার এক কন্যা শিশু জন্ম হয়। জন্মের ৩ মাস পর শ্বাসকষ্টে মারা যান। এখনো সন্তান হারা বেদনা ভুলতে পারছি না।’
ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য পাত্তর মনি চাকমা জানান, ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বড় উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক ছাড়া আর কোনো সেবা কেন্দ্র নেই। তাই ভূধছড়া গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হলে খুবই ভালো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মংক্যছিং সাগর বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকা দরকার। কিন্তু ভূষণছড়া ইউনিয়নে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক ৩টি রয়েছে। তাই জনগণের কথা এবং দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে ভূধছড়া গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ ভূষণছড়া ইউনিয়নে এ্যারাবুনিয়া ও বড় উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখনো সিএইচপিপি দুটি পদ শূন্য আছে বলে তিনি জানান।
পাহাড়ে নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকা দরকার। কিন্তু ভূষণছড়া ইউনিয়নে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে ৩টি। এতে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে রাঙামাটির বরকল উপজেলার মরা অজ্জ্যাংছড়ি, ভূধছড়া ও লুদিবাশছড়াসহ পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই গ্রামগুলোতে হাজারো মানুষ বসবাস। তাই ভূধছড়া গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীর।
ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূধছড়া গ্রাম থেকে উপজেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ইউনিয়নের বড় অজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এতে ভূধছড়া, মরা অজ্জ্যাংছড়ি, লুদিবাশছড়া, সুয়ারিপাতা ও বৈরাগী পাড়া গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ-পথ। সেখানে যাওয়া-আসা অনেক সময়ের ব্যাপার। এ ছাড়া পায়ে হাঁটা পথগুলো সবই দুর্গম। এতে অসুস্থ ব্যক্তি বা গর্ভবতী রোগীর জরুরি সেবার প্রয়োজন পড়লে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াটা বড় অসম্ভব ব্যাপার।
এদিকে এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র না থাকায় কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, পেটে পীড়াসহ নানান রোগের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীর স্বজনেরা দুর্ভোগে পড়েন। অনেক সময় রোগীর জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে।
মরা উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুশীল চাকমার স্ত্রী রিপা চাকমা জানান, তিন বছর আগে জন্মের কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁর শিশু। পরে এর মাত্রা বাড়তে থাকে। গ্রামে কোনো স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র না থাকায় মারা যায় দেড় মাসের শিশুটি। আরেক ভুক্তভোগী পরিতোষ চাকমার স্ত্রী রেখা চাকমা, ‘গত বছর আমার এক কন্যা শিশু জন্ম হয়। জন্মের ৩ মাস পর শ্বাসকষ্টে মারা যান। এখনো সন্তান হারা বেদনা ভুলতে পারছি না।’
ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য পাত্তর মনি চাকমা জানান, ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বড় উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক ছাড়া আর কোনো সেবা কেন্দ্র নেই। তাই ভূধছড়া গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হলে খুবই ভালো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মংক্যছিং সাগর বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকা দরকার। কিন্তু ভূষণছড়া ইউনিয়নে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক ৩টি রয়েছে। তাই জনগণের কথা এবং দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে ভূধছড়া গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ ভূষণছড়া ইউনিয়নে এ্যারাবুনিয়া ও বড় উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামের ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখনো সিএইচপিপি দুটি পদ শূন্য আছে বলে তিনি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে