তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের। পাসের হারে সারা দেশের ৯ সাধারণ বোর্ডের মধ্যে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের অতীতের সাফল্য ছাড়িয়ে গেছে বোর্ড। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। গতকাল রোববার প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মূলত তিন কারণে ফল ও পাসের হার বেড়েছে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে। এবার পরীক্ষায় ইংরেজি, গণিতের মতো বিষয়গুলো ছিল না। সিলেবাসও ছিল সংক্ষিপ্ত। এটিও ভালো ফলের অন্যতম কারণ। ক্লাস না হলেও পরীক্ষার্থীরা বাসায় ভালো প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন। ফলে প্রভাব ফেলেছে এটিও। বোর্ডের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অবশ্য সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়ায় ফল বিশ্লেষণে গতবারের হিসাবকে বাইরে রাখা হল। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৬৭টি কলেজের ৯৯ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৬২ জন। অর্থাৎ পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা ২০১৭-২০১৯, এই তিন বছরের পাসের হারের চেয়ে বেশি। গতবার অটোপাসের পরেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১২ হাজার ১৪৩ জন। জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৭টি বেড়ে এবার পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন।
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত বছরের ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার মহামারির কারণে বিষয় ও নম্বর কমানো হয়। গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের ফল প্রকাশ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এবার ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। অতীতে এই বিষয়েই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হতো। বিষয়টি এবার না থাকার প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলে। সিলেবাসও ছিল সংক্ষিপ্ত। এসব কারণেই মূলত আগের বছরগুলোর চেয়ে ফল ভালো হয়েছে।
এগিয়ে মেয়েরা: এবার ৫০ হাজার ৩২২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন। অন্যদিকে ৪৯ হাজার ৩০৬ জন ছাত্র পরীক্ষা দেন। তাঁদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫০ জন। অবশ্য গত বছরও পাস ও জিপিএ-৫ এর হারে এগিয়ে ছিলেন ছাত্রীরা। তবে এর আগের তিন বছরে ছাত্ররাই জিপিএ-৫ এর হারে এগিয়ে ছিলেন।
হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সিদরাতুল মুনতাহা তানিশা, তাসনিয়া তাহরিরা ইফতা। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে তাঁরা ক্লাস করতে না পারলেও বাসায় প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এর ফল মিলেছে পরীক্ষায়।
শীর্ষে বান্দরবান: চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। প্রতি বার তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষার্থীরাই ফলে পিছিয়ে থাকেন। তবে এবার সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে দুর্দান্ত ফল করেছে বান্দরবান। পাঁচ জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে আছে এ জেলা। চট্টগ্রাম জেলায় যেখানে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ সেখানে বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে অন্য তিন জেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশের নিচে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৮, রাঙামাটি জেলায় ৮১ দশমিক ৬২ শতাংশ ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবু পিছিয়ে: এ বছর নয়টি বোর্ডের মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। যা সব কটি শিক্ষা বোর্ডের পাসের গড় হারের চেয়েও বেশি। আর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে কম। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ২০, রাজশাহীতে ৯৭ দশমিক ২৯, কুমিল্লায় ৯৭ দশমিক ৪৯, বরিশালে ৯৫ দশমিক ৭৬, সিলেটে ৯৪ দশমিক ৮০, দিনাজপুরে ৯২ দশমিক ৪৩ ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৯৫ দশমিক ৭১।
অন্য বোর্ডের চেয়ে কেন পিছিয়ে এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বেশ কিছু পার্বত্য জেলা আছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা কিছুটা কম থাকায় ফলও খারাপ হয়। যার প্রভাব পড়ে বোর্ডের সার্বিক ফলে।’
২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের। পাসের হারে সারা দেশের ৯ সাধারণ বোর্ডের মধ্যে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের অতীতের সাফল্য ছাড়িয়ে গেছে বোর্ড। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। গতকাল রোববার প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মূলত তিন কারণে ফল ও পাসের হার বেড়েছে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে। এবার পরীক্ষায় ইংরেজি, গণিতের মতো বিষয়গুলো ছিল না। সিলেবাসও ছিল সংক্ষিপ্ত। এটিও ভালো ফলের অন্যতম কারণ। ক্লাস না হলেও পরীক্ষার্থীরা বাসায় ভালো প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন। ফলে প্রভাব ফেলেছে এটিও। বোর্ডের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অবশ্য সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়ায় ফল বিশ্লেষণে গতবারের হিসাবকে বাইরে রাখা হল। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৬৭টি কলেজের ৯৯ হাজার ৬২৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৬২ জন। অর্থাৎ পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা ২০১৭-২০১৯, এই তিন বছরের পাসের হারের চেয়ে বেশি। গতবার অটোপাসের পরেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১২ হাজার ১৪৩ জন। জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৭টি বেড়ে এবার পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭২০ জন।
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত বছরের ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার মহামারির কারণে বিষয় ও নম্বর কমানো হয়। গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের ফল প্রকাশ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এবার ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। অতীতে এই বিষয়েই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হতো। বিষয়টি এবার না থাকার প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলে। সিলেবাসও ছিল সংক্ষিপ্ত। এসব কারণেই মূলত আগের বছরগুলোর চেয়ে ফল ভালো হয়েছে।
এগিয়ে মেয়েরা: এবার ৫০ হাজার ৩২২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন। অন্যদিকে ৪৯ হাজার ৩০৬ জন ছাত্র পরীক্ষা দেন। তাঁদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫০ জন। অবশ্য গত বছরও পাস ও জিপিএ-৫ এর হারে এগিয়ে ছিলেন ছাত্রীরা। তবে এর আগের তিন বছরে ছাত্ররাই জিপিএ-৫ এর হারে এগিয়ে ছিলেন।
হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সিদরাতুল মুনতাহা তানিশা, তাসনিয়া তাহরিরা ইফতা। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে তাঁরা ক্লাস করতে না পারলেও বাসায় প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এর ফল মিলেছে পরীক্ষায়।
শীর্ষে বান্দরবান: চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। প্রতি বার তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষার্থীরাই ফলে পিছিয়ে থাকেন। তবে এবার সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে দুর্দান্ত ফল করেছে বান্দরবান। পাঁচ জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে আছে এ জেলা। চট্টগ্রাম জেলায় যেখানে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ সেখানে বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে অন্য তিন জেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশের নিচে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৮, রাঙামাটি জেলায় ৮১ দশমিক ৬২ শতাংশ ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
তবু পিছিয়ে: এ বছর নয়টি বোর্ডের মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ। যা সব কটি শিক্ষা বোর্ডের পাসের গড় হারের চেয়েও বেশি। আর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে কম। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ২০, রাজশাহীতে ৯৭ দশমিক ২৯, কুমিল্লায় ৯৭ দশমিক ৪৯, বরিশালে ৯৫ দশমিক ৭৬, সিলেটে ৯৪ দশমিক ৮০, দিনাজপুরে ৯২ দশমিক ৪৩ ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৯৫ দশমিক ৭১।
অন্য বোর্ডের চেয়ে কেন পিছিয়ে এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বেশ কিছু পার্বত্য জেলা আছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা কিছুটা কম থাকায় ফলও খারাপ হয়। যার প্রভাব পড়ে বোর্ডের সার্বিক ফলে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে