আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ ও আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাগেরহাট আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় নেওয়া প্রায় চার হাজার বাসিন্দা। উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলীর এই চরে যোগাযোগব্যবস্থাও নাজুক। আশপাশে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় বাসিন্দাদের ফার্মেসির ওষুধ কিনতেও তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়।
গঙ্গাচড়া শহর থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রকল্পটির অবস্থান। এখানে প্রথমে ২০০১ সালে তিস্তা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া ২৪০টি পরিবার আশ্রয় নেয়। পরে নদীগর্ভে ভিটেমাটি হারা আরও তিন শতাধিক পরিবার সেখানে গিয়ে ঠাঁই নেয়।
বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রায় চার হাজার মানুষের বাস। তাঁরা তেমন সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
আবাসনে স্ত্রী ও ছয় সন্তান নিয়ে ২১ বছর ধরে থাকা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে অনেক কষ্ট। আশপাশে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটও ভালো না। অসুস্থ হলে ১২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলা হাসপাতালে যেতে হয়। নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছি।’
আরেক বাসিন্দা বেগম জানান, তিন কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তবে সেখানে গেলে রংপুর জেলার মানুষ হওয়ায় তাঁরা কোনো ওষুধ পান না।
১৬ বছর আগে নদীতে বাড়ি হারানো ফাতেমা বলেন, ‘প্রায়ই ছওয়াগুলার জ্বর-কাশি হয়। কাকিনা বাজারে গিয়ে ওষুধ দোকানদারকে মুখ জবানি দিয়া ওষুধ নেই। বেশি অসুস্থ হইলে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার হাটি গঙ্গাচড়া হাসপাতালোত নিয়া যাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে যেতে হয় ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে মহিপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এখানে যাতে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়—এ জন্য নিজের জমির কাগজও দিতে চেয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, আবাসন প্রকল্পটি ঘনবসতিতে পরিণত হয়েছে। নদীভাঙনের এলাকা হওয়ায় প্রথমে সেখানে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেনি। এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেখানে ক্লিনিক করার দাবি জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়। ওই ইউনিয়নে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। তবে নদীর কারণে তাঁরা ক্লিনিক দুটি থেকে সেবা নিতে পারেন না। তাঁরা সেবা নেন মহিপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। বাগেরহাট আবাসন প্রকল্প এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাবনা পাঠাতে গেলে ৮ শতক জমির দরকার। এখন কেউ আর জমি দিতে চান না। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, সাড়া পাইনি।’
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাগেরহাট আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় নেওয়া প্রায় চার হাজার বাসিন্দা। উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলীর এই চরে যোগাযোগব্যবস্থাও নাজুক। আশপাশে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় বাসিন্দাদের ফার্মেসির ওষুধ কিনতেও তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়।
গঙ্গাচড়া শহর থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রকল্পটির অবস্থান। এখানে প্রথমে ২০০১ সালে তিস্তা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া ২৪০টি পরিবার আশ্রয় নেয়। পরে নদীগর্ভে ভিটেমাটি হারা আরও তিন শতাধিক পরিবার সেখানে গিয়ে ঠাঁই নেয়।
বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রায় চার হাজার মানুষের বাস। তাঁরা তেমন সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
আবাসনে স্ত্রী ও ছয় সন্তান নিয়ে ২১ বছর ধরে থাকা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে অনেক কষ্ট। আশপাশে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটও ভালো না। অসুস্থ হলে ১২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলা হাসপাতালে যেতে হয়। নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছি।’
আরেক বাসিন্দা বেগম জানান, তিন কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তবে সেখানে গেলে রংপুর জেলার মানুষ হওয়ায় তাঁরা কোনো ওষুধ পান না।
১৬ বছর আগে নদীতে বাড়ি হারানো ফাতেমা বলেন, ‘প্রায়ই ছওয়াগুলার জ্বর-কাশি হয়। কাকিনা বাজারে গিয়ে ওষুধ দোকানদারকে মুখ জবানি দিয়া ওষুধ নেই। বেশি অসুস্থ হইলে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার হাটি গঙ্গাচড়া হাসপাতালোত নিয়া যাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে যেতে হয় ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে মহিপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এখানে যাতে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়—এ জন্য নিজের জমির কাগজও দিতে চেয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, আবাসন প্রকল্পটি ঘনবসতিতে পরিণত হয়েছে। নদীভাঙনের এলাকা হওয়ায় প্রথমে সেখানে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেনি। এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেখানে ক্লিনিক করার দাবি জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়। ওই ইউনিয়নে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। তবে নদীর কারণে তাঁরা ক্লিনিক দুটি থেকে সেবা নিতে পারেন না। তাঁরা সেবা নেন মহিপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। বাগেরহাট আবাসন প্রকল্প এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাবনা পাঠাতে গেলে ৮ শতক জমির দরকার। এখন কেউ আর জমি দিতে চান না। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, সাড়া পাইনি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে