সম্পাদকীয়
সারা পৃথিবী ভুগছে অস্থিরতায়। দুই বছর দারুণভাবে অস্থির করে তোলা কোভিড আতঙ্কের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এসে পৃথিবীর অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। জ্বালানি তেল যে
কত বড় নির্মম রাজনীতি হয়ে উঠতে পারে, তা পৃথিবী বুঝতে পারছে। যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের প্রবাহ নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যুদ্ধবাজ দেশগুলো। জ্বালানি আমদানি করে যেসব রাষ্ট্র, তারা সবাই পড়েছে বিপাকে। সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকা ঘাঁটলে কিংবা তাদের টেলিভিশন দেখলে এই অস্থিরতা টের পাওয়া যায়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে আমরা কত ধরনের সংকটে পড়ব, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেসব দেশের অর্থনীতি বিদেশি ঋণ ও সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেই সব দেশের সামনে এখন অশনিসংকেত। অনেক দেশই এখন গভীরভাবে ভাবছে, কী করে এই সংকট মোকাবিলা করবে।
ঠিক এ রকম সময় হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের শুরুতেই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার তুলনায় ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে ডলারের। মন্দা আসতে পারে ভেবে বিনিয়োগকারীরা ভয়ার্ত হয়ে এখন তাঁদের অর্থ লগ্নি করছেন ডলারে। এই অনিশ্চিত সময়ে ডলারকেই তাঁরা ভাবছেন রক্ষাকবচ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অর্ধেকের বেশি হয় মার্কিন ডলারে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিনির্ভর অর্থনীতি পড়বে বিপাকে। কলকারখানায় দেখা দেবে সংকট। যেসব দেশের সরকার তাদের বিদেশি ঋণ ডলারে পরিশোধ করে, তাদের রিজার্ভে টান পড়বে। ডলারের চড়া মূল্য অনেক দেশের অর্থনীতিকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে, সে তো খোলা চোখেই দেখা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কথা তো নতুন করে বলার নয়, এখন পাকিস্তান এবং মিসরের দিকে তাকালেও সেই হাহাকারের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এমনিতেই দেশ দুটিতে খাদ্যপণ্যের দাম চড়া, তার ওপর এখন তেজি ডলারের আঘাতে তাদের রিজার্ভ সংকটের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরাও সরে যাওয়া শুরু করায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় কাটছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর উপায় নেই।
মার্কিন ডলার অনেকটা শাঁখের করাতের মতো। যখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি মজবুত হয়, তখন যেমন ডলারের দাম বাড়ে, তেমনি যখন অর্থনীতি দুর্বল হয়, তখনো বাড়ে। উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থের জন্য ডলারকেই ভেবে নেন নিরাপদ।
ডলারের দাম বাড়লে দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোয় বাজেটে চাপ বাড়বে। বিদেশি ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাবে তারা। বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগের অর্থ এমন কোনো দেশে রাখতে চাইবেন, যেখানে তাঁদের বিনিয়োগ করা অর্থ নিরাপদে থাকে। এতে দুর্বল অর্থনীতির দেশ বিদেশি মুদ্রার ক্ষেত্রে বিপদে পড়বে। ডলারের দাম বাড়ায় কলকারখানাগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে না। আরও অনেক রকম সংকট রয়েছে, যা ক্রমেই দৃশ্যমান হবে।
বাংলাদেশের কথা আলাদাভাবে বলা হলো না। কোন কোন সংকটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে, তা এই কথাগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই দেশের প্রকৃত চিত্র বোঝা সহজ হবে।
সারা পৃথিবী ভুগছে অস্থিরতায়। দুই বছর দারুণভাবে অস্থির করে তোলা কোভিড আতঙ্কের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এসে পৃথিবীর অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। জ্বালানি তেল যে
কত বড় নির্মম রাজনীতি হয়ে উঠতে পারে, তা পৃথিবী বুঝতে পারছে। যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের প্রবাহ নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যুদ্ধবাজ দেশগুলো। জ্বালানি আমদানি করে যেসব রাষ্ট্র, তারা সবাই পড়েছে বিপাকে। সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকা ঘাঁটলে কিংবা তাদের টেলিভিশন দেখলে এই অস্থিরতা টের পাওয়া যায়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে আমরা কত ধরনের সংকটে পড়ব, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেসব দেশের অর্থনীতি বিদেশি ঋণ ও সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেই সব দেশের সামনে এখন অশনিসংকেত। অনেক দেশই এখন গভীরভাবে ভাবছে, কী করে এই সংকট মোকাবিলা করবে।
ঠিক এ রকম সময় হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের শুরুতেই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার তুলনায় ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে ডলারের। মন্দা আসতে পারে ভেবে বিনিয়োগকারীরা ভয়ার্ত হয়ে এখন তাঁদের অর্থ লগ্নি করছেন ডলারে। এই অনিশ্চিত সময়ে ডলারকেই তাঁরা ভাবছেন রক্ষাকবচ।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অর্ধেকের বেশি হয় মার্কিন ডলারে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিনির্ভর অর্থনীতি পড়বে বিপাকে। কলকারখানায় দেখা দেবে সংকট। যেসব দেশের সরকার তাদের বিদেশি ঋণ ডলারে পরিশোধ করে, তাদের রিজার্ভে টান পড়বে। ডলারের চড়া মূল্য অনেক দেশের অর্থনীতিকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে, সে তো খোলা চোখেই দেখা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কথা তো নতুন করে বলার নয়, এখন পাকিস্তান এবং মিসরের দিকে তাকালেও সেই হাহাকারের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এমনিতেই দেশ দুটিতে খাদ্যপণ্যের দাম চড়া, তার ওপর এখন তেজি ডলারের আঘাতে তাদের রিজার্ভ সংকটের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরাও সরে যাওয়া শুরু করায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় কাটছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর উপায় নেই।
মার্কিন ডলার অনেকটা শাঁখের করাতের মতো। যখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি মজবুত হয়, তখন যেমন ডলারের দাম বাড়ে, তেমনি যখন অর্থনীতি দুর্বল হয়, তখনো বাড়ে। উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থের জন্য ডলারকেই ভেবে নেন নিরাপদ।
ডলারের দাম বাড়লে দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোয় বাজেটে চাপ বাড়বে। বিদেশি ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাবে তারা। বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগের অর্থ এমন কোনো দেশে রাখতে চাইবেন, যেখানে তাঁদের বিনিয়োগ করা অর্থ নিরাপদে থাকে। এতে দুর্বল অর্থনীতির দেশ বিদেশি মুদ্রার ক্ষেত্রে বিপদে পড়বে। ডলারের দাম বাড়ায় কলকারখানাগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচামাল আমদানি করতে পারবে না। আরও অনেক রকম সংকট রয়েছে, যা ক্রমেই দৃশ্যমান হবে।
বাংলাদেশের কথা আলাদাভাবে বলা হলো না। কোন কোন সংকটের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে, তা এই কথাগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই দেশের প্রকৃত চিত্র বোঝা সহজ হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে