কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অতিরিক্ত দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীর আগমনে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত কয়েক দিন প্রায় সাত হাজার দর্শনার্থী উদ্যানটিতে আসেন। ফলে বন্য প্রাণী পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গেল তিন দিনে প্রায় সাত হাজার দর্শনার্থী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করেছেন। অনেকে হোটেল-মোটেল না পেয়ে সকাল থেকেই প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে, তবে বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতীতের তুলনায় এ বছর অধিক দর্শনার্থী এসেছেন, যা বন্য প্রাণীর জন্য হুমকিস্বরূপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারা দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীরা উদ্যানের ভেতর ও বাইরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল, চিপস, বিস্কুট, চকলেটর খালি প্যাকেট ফেলছেন। বনের ভেতরে চিৎকার করে বিভিন্ন প্রাণীদের ইশারা করছেন। ধারণক্ষমতার বেশি দর্শনার্থী আসায় বাজারের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বনের ভেতরে রেললাইনে বসে অনেককে গান গাইতে দেখা যায়। অতিরিক্ত মানুষের ভয়ে উল্লুক এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছোটাছুটি করছে। এ ছাড়াও ঘন ঘন ট্রেনের আশা-যাওয়া, গাড়ির হর্নের শব্দে দিশেহারা বনের প্রাণী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক সালেহ সোহেল বলেন, দর্শনার্থীরা বনের জীববৈচিত্র্যকে কঠিন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দর্শনার্থীদের পরিবেশর ক্ষতি না করে প্রবেশ করাতে হবে। নয়তো একদিন এই উদ্যান থেকে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, একসঙ্গে এত দর্শনার্থী লাউয়াছড়ায় কখনো দেখেননি তিনি। দর্শনার্থীরা বন বিভাগের নির্দেশনা কিছুই মানছে না। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে বনের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা সব সময় দর্শনার্থীদের ওপর নজর রাখছেন, যাতে বনের ক্ষতি না হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দর্শনার্থী আগমন বেশি হওয়ার কারণে বনের ওপর প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশের কারণে বন্যপ্রাণী লোকালয় থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আবার বেড়ে যায়। তবে দু-এক দিনের মধ্যে দর্শনার্থী কমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থী আসায় সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে, তবে বনের ক্ষতি করে এটা দরকার নেই। দর্শনার্থী ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক বিপদে আছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় এ উদ্যানটি ১ হাজার ২৫০ হেক্টর আয়তনের। এখানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অতিরিক্ত দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীর আগমনে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত কয়েক দিন প্রায় সাত হাজার দর্শনার্থী উদ্যানটিতে আসেন। ফলে বন্য প্রাণী পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গেল তিন দিনে প্রায় সাত হাজার দর্শনার্থী লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করেছেন। অনেকে হোটেল-মোটেল না পেয়ে সকাল থেকেই প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে, তবে বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতীতের তুলনায় এ বছর অধিক দর্শনার্থী এসেছেন, যা বন্য প্রাণীর জন্য হুমকিস্বরূপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারা দেশ থেকে আসা দর্শনার্থীরা উদ্যানের ভেতর ও বাইরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল, চিপস, বিস্কুট, চকলেটর খালি প্যাকেট ফেলছেন। বনের ভেতরে চিৎকার করে বিভিন্ন প্রাণীদের ইশারা করছেন। ধারণক্ষমতার বেশি দর্শনার্থী আসায় বাজারের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বনের ভেতরে রেললাইনে বসে অনেককে গান গাইতে দেখা যায়। অতিরিক্ত মানুষের ভয়ে উল্লুক এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছোটাছুটি করছে। এ ছাড়াও ঘন ঘন ট্রেনের আশা-যাওয়া, গাড়ির হর্নের শব্দে দিশেহারা বনের প্রাণী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক সালেহ সোহেল বলেন, দর্শনার্থীরা বনের জীববৈচিত্র্যকে কঠিন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দর্শনার্থীদের পরিবেশর ক্ষতি না করে প্রবেশ করাতে হবে। নয়তো একদিন এই উদ্যান থেকে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, একসঙ্গে এত দর্শনার্থী লাউয়াছড়ায় কখনো দেখেননি তিনি। দর্শনার্থীরা বন বিভাগের নির্দেশনা কিছুই মানছে না। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে বনের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা সব সময় দর্শনার্থীদের ওপর নজর রাখছেন, যাতে বনের ক্ষতি না হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দর্শনার্থী আগমন বেশি হওয়ার কারণে বনের ওপর প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশের কারণে বন্যপ্রাণী লোকালয় থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আবার বেড়ে যায়। তবে দু-এক দিনের মধ্যে দর্শনার্থী কমে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থী আসায় সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে, তবে বনের ক্ষতি করে এটা দরকার নেই। দর্শনার্থী ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক বিপদে আছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় এ উদ্যানটি ১ হাজার ২৫০ হেক্টর আয়তনের। এখানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে