আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আমচাষিরা ইউরোপের বাজার ধরতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাগান পরিচর্যা করছেন। ইউরোপের চাহিদামতো গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁরা পোকা ও ছত্রাক দমনে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আমের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় এ বছর ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০০ মেট্রিক টন হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম রূপালি আম ডেনমার্ক, ইতালি, সুইডেন ও জার্মানিতে রপ্তানির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় দেখা যায়, চাষিরা আম গাছে স্বল্প মাত্রার কীটনাশক স্প্রে করছেন। আবার কেউ কেউ বাগানের ঘাস পরিচর্যা করছেন।
এ বিষয়ে মথুরেশপুর গ্রামের আমচাষি লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমি এখন স্বল্প মাত্রার কীটনাশক স্প্রে করছি। সঙ্গে ছত্রাকনাশকও স্প্রে করছি। কীটনাশক স্প্রে করলি হপার জাতীয় পোকা দমন হয়। আর ছত্রাকনাশক স্প্রে করলি কুয়াশায় মুকুল কালো হয় না।’
লিয়াকত আরও বলেন, ‘বাগানের পরিচর্যা সারা বছরই হয়। আম ভাঙার পরপরই শুকিয়ে যাওয়া ডালগুলো ভাঙি ফেলতি হয়। আম পুষ্ট করার জন্য সার দিতি হয়। আর আম যখন মার্বেলের মতো হয়, তখন স্প্রে বন্ধ। পোকা মারার জন্য তখন ফেরোমন ফাঁদ দিতি হয়।’
তবে এবার গাছে গুটি ধরেছে কম। এ নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। এ বিষয়ে সদর উপজেলার দেবনগর এলাকার চাষি আবু হায়াত বলেন, ‘আম বাগানগুলো ভর্তি মুকুলে। তবে গুটি আমের সংখ্যা কম। গোবিন্দভোগ গাছে গুটি কিছুটা ধরলিও হিমসাগরের গাছ গুটিশুন্য। কুয়াশার কারণে, নাকি অন্য কারণে এমন হতিছে, বুজতি পারছিনে।
তালা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামের আম চাষি কল্যাণ ঘোষ জানান, ৫ বিঘা জমিতে খরচ হয় লাখের ওপর। আম বিদেশে পাঠানোর জন্য গুণগত মান বজায় রাখতে হয়। এবার গুটি আম কম ধরেছে। তাই খরচ উঠবে কি না সন্দেহ।’
তবে গাছে গুটি রাখতে পোকা দমনসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, সেচের তারতম্যের কারণে গুটি ঝরতে পারে। তাই চাষিদের উচিত পরিমাণমতো সেচ দেওয়া। এ ছাড়া হপার পোকার আক্রমণ রুখতে স্প্রে করতে হবে। গুটি ধরার পরে আরও একবার স্প্রে করতে হবে। অথবা প্রয়োজনে ইউরিয়া স্প্রে করেও গুটি ঝরা থেকে রক্ষা পেতে পারেন চাষিরা।
সাতক্ষীরার আমচাষিরা ইউরোপের বাজার ধরতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাগান পরিচর্যা করছেন। ইউরোপের চাহিদামতো গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁরা পোকা ও ছত্রাক দমনে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আমের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় এ বছর ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০০ মেট্রিক টন হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম রূপালি আম ডেনমার্ক, ইতালি, সুইডেন ও জার্মানিতে রপ্তানির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় দেখা যায়, চাষিরা আম গাছে স্বল্প মাত্রার কীটনাশক স্প্রে করছেন। আবার কেউ কেউ বাগানের ঘাস পরিচর্যা করছেন।
এ বিষয়ে মথুরেশপুর গ্রামের আমচাষি লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমি এখন স্বল্প মাত্রার কীটনাশক স্প্রে করছি। সঙ্গে ছত্রাকনাশকও স্প্রে করছি। কীটনাশক স্প্রে করলি হপার জাতীয় পোকা দমন হয়। আর ছত্রাকনাশক স্প্রে করলি কুয়াশায় মুকুল কালো হয় না।’
লিয়াকত আরও বলেন, ‘বাগানের পরিচর্যা সারা বছরই হয়। আম ভাঙার পরপরই শুকিয়ে যাওয়া ডালগুলো ভাঙি ফেলতি হয়। আম পুষ্ট করার জন্য সার দিতি হয়। আর আম যখন মার্বেলের মতো হয়, তখন স্প্রে বন্ধ। পোকা মারার জন্য তখন ফেরোমন ফাঁদ দিতি হয়।’
তবে এবার গাছে গুটি ধরেছে কম। এ নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। এ বিষয়ে সদর উপজেলার দেবনগর এলাকার চাষি আবু হায়াত বলেন, ‘আম বাগানগুলো ভর্তি মুকুলে। তবে গুটি আমের সংখ্যা কম। গোবিন্দভোগ গাছে গুটি কিছুটা ধরলিও হিমসাগরের গাছ গুটিশুন্য। কুয়াশার কারণে, নাকি অন্য কারণে এমন হতিছে, বুজতি পারছিনে।
তালা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামের আম চাষি কল্যাণ ঘোষ জানান, ৫ বিঘা জমিতে খরচ হয় লাখের ওপর। আম বিদেশে পাঠানোর জন্য গুণগত মান বজায় রাখতে হয়। এবার গুটি আম কম ধরেছে। তাই খরচ উঠবে কি না সন্দেহ।’
তবে গাছে গুটি রাখতে পোকা দমনসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, সেচের তারতম্যের কারণে গুটি ঝরতে পারে। তাই চাষিদের উচিত পরিমাণমতো সেচ দেওয়া। এ ছাড়া হপার পোকার আক্রমণ রুখতে স্প্রে করতে হবে। গুটি ধরার পরে আরও একবার স্প্রে করতে হবে। অথবা প্রয়োজনে ইউরিয়া স্প্রে করেও গুটি ঝরা থেকে রক্ষা পেতে পারেন চাষিরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে