রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর
জৈন্তাপুর উপজেলায় পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে চার শ পরিবার। অপরিকল্পিতভাবে এই বসবাসের কারণে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি জেনেও থেমে নেই পাহাড় কাটা। উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, চিকনাগুল ইউনিয়নের সাতজনি গ্রামে বর্তমানে অন্তত ১৬টি পরিবার পাহাড়ধসের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। ওই গ্রামের প্রবেশপথে দুটি পাহাড় কেটে তার মাঝেই ঘর নির্মাণ করেছে একটি পরিবার। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে পড়লে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
শুধু সাতজনিতেই নয়, চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর, কহাইগড়, খান চা-বাগানের একাংশ, বিপিএল, ফতেপুর ইউনিয়নের শিকারখা, চানঘাট, হরিপুর, উৎলাপাড়, জলাটিলা, বাগেরখাল, দলইপাড়া, শ্যামপুর, চানঘাট, জার্মানি টিলা, চারিকাটা ইউনিয়নের পঞ্চাশের টিলা, বনপাড়া, লামাপাড়া, থুবাং, গৌরী, কুমারপাড়া, ভিত্রিখেল, গুচ্ছগ্রাম, চামটি, নয়াখেল, ইটাখলা, বালিদাঁড়া, লালাখাল, মনতলা, বনপাড়া, নিজপাট ইউনিয়নের কালিঞ্জি, কামরাঙ্গী, বাইরাখেল, নয়াগ্রাম, গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, সারীঘাট, ঢুপি, দিগারাইল এবং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর এলাকায় অন্তত চার শ পরিবার পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে ৫টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৬ জুন ভোর ৫টায় চিকনাগুল ইউনিয়নের সাতজনি গ্রামে পাহাড় ধসে এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু ও আটজন আহত হন। একই গ্রামে ৫ জুন পাহাড় ধসে একটি গাভির মৃত্যু হয়। ৪ জুন একই গ্রামে দুটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে।
এর আগে ২০০৮ সালে চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া গ্রামে পাহাড় ধসে পুঙ্গ পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ২০০০ সাল থেকে গত ২০ বছরে জৈন্তাপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে অন্তত ৪০টি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব ঘটনার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলার বাসিন্দা সাজ উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম, হানিফ আহমদ, জাকারিয়া মাহমুদ, হোসেন আহমদ, খায়রুল ইসলাম, শামীম আহমদ, তোফাজ্জুল ইসলাম, আব্দুল করিম জানান, পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), পরিবেশ অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, হরিপুর এলাকার চিহ্নিত একটি চক্র পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। বর্তমানে দুর্ঘটনার পরও থেমে নেই চক্রটি। তারা রাস্তা ভরাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বাজার ভরাটের নামে অবৈধভাবে উপজেলার পাহাড় ও টিলা কাটা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘১৯৯৮ সাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ও টিলা কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসন নামমাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা। তাঁদের দাবি পাহাড়ের মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনে মামলাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়।
এ সময় আশঙ্কা জানিয়ে তাঁরা বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে উপজেলার সব ক’টি পাহাড় ও টিলা ধ্বংস হবে। প্রশাসনের উদ্যোগ না থাকলে মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হবে।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে সব ক’টি ইউনিয়নের পাহাড় ও টিলায় বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে যে বা যারা পাহাড় কাটবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় পাহাড় কাটা ব্যক্তিদের তথ্য জানা থাকলে প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান ইউএনও।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে চার শ পরিবার। অপরিকল্পিতভাবে এই বসবাসের কারণে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝুঁকি জেনেও থেমে নেই পাহাড় কাটা। উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, চিকনাগুল ইউনিয়নের সাতজনি গ্রামে বর্তমানে অন্তত ১৬টি পরিবার পাহাড়ধসের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। ওই গ্রামের প্রবেশপথে দুটি পাহাড় কেটে তার মাঝেই ঘর নির্মাণ করেছে একটি পরিবার। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে পড়লে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
শুধু সাতজনিতেই নয়, চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর, কহাইগড়, খান চা-বাগানের একাংশ, বিপিএল, ফতেপুর ইউনিয়নের শিকারখা, চানঘাট, হরিপুর, উৎলাপাড়, জলাটিলা, বাগেরখাল, দলইপাড়া, শ্যামপুর, চানঘাট, জার্মানি টিলা, চারিকাটা ইউনিয়নের পঞ্চাশের টিলা, বনপাড়া, লামাপাড়া, থুবাং, গৌরী, কুমারপাড়া, ভিত্রিখেল, গুচ্ছগ্রাম, চামটি, নয়াখেল, ইটাখলা, বালিদাঁড়া, লালাখাল, মনতলা, বনপাড়া, নিজপাট ইউনিয়নের কালিঞ্জি, কামরাঙ্গী, বাইরাখেল, নয়াগ্রাম, গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, সারীঘাট, ঢুপি, দিগারাইল এবং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর এলাকায় অন্তত চার শ পরিবার পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে ৫টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৬ জুন ভোর ৫টায় চিকনাগুল ইউনিয়নের সাতজনি গ্রামে পাহাড় ধসে এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু ও আটজন আহত হন। একই গ্রামে ৫ জুন পাহাড় ধসে একটি গাভির মৃত্যু হয়। ৪ জুন একই গ্রামে দুটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে।
এর আগে ২০০৮ সালে চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া গ্রামে পাহাড় ধসে পুঙ্গ পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ২০০০ সাল থেকে গত ২০ বছরে জৈন্তাপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে অন্তত ৪০টি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব ঘটনার পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
উপজেলার বাসিন্দা সাজ উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম, হানিফ আহমদ, জাকারিয়া মাহমুদ, হোসেন আহমদ, খায়রুল ইসলাম, শামীম আহমদ, তোফাজ্জুল ইসলাম, আব্দুল করিম জানান, পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), পরিবেশ অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, হরিপুর এলাকার চিহ্নিত একটি চক্র পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। বর্তমানে দুর্ঘটনার পরও থেমে নেই চক্রটি। তারা রাস্তা ভরাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বাজার ভরাটের নামে অবৈধভাবে উপজেলার পাহাড় ও টিলা কাটা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘১৯৯৮ সাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ও টিলা কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসন নামমাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা। তাঁদের দাবি পাহাড়ের মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনে মামলাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়।
এ সময় আশঙ্কা জানিয়ে তাঁরা বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে উপজেলার সব ক’টি পাহাড় ও টিলা ধ্বংস হবে। প্রশাসনের উদ্যোগ না থাকলে মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হবে।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে সব ক’টি ইউনিয়নের পাহাড় ও টিলায় বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে যে বা যারা পাহাড় কাটবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় পাহাড় কাটা ব্যক্তিদের তথ্য জানা থাকলে প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান ইউএনও।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে