রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, ঘুষ-বাণিজ্য ও শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে গত ৩০ জুলাই বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৭ জন শিক্ষক। গতকাল সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের দেওয়া অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাপ্য ১৩তম গ্রেডের বকেয়া বিল দেওয়ার জন্য সদর উপজেলার প্রায় ৬০০ সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তারপরও শিক্ষকদের বকেয়া বিল দিতে পারেননি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নানা ধরনের খরচের (হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পাওয়া) ৩৯টি চেক নির্ধারিত সময়ে (২৬ জুলাইয়ের মধ্যে) অফিসের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দিতে পারেননি দুলাল। যার টাকার অঙ্ক ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এতে ওই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। শিক্ষকদের দাবি, দায়িত্বে অবহেলা এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত উৎকোচ না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে চেক জমা করেননি দুলাল।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি কিছু শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময় অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. মজিদের স্বাক্ষর জাল করে নির্ধারিত মেয়াদের আগেই শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে আদেশ দেন। বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারিখে একটি অফিস আদেশে ৪৩ জন শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। এ তালিকার ২১ নম্বর ক্রমিকে খালেদা আক্তার রিনার যোগদানের তারিখ ১৯ জুন ২০১৬, ৩৭ নম্বর ক্রমিকে সহকারী শিক্ষক মাহমুদা বেগমের যোগদানের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬। কিন্তু তাঁদের ২ বছরের আগেই ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর চাকরিতে স্থায়ীকরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্থায়ীকরণের জন্য ৩ বছর চাকরির বয়স থাকতে হবে বলে স্বীকার করেছেন দুলাল কৃষ্ণ।
সদর উপজেলার গাজী মাহমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা আক্তার রিনা বলেন, ‘সম্ভবত ২০১৯ সালে আমার স্থায়ীকরণের কাগজপত্র অফিসে জমা দিয়েছি। তারপর কীভাবে, কোন তারিখে অফিস চাকরি স্থায়ীকরণ করেছে, তা সঠিক জানা নেই। বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন, এগুলো অফিসের বিষয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুলাল কৃষ্ণ সদর উপজেলার ২২৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮টি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করা টাকা কর্তৃপক্ষকে দিতে গড়িমসি করছেন।
কড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় উচ্চমান সহকারী দুলাল বাবুর বেপরোয়া আচরণ, ঘুষ-বাণিজ্য এবং শিক্ষক হয়রানি থামছে না।’
দুলাল কৃষ্ণ বলেন, ভুলবশত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেকগুলো জমা হয়নি। এগুলো পুনরায় পাওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উৎকোচ না দেওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে চেকগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠানো হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। দুই বছরের আগে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি কীভাবে স্থায়ীকরণের আদেশ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। বরগুনা এসে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি চেক জমা দেননি। ভুলবশত নির্ধারিত সময়ে চেক জমা করেননি—এমনটি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এটি দায়িত্বের অবহেলা, তাই এ ব্যাপারে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
বরগুনা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, ঘুষ-বাণিজ্য ও শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে গত ৩০ জুলাই বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৭ জন শিক্ষক। গতকাল সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের দেওয়া অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাপ্য ১৩তম গ্রেডের বকেয়া বিল দেওয়ার জন্য সদর উপজেলার প্রায় ৬০০ সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তারপরও শিক্ষকদের বকেয়া বিল দিতে পারেননি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নানা ধরনের খরচের (হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পাওয়া) ৩৯টি চেক নির্ধারিত সময়ে (২৬ জুলাইয়ের মধ্যে) অফিসের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দিতে পারেননি দুলাল। যার টাকার অঙ্ক ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এতে ওই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। শিক্ষকদের দাবি, দায়িত্বে অবহেলা এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত উৎকোচ না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে চেক জমা করেননি দুলাল।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি কিছু শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময় অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. মজিদের স্বাক্ষর জাল করে নির্ধারিত মেয়াদের আগেই শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে আদেশ দেন। বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারিখে একটি অফিস আদেশে ৪৩ জন শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। এ তালিকার ২১ নম্বর ক্রমিকে খালেদা আক্তার রিনার যোগদানের তারিখ ১৯ জুন ২০১৬, ৩৭ নম্বর ক্রমিকে সহকারী শিক্ষক মাহমুদা বেগমের যোগদানের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬। কিন্তু তাঁদের ২ বছরের আগেই ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর চাকরিতে স্থায়ীকরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্থায়ীকরণের জন্য ৩ বছর চাকরির বয়স থাকতে হবে বলে স্বীকার করেছেন দুলাল কৃষ্ণ।
সদর উপজেলার গাজী মাহমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা আক্তার রিনা বলেন, ‘সম্ভবত ২০১৯ সালে আমার স্থায়ীকরণের কাগজপত্র অফিসে জমা দিয়েছি। তারপর কীভাবে, কোন তারিখে অফিস চাকরি স্থায়ীকরণ করেছে, তা সঠিক জানা নেই। বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন, এগুলো অফিসের বিষয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুলাল কৃষ্ণ সদর উপজেলার ২২৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮টি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করা টাকা কর্তৃপক্ষকে দিতে গড়িমসি করছেন।
কড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় উচ্চমান সহকারী দুলাল বাবুর বেপরোয়া আচরণ, ঘুষ-বাণিজ্য এবং শিক্ষক হয়রানি থামছে না।’
দুলাল কৃষ্ণ বলেন, ভুলবশত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেকগুলো জমা হয়নি। এগুলো পুনরায় পাওয়ার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উৎকোচ না দেওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে চেকগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠানো হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। দুই বছরের আগে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি কীভাবে স্থায়ীকরণের আদেশ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। বরগুনা এসে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি চেক জমা দেননি। ভুলবশত নির্ধারিত সময়ে চেক জমা করেননি—এমনটি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এটি দায়িত্বের অবহেলা, তাই এ ব্যাপারে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে