নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওয়ানডে সুপার লিগের হাসিটা বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। আইসিসির এই প্রতিযোগিতায় টেবিলের তলানিতে যে বাংলাদেশের অবস্থান, সেটির পেছনে ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত কম দায়ী নয়। গত কিছুদিনে সাদা বলের দুই সংস্করণে বাংলাদেশের ফিল্ডিং যেভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে, ঠিক বিপরীত ছবি লাল বলের ফিল্ডিংয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের আগে বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই হবে বাংলাদেশকে।
২০২১-২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে ৯ দলের মধ্যে সফলভাবে ক্যাচ ধরার পরিসংখ্যানে সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। এই সময়ে তৈরি হওয়া সুযোগের ৬৬ শতাংশ ক্যাচে পরিণত করতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ১০০ ক্যাচের ৩৪টাই হাতছাড়া করেছেন তাঁরা। ১২ টেস্টে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের কাছে ক্যাচ গেছে ৬১টি। তাঁরা তালুবন্দী করতে পেরেছেন ৪০টি।
উইকেটকিপারসহ ধরলে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭। ৯ দলের মধ্যে এখানেও বাংলাদেশের ফিল্ডাররাই সবার নিচে।শেষ হতে চলা এ চক্রে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন ইংল্যান্ড ফিল্ডাররা। ৩৩ ম্যাচে ইংলিশ ফিল্ডাররা ক্যাচ নিয়েছেন ১৬৫টি। উইকেটকিপাররা নিয়েছেন ৯৩টি।টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যাচ ধরার হার যথাক্রমে ৭৯ ও ৭৫ শতাংশ। ২১ ম্যাচে অজি ফিল্ডাররা ধরেছেন ১২৩টি ক্যাচ। উইকেটকিপারসহ ধরলে সংখ্যা ১৮৫টি।
যে দল সাদা বলে ফিল্ডিংয়ে দারুণ উন্নতি করছে, টেস্টে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের বিপরীত ছবি নিয়ে সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ আজকের পত্রিকা বলেছেন, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ে যে মনোযোগটা দেওয়া হয়, টেস্টে সেটা একটু কম। সবাই ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকে। এসব নিয়ে একটু বেশি কাজ করে। ফিল্ডিং হচ্ছে প্যাশনের জায়গা, এখানে আরও বেশি মনোযোগ বাড়ালে টেস্টেও আমরা ভালো করব। আমার মনে হয়, এখানে ফিল্ডিংয়ের স্কিল ফিটনেসটা একটু কম। এটা নিয়ে কাজ করলে ভালো করা যাবে। মনঃসংযোগ আর প্রস্তুতিটা দরকার।’
৪ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের ঠিক ওপরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডাররা এই তালিকায় সবার ওপরে। তাঁরা ৮৫ শতাংশ ক্যাচই ঠিকঠাক তালুবন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রশ্ন আসে, শতকরা ৮৫ ভাগ ক্যাচ ধরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে?
এখানে ব্যাটারদের ভালো করার ব্যাপার যেমন আছে, তেমনি বোলারদের সুযোগ তৈরির বিষয়টিও আছে। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডাররা ১০০টা ক্যাচের মধ্যে গড়ে ২৫টা মিস করলেও বোলাররা সুযোগ বেশি তৈরি করায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি তাদের পারফরম্যান্সে। এ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ উইকেট শিকারির তিনজনই যে অজি বোলার।
বাংলাদেশের বোলাররা ফিল্ডারদের জন্য তো কম সুযোগ তৈরি করছেনই। সুযোগ যেটুকু আসছে, সেটাও ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারছেন না। একসময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিল্ডিং দিয়ে বিশেষ নজর কাড়া রাজিন বলেছেন, ‘যখন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা দেখি মনে হয়, আমাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব একটু কম (টেস্টে)। টেস্টে যদি আক্রমণাত্মক ভাবটা না থাকে তাহলে মনঃসংযোগ কমে যাবে। তখনই আপনার ক্যাচ মিস হবে। ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে মাঠে ইনভলভমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। বল ধরে একটা থ্রো করা, ব্যাকআপ ফিল্ডিং—মনঃসংযোগটা বাড়ে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্য দেশের ক্ষেত্রে মিস হলেও তারা সেটা কাটিয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাবটা থাকে, একটা রানআউট করার চেষ্টা করে। এক-দুইটা দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে নেয়।’
ওয়ানডে সুপার লিগের হাসিটা বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। আইসিসির এই প্রতিযোগিতায় টেবিলের তলানিতে যে বাংলাদেশের অবস্থান, সেটির পেছনে ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত কম দায়ী নয়। গত কিছুদিনে সাদা বলের দুই সংস্করণে বাংলাদেশের ফিল্ডিং যেভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে, ঠিক বিপরীত ছবি লাল বলের ফিল্ডিংয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের আগে বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই হবে বাংলাদেশকে।
২০২১-২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে ৯ দলের মধ্যে সফলভাবে ক্যাচ ধরার পরিসংখ্যানে সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। এই সময়ে তৈরি হওয়া সুযোগের ৬৬ শতাংশ ক্যাচে পরিণত করতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ১০০ ক্যাচের ৩৪টাই হাতছাড়া করেছেন তাঁরা। ১২ টেস্টে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের কাছে ক্যাচ গেছে ৬১টি। তাঁরা তালুবন্দী করতে পেরেছেন ৪০টি।
উইকেটকিপারসহ ধরলে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭। ৯ দলের মধ্যে এখানেও বাংলাদেশের ফিল্ডাররাই সবার নিচে।শেষ হতে চলা এ চক্রে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন ইংল্যান্ড ফিল্ডাররা। ৩৩ ম্যাচে ইংলিশ ফিল্ডাররা ক্যাচ নিয়েছেন ১৬৫টি। উইকেটকিপাররা নিয়েছেন ৯৩টি।টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যাচ ধরার হার যথাক্রমে ৭৯ ও ৭৫ শতাংশ। ২১ ম্যাচে অজি ফিল্ডাররা ধরেছেন ১২৩টি ক্যাচ। উইকেটকিপারসহ ধরলে সংখ্যা ১৮৫টি।
যে দল সাদা বলে ফিল্ডিংয়ে দারুণ উন্নতি করছে, টেস্টে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের বিপরীত ছবি নিয়ে সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ আজকের পত্রিকা বলেছেন, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ে যে মনোযোগটা দেওয়া হয়, টেস্টে সেটা একটু কম। সবাই ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকে। এসব নিয়ে একটু বেশি কাজ করে। ফিল্ডিং হচ্ছে প্যাশনের জায়গা, এখানে আরও বেশি মনোযোগ বাড়ালে টেস্টেও আমরা ভালো করব। আমার মনে হয়, এখানে ফিল্ডিংয়ের স্কিল ফিটনেসটা একটু কম। এটা নিয়ে কাজ করলে ভালো করা যাবে। মনঃসংযোগ আর প্রস্তুতিটা দরকার।’
৪ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের ঠিক ওপরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডাররা এই তালিকায় সবার ওপরে। তাঁরা ৮৫ শতাংশ ক্যাচই ঠিকঠাক তালুবন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রশ্ন আসে, শতকরা ৮৫ ভাগ ক্যাচ ধরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে?
এখানে ব্যাটারদের ভালো করার ব্যাপার যেমন আছে, তেমনি বোলারদের সুযোগ তৈরির বিষয়টিও আছে। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডাররা ১০০টা ক্যাচের মধ্যে গড়ে ২৫টা মিস করলেও বোলাররা সুযোগ বেশি তৈরি করায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি তাদের পারফরম্যান্সে। এ প্রতিযোগিতায় সেরা ১০ উইকেট শিকারির তিনজনই যে অজি বোলার।
বাংলাদেশের বোলাররা ফিল্ডারদের জন্য তো কম সুযোগ তৈরি করছেনই। সুযোগ যেটুকু আসছে, সেটাও ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারছেন না। একসময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিল্ডিং দিয়ে বিশেষ নজর কাড়া রাজিন বলেছেন, ‘যখন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা দেখি মনে হয়, আমাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব একটু কম (টেস্টে)। টেস্টে যদি আক্রমণাত্মক ভাবটা না থাকে তাহলে মনঃসংযোগ কমে যাবে। তখনই আপনার ক্যাচ মিস হবে। ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে মাঠে ইনভলভমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। বল ধরে একটা থ্রো করা, ব্যাকআপ ফিল্ডিং—মনঃসংযোগটা বাড়ে। অস্ট্রেলিয়া বা অন্য দেশের ক্ষেত্রে মিস হলেও তারা সেটা কাটিয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভাবটা থাকে, একটা রানআউট করার চেষ্টা করে। এক-দুইটা দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে নেয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে