সম্পাদকীয়
বুধবার ঢাকাবাসী হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিড়ম্বনা কাকে বলে। রাজনীতির মাঠ একটু উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই ঢাকার রাস্তাঘাট কখনো কখনো পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ছে। বুধবার বিএনপির গণ-অবস্থান, আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ছিল। প্রথমটি ছিল পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে, দ্বিতীয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। আর বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইজতেমার জন্যও কোথাও কোথাও যানবাহনে ছিল নট নড়নচড়ন অবস্থা।
রাজধানীতে সড়কপথে চলাচলের অবস্থা নিয়ে কোনো গ্রহ-নক্ষত্রবিশারদ জ্যোতিষী যদি ভবিষ্যদ্বাণী করতে চান, তাহলে তিনি বিপদে পড়বেন। কোন এলাকায় কখন, কী কারণে যানজট হচ্ছে, সেটা আগেভাগে জেনে নেওয়া অসম্ভব। এখন তো অবস্থা এমন হয়েছে, জরুরি কোনো কাজে যাওয়ার সময় দুই ঘণ্টা হাতে রেখে বের হতে হয়। তাতে দুই রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। একেবারে যানজটমুক্ত পথ পেয়ে আধা ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে, অথবা সেই যে লটকে পড়েছেন ট্রাফিক জ্যামে, হয়তো দুই ঘণ্টা পরও পৌঁছাতে পারলেন না। ফলে ঢাকা শহরকে অন্তত সড়কপথের কথা ভেবে ‘মৃত নগরী’ বলা হলে খুব একটা বাড়িয়ে বলা হয় না। গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দেয় সড়কের মধ্যেই মিটিং-মিছিল। ঐতিহ্যগতভাবে রাজধানী অচল করে দেওয়ার যে উত্তরাধিকার আমরা পেয়েছি, এখনো তা বহন করে চলেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়, সে কথা আমরা একেবারেই মেনে নিতে চাই না।
যানজটের সময় হঠাৎ কোনো অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনলে বুক কেঁপে ওঠে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কিংবা সড়কপথে চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি বাহনকে যাওয়ার জন্য জায়গা করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শম্বুকগতিতে যে বাহনগুলো এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দয়ার ওপর নির্ভর করে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারবে কি না। অবস্থা এখন এমন হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সের করুণ আর্তিকেও অনেকে আর আমলে নেয় না। নিজের গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাই এইটুকু উপকার করতেও অনেকে পিছপা হয়। মানবিকতার বালাই সেখানে নেই।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো বড় মাঠে বা মিলনায়তনে সভা করত, তাহলে এমনিতেই যানজটে পর্যুদস্ত যাত্রীসাধারণকে হয়তো বাড়তি কষ্ট বহন করতে হতো না। কিন্তু ক্ষমতার ‘জোশে’ বলীয়ান হয়ে সরকারি ও বিরোধী—দুই পক্ষ রাজপথকেই মনে করে থাকে যুদ্ধের ময়দান। সেই যুদ্ধের ময়দানে মূলত নিহত হয় সাধারণ জনগণের সময়। কত শ্রমঘণ্টা যে এভাবে কোরবান হয়ে যায়, সে কথা কে বলবে?
ঢাকা মহানগরীর যান চলাচলের সমস্যা নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই ভাবছে। সীমিতভাবে মেট্রো নেমেছে রাস্তায়। উড়ালসেতু, ইউটার্ন ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ নিরাময়ের চেষ্টা চলছে। কিন্তু রাস্তা আটকে সভা-সমিতি করা হলে এই সংকটের কোনো ইতরবিশেষ হবে না। এ ছাড়া বেপরোয়াভাবে এবং আইন না মেনে ছুটন্ত বাস, গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলকে আইনের পথে আনার কোনো পরিকল্পনাও তো দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকা কি দ্রুত চলাচলের অযোগ্য শহর হয়ে যাচ্ছে?
বুধবার ঢাকাবাসী হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিড়ম্বনা কাকে বলে। রাজনীতির মাঠ একটু উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই ঢাকার রাস্তাঘাট কখনো কখনো পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ছে। বুধবার বিএনপির গণ-অবস্থান, আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ছিল। প্রথমটি ছিল পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে, দ্বিতীয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। আর বৃহস্পতিবার বিশ্ব ইজতেমার জন্যও কোথাও কোথাও যানবাহনে ছিল নট নড়নচড়ন অবস্থা।
রাজধানীতে সড়কপথে চলাচলের অবস্থা নিয়ে কোনো গ্রহ-নক্ষত্রবিশারদ জ্যোতিষী যদি ভবিষ্যদ্বাণী করতে চান, তাহলে তিনি বিপদে পড়বেন। কোন এলাকায় কখন, কী কারণে যানজট হচ্ছে, সেটা আগেভাগে জেনে নেওয়া অসম্ভব। এখন তো অবস্থা এমন হয়েছে, জরুরি কোনো কাজে যাওয়ার সময় দুই ঘণ্টা হাতে রেখে বের হতে হয়। তাতে দুই রকম ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। একেবারে যানজটমুক্ত পথ পেয়ে আধা ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে, অথবা সেই যে লটকে পড়েছেন ট্রাফিক জ্যামে, হয়তো দুই ঘণ্টা পরও পৌঁছাতে পারলেন না। ফলে ঢাকা শহরকে অন্তত সড়কপথের কথা ভেবে ‘মৃত নগরী’ বলা হলে খুব একটা বাড়িয়ে বলা হয় না। গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দেয় সড়কের মধ্যেই মিটিং-মিছিল। ঐতিহ্যগতভাবে রাজধানী অচল করে দেওয়ার যে উত্তরাধিকার আমরা পেয়েছি, এখনো তা বহন করে চলেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়, সে কথা আমরা একেবারেই মেনে নিতে চাই না।
যানজটের সময় হঠাৎ কোনো অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনলে বুক কেঁপে ওঠে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কিংবা সড়কপথে চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি বাহনকে যাওয়ার জন্য জায়গা করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শম্বুকগতিতে যে বাহনগুলো এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দয়ার ওপর নির্ভর করে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারবে কি না। অবস্থা এখন এমন হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সের করুণ আর্তিকেও অনেকে আর আমলে নেয় না। নিজের গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাই এইটুকু উপকার করতেও অনেকে পিছপা হয়। মানবিকতার বালাই সেখানে নেই।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো বড় মাঠে বা মিলনায়তনে সভা করত, তাহলে এমনিতেই যানজটে পর্যুদস্ত যাত্রীসাধারণকে হয়তো বাড়তি কষ্ট বহন করতে হতো না। কিন্তু ক্ষমতার ‘জোশে’ বলীয়ান হয়ে সরকারি ও বিরোধী—দুই পক্ষ রাজপথকেই মনে করে থাকে যুদ্ধের ময়দান। সেই যুদ্ধের ময়দানে মূলত নিহত হয় সাধারণ জনগণের সময়। কত শ্রমঘণ্টা যে এভাবে কোরবান হয়ে যায়, সে কথা কে বলবে?
ঢাকা মহানগরীর যান চলাচলের সমস্যা নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই ভাবছে। সীমিতভাবে মেট্রো নেমেছে রাস্তায়। উড়ালসেতু, ইউটার্ন ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ নিরাময়ের চেষ্টা চলছে। কিন্তু রাস্তা আটকে সভা-সমিতি করা হলে এই সংকটের কোনো ইতরবিশেষ হবে না। এ ছাড়া বেপরোয়াভাবে এবং আইন না মেনে ছুটন্ত বাস, গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলকে আইনের পথে আনার কোনো পরিকল্পনাও তো দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকা কি দ্রুত চলাচলের অযোগ্য শহর হয়ে যাচ্ছে?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে