গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, বাঘা (রাজশাহী)
রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়েছে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী গ্রামের ৪৭ পরিবার। ভাঙনঝুঁকিতে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে আরও ১৭ পরিবার। তীব্র ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ পরিবার।
ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন অনেকেই। আবার গাছের নিচে খোলা জায়গায় বসবাস করছে বেশ কিছু পরিবার। প্রতিদিন বাড়ছে গৃহহারা পরিবারের সংখ্যা। আর ছোট হয়ে আসছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের আয়তন।
সরেজমিনে গত সোমবার ভাঙনকবলিত এলাকায় দেখা গেছে, পদ্মার ঢেউয়ে ভেঙে পড়ছে পাড়ের চাপ চাপ মাটি। এদিন ভাঙনের তীব্রতা দেখে বাবার কবরটি দেখতে এসেছিলেন কালিদাসখালী গ্রামের হালিমা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাবার রেখে যাওয়া বিশ বিঘা জমি ভেঙে গেছে পদ্মায়। এখন জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এবার বাবার কবরটিও বুঝি আর থাকবে না।’
সেখানে কথা হয় চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাজেদা বেগম, বেলাল ব্যাপারীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে।
ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনগর গ্রাম পুরোটাই বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে কালিদাসখালী গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক পরিবার।
শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, কালিদাসখালী গ্রামের অপর অংশ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ ভাগের ২ ভাগ এখন নদীগর্ভে। যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে পুরোটা গিলে খাবে পদ্মা। সব মিলিয়ে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিকুমড়া থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এখন ভাঙনের কবলে।
খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে দেখা গেছে ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো শেফালি বেগমকে। তাঁর স্বামী আলী আকবর জানান, ভাড়ায় জমি খোঁজ করছেন বাড়ি করার জন্য। তাঁর মতো আরও ১৫টি পরিবার ঘরবাড়ি করার জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়স্বজনের বাসায়। তাঁদের নিজেদের বাড়ি করার মতো কোনো জমি নেই, বাড়ি করার জমিও কেউ দিচ্ছে না। টাকার বিনিময়েও লিজ পাচ্ছেন না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জান গেছে, এ সপ্তাহে ভাঙনে নদীগর্ভে গেছে প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমি। ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে কালিদাসখালী গ্রামের জামাল উদ্দিন, ইয়াকুব আলীসহ অর্ধশতাধিক পরিবার। ভাঙনের হুমকিতে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে গেছে আরও অর্ধশতাধিক পরিবার। বাড়ি করার জমি না পেয়ে অন্যত্র চলে গেছে ১৭ পরিবার। তীব্র ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ পরিবার।
উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে আমার ইউনিয়নের ৪৭টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারি এখনো কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয়নি তাঁদের।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অসময়ে পদ্মার ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়েছে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী গ্রামের ৪৭ পরিবার। ভাঙনঝুঁকিতে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে আরও ১৭ পরিবার। তীব্র ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ পরিবার।
ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন অনেকেই। আবার গাছের নিচে খোলা জায়গায় বসবাস করছে বেশ কিছু পরিবার। প্রতিদিন বাড়ছে গৃহহারা পরিবারের সংখ্যা। আর ছোট হয়ে আসছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের আয়তন।
সরেজমিনে গত সোমবার ভাঙনকবলিত এলাকায় দেখা গেছে, পদ্মার ঢেউয়ে ভেঙে পড়ছে পাড়ের চাপ চাপ মাটি। এদিন ভাঙনের তীব্রতা দেখে বাবার কবরটি দেখতে এসেছিলেন কালিদাসখালী গ্রামের হালিমা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাবার রেখে যাওয়া বিশ বিঘা জমি ভেঙে গেছে পদ্মায়। এখন জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এবার বাবার কবরটিও বুঝি আর থাকবে না।’
সেখানে কথা হয় চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাজেদা বেগম, বেলাল ব্যাপারীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে।
ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনগর গ্রাম পুরোটাই বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে কালিদাসখালী গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক পরিবার।
শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, কালিদাসখালী গ্রামের অপর অংশ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ ভাগের ২ ভাগ এখন নদীগর্ভে। যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে পুরোটা গিলে খাবে পদ্মা। সব মিলিয়ে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিকুমড়া থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এখন ভাঙনের কবলে।
খোলা আকাশের নিচে রান্না করতে দেখা গেছে ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো শেফালি বেগমকে। তাঁর স্বামী আলী আকবর জানান, ভাড়ায় জমি খোঁজ করছেন বাড়ি করার জন্য। তাঁর মতো আরও ১৫টি পরিবার ঘরবাড়ি করার জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়স্বজনের বাসায়। তাঁদের নিজেদের বাড়ি করার মতো কোনো জমি নেই, বাড়ি করার জমিও কেউ দিচ্ছে না। টাকার বিনিময়েও লিজ পাচ্ছেন না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জান গেছে, এ সপ্তাহে ভাঙনে নদীগর্ভে গেছে প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমি। ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে কালিদাসখালী গ্রামের জামাল উদ্দিন, ইয়াকুব আলীসহ অর্ধশতাধিক পরিবার। ভাঙনের হুমকিতে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে গেছে আরও অর্ধশতাধিক পরিবার। বাড়ি করার জমি না পেয়ে অন্যত্র চলে গেছে ১৭ পরিবার। তীব্র ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে ১৫ পরিবার।
উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘পদ্মার ভাঙনে গত এক সপ্তাহে আমার ইউনিয়নের ৪৭টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারি এখনো কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয়নি তাঁদের।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অসময়ে পদ্মার ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে