গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়ায় মান্নান গাছির খেয়াঘাটে নির্মিত সেতুর কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সেতুটির কাজ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালেও তা সম্পন্ন হচ্ছে না। এতে দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মান্নান গাছির খেয়াঘাট। খেয়াঘাটের দুই পাশে একাধিক বাজার ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেখানে একটি সেতু নির্মাণের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৭ মে ওই খেয়াঘাটে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের মেসার্স রুপালি কনস্ট্রাকশন-মাম (জেভি) কাজটি পায়। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি। পরে আবেদনের মাধ্যমে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়
নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের ধীরগতির কারণে ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হচ্ছে না।
উজানচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মীর মালত বলেন, দুটি ইউনিয়নের ৩-৪ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। এই ঘাটের ওপর অন্তত ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করে। শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। ফরিদপুরে রোগী নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের মানুষকে এই খাল পার হতে হয়। সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে তাঁদের ভোগান্তি কমছে না। সেতুর পিলারের কাজ শেষ করে ওপরের স্ল্যাবের এক-তৃতীয়াংশ কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় ১ বছর।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলেন, তাঁর বাড়ি বেড়িবাঁধের উত্তরে উজানচরের মধ্যে। বেড়িবাঁধের দক্ষিণে আনন্দ বাজার অবস্থিত। বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার হবে অথচ মাঝখানে খাল থাকায় প্রতিদিন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় বেশি চলে যায়।
উজানচর ইউনিয়নের সাহাজদ্দিন মাতুব্বরপাড়ার সায়েম খান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে দেখে আসছি এই খাল দিয়ে মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন এই খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন; কিন্তু সেতুর এক-তৃতীয়াংশ স্ল্যাবের কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আমাদের এখনো নৌকার ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।
নৌকার মাঝি সাত্তার খাঁ বলেন, তিন বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হয়েছে; কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখায় সেতু এখন পাটকাঠি শুকানোর জায়গা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এখন শুধু দুই-তৃতীয়াংশ স্ল্যাবের কাজ বাকি রয়েছে। আমরা আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করব আর এই জুন মাসের মধ্যেই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।
উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের গার্ডার, ডেক স্ল্যাব ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে বর্ধিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কাজ শেষ না হয় তা হলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়ায় মান্নান গাছির খেয়াঘাটে নির্মিত সেতুর কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সেতুটির কাজ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালেও তা সম্পন্ন হচ্ছে না। এতে দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মান্নান গাছির খেয়াঘাট। খেয়াঘাটের দুই পাশে একাধিক বাজার ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেখানে একটি সেতু নির্মাণের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৭ মে ওই খেয়াঘাটে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের মেসার্স রুপালি কনস্ট্রাকশন-মাম (জেভি) কাজটি পায়। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি। পরে আবেদনের মাধ্যমে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়
নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের ধীরগতির কারণে ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হচ্ছে না।
উজানচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মীর মালত বলেন, দুটি ইউনিয়নের ৩-৪ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। এই ঘাটের ওপর অন্তত ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করে। শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। ফরিদপুরে রোগী নেওয়ার জন্য এই অঞ্চলের মানুষকে এই খাল পার হতে হয়। সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে তাঁদের ভোগান্তি কমছে না। সেতুর পিলারের কাজ শেষ করে ওপরের স্ল্যাবের এক-তৃতীয়াংশ কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে প্রায় ১ বছর।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলেন, তাঁর বাড়ি বেড়িবাঁধের উত্তরে উজানচরের মধ্যে। বেড়িবাঁধের দক্ষিণে আনন্দ বাজার অবস্থিত। বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার হবে অথচ মাঝখানে খাল থাকায় প্রতিদিন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় বেশি চলে যায়।
উজানচর ইউনিয়নের সাহাজদ্দিন মাতুব্বরপাড়ার সায়েম খান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে দেখে আসছি এই খাল দিয়ে মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন এই খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন; কিন্তু সেতুর এক-তৃতীয়াংশ স্ল্যাবের কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আমাদের এখনো নৌকার ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।
নৌকার মাঝি সাত্তার খাঁ বলেন, তিন বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হয়েছে; কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখায় সেতু এখন পাটকাঠি শুকানোর জায়গা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এখন শুধু দুই-তৃতীয়াংশ স্ল্যাবের কাজ বাকি রয়েছে। আমরা আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করব আর এই জুন মাসের মধ্যেই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।
উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের গার্ডার, ডেক স্ল্যাব ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে বর্ধিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কাজ শেষ না হয় তা হলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে