রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে এখন প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে গড়ে ২৫ শতাংশের বেশি ঘাটতি থাকছে। তাই ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। ঘাটতি বেশি থাকার কারণে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। সংকটের কারণে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ বেশি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউসে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীতে দৈনিক চাহিদার ১০-১২ শতাংশ লোডশেডিং করার কথা। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়েও বেশি হচ্ছে। নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহে ঘাটতি থাকছে ২৫ ভাগের বেশি। এটা বেশি লোডশেডিং করে পূরণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, শিল্প হাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও সবসময় বিদ্যুৎ দিতে বলা হয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে যতটা সম্ভব কম লোডশেডিং করা হচ্ছে। কিন্তু শিল্প এলাকায় এটা মানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ শুধু কলকারখানার জন্য আলাদা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নেই। তাই কোনো এলাকায় লোডশেডিং দিলে সেই এলাকার শিল্প-কারখানাতেও সংযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারখানার মালিকেরা হতাশ। তাঁরা অভিযোগ করছেন। তবে বৈশ্বিক সংকটের বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা লোডশেডিং মেনে নিয়েছেন। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাত ৮টার মধ্যে যেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়, সে বিষয়টি তদারক করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন।
আবদুল জলিল আরও বলেন, বিদ্যুৎসংকট নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা থাকতে পারে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব কর্মকর্তা গ্রাহক পর্যায়ে যান, তাঁদের ধৈর্যশীল হতে হবে। তাঁরা যেন গ্রাহকদের সঙ্গে উত্তেজিত না হন। ঝগড়া-ফ্যাসাদ না করেন। সুযোগ হলে তাঁরা গ্রাহকদের সমস্যার কথা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, কিন্তু কোনোভাবেই ফ্যাসাদে জড়াবেন না।
জেলা প্রশাসকের মতে, সাধারণ গ্রাহক ও শিল্প-কারখানার জন্য বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন করতে পারলে ভালো হতো। তাহলে এমন হতো যে একটি বাটন চাপ দিলে সাধারণ গ্রাহকদের সংযোগ বন্ধ থাকবে। আবার এক বাটনে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ যাবে। এখন না হলেও ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিভাগকে এমন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নেসকোর নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম আহমেদ, বিতরণ জোনের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
রাজশাহীতে এখন প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে গড়ে ২৫ শতাংশের বেশি ঘাটতি থাকছে। তাই ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। ঘাটতি বেশি থাকার কারণে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। সংকটের কারণে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ বেশি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউসে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীতে দৈনিক চাহিদার ১০-১২ শতাংশ লোডশেডিং করার কথা। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়েও বেশি হচ্ছে। নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহে ঘাটতি থাকছে ২৫ ভাগের বেশি। এটা বেশি লোডশেডিং করে পূরণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, শিল্প হাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও সবসময় বিদ্যুৎ দিতে বলা হয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে যতটা সম্ভব কম লোডশেডিং করা হচ্ছে। কিন্তু শিল্প এলাকায় এটা মানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ শুধু কলকারখানার জন্য আলাদা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নেই। তাই কোনো এলাকায় লোডশেডিং দিলে সেই এলাকার শিল্প-কারখানাতেও সংযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কারখানার মালিকেরা হতাশ। তাঁরা অভিযোগ করছেন। তবে বৈশ্বিক সংকটের বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা লোডশেডিং মেনে নিয়েছেন। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাত ৮টার মধ্যে যেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়, সে বিষয়টি তদারক করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন।
আবদুল জলিল আরও বলেন, বিদ্যুৎসংকট নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা থাকতে পারে। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের যেসব কর্মকর্তা গ্রাহক পর্যায়ে যান, তাঁদের ধৈর্যশীল হতে হবে। তাঁরা যেন গ্রাহকদের সঙ্গে উত্তেজিত না হন। ঝগড়া-ফ্যাসাদ না করেন। সুযোগ হলে তাঁরা গ্রাহকদের সমস্যার কথা বোঝানোর চেষ্টা করবেন, কিন্তু কোনোভাবেই ফ্যাসাদে জড়াবেন না।
জেলা প্রশাসকের মতে, সাধারণ গ্রাহক ও শিল্প-কারখানার জন্য বিদ্যুতের আলাদা সঞ্চালন লাইন করতে পারলে ভালো হতো। তাহলে এমন হতো যে একটি বাটন চাপ দিলে সাধারণ গ্রাহকদের সংযোগ বন্ধ থাকবে। আবার এক বাটনে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ যাবে। এখন না হলেও ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিভাগকে এমন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নেসকোর নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম আহমেদ, বিতরণ জোনের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে