সম্পাদকীয়
খবরটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় না হয়ে অন্য কোনো নগর বা জনপদের হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কিন্তু আমরা যত দূর জানি, রাজশাহী সিটি করপোরেশন বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমী নগরী। ওই সিটি করপোরেশনের মেয়র একজন প্রকৃতিবান্ধব মানুষ বলেই নগরটিকে সাজিয়েছেন সুন্দর একটি বাগানের মতো করে। ধুলোময়লা নেই, যানজট নেই, আছে গাছপালা, ফুলসহ দৃষ্টিনন্দন পরিকল্পিত সব দৃশ্য। অন্য কোনো শহরে গেলে যে এলোমেলো, অগোছালো ছবি দেখে যিনি পীড়িত বোধ করবেন, তিনি একবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ঘুরে এলে তাঁর মন ফুরফুরে হয়ে যাবে।
অথচ ওই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যেই একটি পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান তৈরি হওয়ার খবর পড়ে যে কারোরই মন খারাপ হওয়ার কথা। শুক্রবারের আজকের পত্রিকায় ‘সংরক্ষণের তালিকায় থাকা পুকুরে হচ্ছে বিপণিবিতান’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি পড়ে প্রশ্ন জাগে, পুকুর ভরাট করা আইনে নিষিদ্ধ হলেও কারা সেখানে মাটি ভরাট করে বিপণিবিতান তৈরি করার পাঁয়তারা করছে? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজশাহী নগরীর ৯৯টি পুকুর ভরাটের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে উচ্চ আদালতের। তবে তা উপেক্ষা করে একটি পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র রাতারাতি পুকুর ভরাট করে এরই মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করেছে। নগরীর সপুরা এলাকার ওই পুকুরের নাম ‘সুখানদিঘি’।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২২টি পুকুর সংরক্ষণের তালিকায়ও সুখানদিঘির নাম আছে। এর আয়তন তিন একরের বেশি। রাসিক কর্তৃপক্ষ সুখানদিঘিসহ ২২টি পুকুর সংরক্ষণের একটি প্রকল্পও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) মহাপরিকল্পনায়ও এই পুকুরকে সংরক্ষিত জলাধার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ওই পুকুরের মালিকানা অনেকের। তবে পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান বানাতে যে বা যারাই উদ্যোগ নিয়ে থাকুক না কেন, তাদের এখনই রুখে দেওয়া না হলে তিন একরের বেশি জায়গায় খনন করা জলাধারটি আর রক্ষা করা যাবে না।
ইতিমধ্যে পুকুরের উত্তর পাশে বেশ কিছু জায়গা ভরাট করা হয়েছে। সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ১৮টি দোকানঘর নির্মাণে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এক দিকে পুকুরের উত্তর পাশে মাটি ফেলে ভরাট চলছে, অন্য দিকে চলছে অবকাঠামো নির্মাণকাজ।
যেকোনো সুস্থ চিন্তার মানুষই বলবেন যে রাজশাহী সিটিতে নতুন বিপণিবিতানের চেয়ে জলাধারটি বেশি প্রয়োজন। রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকারে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। একটি পুকুর ভরাট করে সেখানে ইট-কাঠ-কংক্রিটের স্তূপ তৈরি করা নিশ্চয়ই মেয়র মহোদয়ের স্বপ্নের সিটির সঙ্গে যায় না। তাই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধের জন্য অবিলম্বে আইনের আশ্রয় নেওয়া হোক। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও পুকুরটি সরকার অধিগ্রহণ করুক। এ জায়গাটি যেহেতু বসতভিটা নয়, তাই এটা অধিগ্রহণ করলে কাউকে পুনর্বাসনের প্রশ্নও আসবে না।
খবরটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় না হয়ে অন্য কোনো নগর বা জনপদের হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কিন্তু আমরা যত দূর জানি, রাজশাহী সিটি করপোরেশন বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমী নগরী। ওই সিটি করপোরেশনের মেয়র একজন প্রকৃতিবান্ধব মানুষ বলেই নগরটিকে সাজিয়েছেন সুন্দর একটি বাগানের মতো করে। ধুলোময়লা নেই, যানজট নেই, আছে গাছপালা, ফুলসহ দৃষ্টিনন্দন পরিকল্পিত সব দৃশ্য। অন্য কোনো শহরে গেলে যে এলোমেলো, অগোছালো ছবি দেখে যিনি পীড়িত বোধ করবেন, তিনি একবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ঘুরে এলে তাঁর মন ফুরফুরে হয়ে যাবে।
অথচ ওই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যেই একটি পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান তৈরি হওয়ার খবর পড়ে যে কারোরই মন খারাপ হওয়ার কথা। শুক্রবারের আজকের পত্রিকায় ‘সংরক্ষণের তালিকায় থাকা পুকুরে হচ্ছে বিপণিবিতান’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি পড়ে প্রশ্ন জাগে, পুকুর ভরাট করা আইনে নিষিদ্ধ হলেও কারা সেখানে মাটি ভরাট করে বিপণিবিতান তৈরি করার পাঁয়তারা করছে? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজশাহী নগরীর ৯৯টি পুকুর ভরাটের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে উচ্চ আদালতের। তবে তা উপেক্ষা করে একটি পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র রাতারাতি পুকুর ভরাট করে এরই মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করেছে। নগরীর সপুরা এলাকার ওই পুকুরের নাম ‘সুখানদিঘি’।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২২টি পুকুর সংরক্ষণের তালিকায়ও সুখানদিঘির নাম আছে। এর আয়তন তিন একরের বেশি। রাসিক কর্তৃপক্ষ সুখানদিঘিসহ ২২টি পুকুর সংরক্ষণের একটি প্রকল্পও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) মহাপরিকল্পনায়ও এই পুকুরকে সংরক্ষিত জলাধার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ওই পুকুরের মালিকানা অনেকের। তবে পুকুর ভরাট করে বিপণিবিতান বানাতে যে বা যারাই উদ্যোগ নিয়ে থাকুক না কেন, তাদের এখনই রুখে দেওয়া না হলে তিন একরের বেশি জায়গায় খনন করা জলাধারটি আর রক্ষা করা যাবে না।
ইতিমধ্যে পুকুরের উত্তর পাশে বেশ কিছু জায়গা ভরাট করা হয়েছে। সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ১৮টি দোকানঘর নির্মাণে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এক দিকে পুকুরের উত্তর পাশে মাটি ফেলে ভরাট চলছে, অন্য দিকে চলছে অবকাঠামো নির্মাণকাজ।
যেকোনো সুস্থ চিন্তার মানুষই বলবেন যে রাজশাহী সিটিতে নতুন বিপণিবিতানের চেয়ে জলাধারটি বেশি প্রয়োজন। রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকারে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। একটি পুকুর ভরাট করে সেখানে ইট-কাঠ-কংক্রিটের স্তূপ তৈরি করা নিশ্চয়ই মেয়র মহোদয়ের স্বপ্নের সিটির সঙ্গে যায় না। তাই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধের জন্য অবিলম্বে আইনের আশ্রয় নেওয়া হোক। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে হলেও পুকুরটি সরকার অধিগ্রহণ করুক। এ জায়গাটি যেহেতু বসতভিটা নয়, তাই এটা অধিগ্রহণ করলে কাউকে পুনর্বাসনের প্রশ্নও আসবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে