নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
নদীভাঙন ঠেকাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রকল্পের আওতায় নড়িয়ার সুরেশ্বর থেকে জাজিরার সফি কাজীর মোড় পর্যন্ত ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়া মাঝপদ্মায় খনন করা হচ্ছে ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডুবোচর। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭৬ শতাংশ। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন নদীতীরের মানুষ। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রক্ষা পাবে এই অঞ্চলের ৬ হাজার ৯৮ কোটি টাকার সম্পদ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। নদীতে বিলীন হয়েছে মুলফৎগঞ্জ, সুরেশ্বর, ওয়াপদা, চণ্ডীপুর, কলমিরচর, কুণ্ডেরচরসহ ১২-১৫টি ছোট-বড় হাটবাজার। এ ছাড়া ভাঙনে তলিয়ে গেছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাজার হাজার একর কৃষিজমি, পাকা সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত স্থাপনা। শরীয়তপুরের পদ্মাপারের জনপদ নড়িয়া জাজিরাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর নড়িয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধ ও মাঝপদ্মায় ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীখননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছর জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রকল্পের কাজ শুরুর পর ২০২০ সাল থেকে নদীভাঙন থেমেছে। গত ২ বছরে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কোনো বসতি বা স্থাপনার। নতুন করে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন নদীর তীর রক্ষাবাঁধ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো দর্শনার্থী। এতে নদী ও নদীর তীর ঘিরে নির্মিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর তীরে নতুন বসতি গড়েছে অনেক পরিবার।
নড়িয়ার চণ্ডীপুর এলাকায় দোকানি মহাদেব দাশ বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে নদীভাঙনে তিনবার ঠিকানা বদলাতে হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দুই বছর ধরে নদীভাঙন থেমেছে। এখন নদীপারেই নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছি।’
ঈশ্বরকাঠি এলাকার ছালেহা বেগম বলেন, ‘২০১৮ সালে আমাগো ঘরদুয়ার সব গাঙে লইয়া গেছে। থাকোনের মতো কোনো অবস্থা আছিলো না। বাড়িঘর লইয়া পাশের গ্রামে অন্যের খালি জমিনে আশ্রয় নিছিলাম। বেড়িবাঁধ বানানোর কারণে অহন ভাঙন থামছে।’
মুলফৎগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, ‘২০১৮ সালে ৩টি চারতলা ভবন নদীতে তলিয়ে যায়। বাজারের দেড় শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধের কারণে নদীভাঙন থেমেছে। এখন নতুন করে নদীর পাড়েই বাজার মিলিয়ে ব্যবসা করছি।’
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানির গভীরতা বেশি থাকায় তীব্র স্রোতে শুরুর দিকে বাঁধ নির্মাণের কাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাই নির্মাণকাজে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। কাজের গতি আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করা হবে।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ ছিল নদীভাঙন। সেই দুর্যোগ কাটাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধ। এতে এ অঞ্চলের অর্থনীতি নতুন করে চাঙা হবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দ্রুত সংস্কার শেষে সেবা চালু হয়েছে। পদ্মার ডান তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ ও ডুবোচর খননের কারণে গত দুই বছর এই জনপদের একটি বাড়িও বিলীন হয়নি।’
নদীভাঙন ঠেকাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রকল্পের আওতায় নড়িয়ার সুরেশ্বর থেকে জাজিরার সফি কাজীর মোড় পর্যন্ত ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়া মাঝপদ্মায় খনন করা হচ্ছে ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডুবোচর। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭৬ শতাংশ। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন নদীতীরের মানুষ। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রক্ষা পাবে এই অঞ্চলের ৬ হাজার ৯৮ কোটি টাকার সম্পদ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। নদীতে বিলীন হয়েছে মুলফৎগঞ্জ, সুরেশ্বর, ওয়াপদা, চণ্ডীপুর, কলমিরচর, কুণ্ডেরচরসহ ১২-১৫টি ছোট-বড় হাটবাজার। এ ছাড়া ভাঙনে তলিয়ে গেছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাজার হাজার একর কৃষিজমি, পাকা সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত স্থাপনা। শরীয়তপুরের পদ্মাপারের জনপদ নড়িয়া জাজিরাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর নড়িয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধ ও মাঝপদ্মায় ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার নদীখননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছর জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রকল্পের কাজ শুরুর পর ২০২০ সাল থেকে নদীভাঙন থেমেছে। গত ২ বছরে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কোনো বসতি বা স্থাপনার। নতুন করে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন নদীর তীর রক্ষাবাঁধ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো দর্শনার্থী। এতে নদী ও নদীর তীর ঘিরে নির্মিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর তীরে নতুন বসতি গড়েছে অনেক পরিবার।
নড়িয়ার চণ্ডীপুর এলাকায় দোকানি মহাদেব দাশ বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে নদীভাঙনে তিনবার ঠিকানা বদলাতে হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দুই বছর ধরে নদীভাঙন থেমেছে। এখন নদীপারেই নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছি।’
ঈশ্বরকাঠি এলাকার ছালেহা বেগম বলেন, ‘২০১৮ সালে আমাগো ঘরদুয়ার সব গাঙে লইয়া গেছে। থাকোনের মতো কোনো অবস্থা আছিলো না। বাড়িঘর লইয়া পাশের গ্রামে অন্যের খালি জমিনে আশ্রয় নিছিলাম। বেড়িবাঁধ বানানোর কারণে অহন ভাঙন থামছে।’
মুলফৎগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, ‘২০১৮ সালে ৩টি চারতলা ভবন নদীতে তলিয়ে যায়। বাজারের দেড় শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধের কারণে নদীভাঙন থেমেছে। এখন নতুন করে নদীর পাড়েই বাজার মিলিয়ে ব্যবসা করছি।’
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানির গভীরতা বেশি থাকায় তীব্র স্রোতে শুরুর দিকে বাঁধ নির্মাণের কাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাই নির্মাণকাজে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। কাজের গতি আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করা হবে।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ ছিল নদীভাঙন। সেই দুর্যোগ কাটাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধ। এতে এ অঞ্চলের অর্থনীতি নতুন করে চাঙা হবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দ্রুত সংস্কার শেষে সেবা চালু হয়েছে। পদ্মার ডান তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ ও ডুবোচর খননের কারণে গত দুই বছর এই জনপদের একটি বাড়িও বিলীন হয়নি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে