শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
২০২১ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে পুলিশ ট্রাফিক রুমের সামনে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তথ্য বলছে, ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সামরিক প্রধান আবু আহসান হাবিব আল বাঙালি ওরফে লায়ন। আরও জড়িত ছিলেন রফিক রুহাম, আবু দুজানা আল বাঙালি, আবু আদনান আল বাঙালি ও আবু উনাইস আল বাঙালি। কিন্তু অভিযুক্ত এই জঙ্গিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে থেমে আছে মামলার তদন্ত।
শুধু এই মামলা নয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা অধিকাংশ মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না পুলিশ এজাহারে থাকা আসামিদের খুঁজে না পাওয়ার কারণে। বছরের পর বছর তদন্ত ঝুলে থাকায় এসব মামলা নিষ্পত্তিও করা যাচ্ছে না। আট বছর ধরে তদন্তে আটকে থাকা
এমন ৫২৪টি মামলার তালিকা করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। ঠিক কী কারণে মামলাগুলো আটকে আছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছে তারা। মামলাগুলো কাউন্টার টেররিজম, জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিদের তথ্য হালনাগাদ করতে গত ২১ জুন পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি দিয়েছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। চিঠিতে একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইউনিটগুলোর কাছে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার তারিখ, ধারা, জঙ্গি সংগঠনের নাম, আসামির অবস্থান ও মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যান্টি টেররিজমের ইউনিটের পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) এম এম হাসানুল জাহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতিরিক্ত আইজির পক্ষে পুলিশের সব ইউনিটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিবাদের এসব ঘটনায় মামলার এজাহারে অনেক শীর্ষ জঙ্গির নাম রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর এসব জঙ্গিনেতার হদিস মেলাতে পারছে না তদন্তকারীরা। যার ফলে মামলার তদন্তও শেষ হচ্ছে না।
সন্ত্রাসবাদ আইনে থাকা মামলাগুলোর একাংশ তদন্ত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। জানতে চাইলে ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে সব মামলা নেই। যে কয়েকটা আছে, তদন্ত শেষ করার কাজ চলছে। তবে কেন দেরি হচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে সেটা বলা যাচ্ছে না।’
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জামিনে থাকা ২৮১ জঙ্গি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিদের অপতৎপরতা ভাবাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের কাজে লাগিয়ে কোনো এক গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। সেখানে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পুরোনো জঙ্গিদের। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের অপতৎপরতা থেমে নেই। পালিয়ে থাকা জঙ্গিরা নতুন নাম দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করছে। কেউ জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে, কেউ আবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ হয়ে উঠছে আগের চেয়েও দুর্ধর্ষ । এর মধ্যে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধানও মিলেছে। বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
তদন্তকারীরা বলছেন, মূলত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দেওয়া ২৮১ জন জঙ্গি। এরাই নতুন সংগঠন তৈরি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রটি বলছে, কারাগারে পাঠানো জঙ্গিদের জামিন এবং জামিনে থেকে আবারও জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। তাই জঙ্গিদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত, দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের পুলিশের মহানগর কমিশনার, ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টার পর তাদের দমনে পুলিশের ইউনিটকে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে।
২০২১ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে পুলিশ ট্রাফিক রুমের সামনে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তথ্য বলছে, ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সামরিক প্রধান আবু আহসান হাবিব আল বাঙালি ওরফে লায়ন। আরও জড়িত ছিলেন রফিক রুহাম, আবু দুজানা আল বাঙালি, আবু আদনান আল বাঙালি ও আবু উনাইস আল বাঙালি। কিন্তু অভিযুক্ত এই জঙ্গিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে থেমে আছে মামলার তদন্ত।
শুধু এই মামলা নয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা অধিকাংশ মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না পুলিশ এজাহারে থাকা আসামিদের খুঁজে না পাওয়ার কারণে। বছরের পর বছর তদন্ত ঝুলে থাকায় এসব মামলা নিষ্পত্তিও করা যাচ্ছে না। আট বছর ধরে তদন্তে আটকে থাকা
এমন ৫২৪টি মামলার তালিকা করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। ঠিক কী কারণে মামলাগুলো আটকে আছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছে তারা। মামলাগুলো কাউন্টার টেররিজম, জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিদের তথ্য হালনাগাদ করতে গত ২১ জুন পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি দিয়েছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। চিঠিতে একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইউনিটগুলোর কাছে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার তারিখ, ধারা, জঙ্গি সংগঠনের নাম, আসামির অবস্থান ও মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যান্টি টেররিজমের ইউনিটের পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) এম এম হাসানুল জাহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতিরিক্ত আইজির পক্ষে পুলিশের সব ইউনিটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিবাদের এসব ঘটনায় মামলার এজাহারে অনেক শীর্ষ জঙ্গির নাম রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর এসব জঙ্গিনেতার হদিস মেলাতে পারছে না তদন্তকারীরা। যার ফলে মামলার তদন্তও শেষ হচ্ছে না।
সন্ত্রাসবাদ আইনে থাকা মামলাগুলোর একাংশ তদন্ত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। জানতে চাইলে ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকে পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে সব মামলা নেই। যে কয়েকটা আছে, তদন্ত শেষ করার কাজ চলছে। তবে কেন দেরি হচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে সেটা বলা যাচ্ছে না।’
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জামিনে থাকা ২৮১ জঙ্গি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিদের অপতৎপরতা ভাবাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের কাজে লাগিয়ে কোনো এক গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। সেখানে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পুরোনো জঙ্গিদের। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের অপতৎপরতা থেমে নেই। পালিয়ে থাকা জঙ্গিরা নতুন নাম দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করছে। কেউ জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে, কেউ আবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ হয়ে উঠছে আগের চেয়েও দুর্ধর্ষ । এর মধ্যে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামের নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধানও মিলেছে। বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
তদন্তকারীরা বলছেন, মূলত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দেওয়া ২৮১ জন জঙ্গি। এরাই নতুন সংগঠন তৈরি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রটি বলছে, কারাগারে পাঠানো জঙ্গিদের জামিন এবং জামিনে থেকে আবারও জঙ্গিবাদে জড়ানোর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। তাই জঙ্গিদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত, দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের পুলিশের মহানগর কমিশনার, ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক এনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টার পর তাদের দমনে পুলিশের ইউনিটকে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে