হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
তরুণ বয়সে আব্দুর রাজ্জাক তিস্তা নদীর করালগ্রাসে বিলীন হতে দেখেন নিজেদের বসতঘর। পরপর চারবার ঘর বিলীনের পর তাঁর মাথায় চিন্তা আসে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখবেন। এরপর উদ্যোগ নেন গাছের চারা রোপণের। দেরি না করে নিজের টাকায় শুরু করেন চারা রোপণের কাজ। ধীরে ধীরে তা নেশায় পরিণত হয়। এই পর্যন্ত রাজ্জাক লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ১ লাখ ৪০ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলা রাজ্জাক ভারতীয় কাঁটাতারে ঘেঁষা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্না গ্রামের নূরল হকের ছেলে। ভাই বোনদের মধ্যে রাজ্জাক বড়। ২০১২ সালে হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর মনোনিবেশ করেন কৃষি কাজে।
রাজ্জাকের বাড়িতে যাওয়ার আগেই সড়কের দুধারে দেখতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কোথাও ফল আবার কোথাও ওষধি গাছ। এমন অনেক সড়ক আছে যেখানে শুধুই রাজ্জাকের রোপণ করা গাছ মাথা উঁচু করে পথ চারিদের ছায়া দিচ্ছে। এরপর তাঁর বাড়িতে গেলে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছের বাগান। নানা জাতের ফল ও ওষধি গাছের চারা, পরম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা চারাগুলো রোপণের উপযোগী হলেই লাগানো হবে বিভিন্ন রাস্তার ধারে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তিস্তায় বসত ঘর বিলীনের পর গাছ রোপণের চিন্তা মাথায় আসে। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে ২০০৬ সালে শুরু করি। ফজরের নামাজ শেষ করেই দৃঢ় মনোবল নিয়ে বের হই। আর এই পথ চলার সঙ্গী হলো একটি বাইসাইকেল আর কোদাল। অন্যদের ঘুম ভাঙার আগেই গাছের চারা রোপণ শেষ করে ঘরে ফিরে সংসারে মনোনিবেশ করি। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েক বছর।’
রাজ্জাকের দাবি, ধাপে ধাপে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় ১ লাখ ৪০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন। ২০১৪ সালে ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের নিয়ে সবুজ পৃথিবী বাঁচাও নামের একটি সামাজিক সংগঠন গঠন করেছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘আমার লাগানো বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে মানুষ। ক্লান্ত হলে প্রচণ্ড গরমে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে। তাই প্রায় সবাই আমাকে গাছ পাগল বলে ডাকে। আমি বিরক্ত হই না। এতে আমি আরও উৎসাহ পাই। যত দিন বাঁচব গাছ লাগিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও সামাজিক সংগঠন সবুজ পৃথিবী বাঁচাও-এর উপদেষ্টা নাজমুল কায়েস হিরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছ পাগল খ্যাত আব্দুর রাজ্জাকের নেশায় রূপ নেওয়া কাজে কেউ এগিয়ে না এলেও দমে যাননি কখনো। নিজের টাকা খরচ করে দিনের পর দিন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের চারা রোপণ করেন। শুধু নিজ উপজেলায় নয় জেলার আর চারটি উপজেলায়ও তিনি বৃক্ষ রোপণ করেন।’
তরুণ বয়সে আব্দুর রাজ্জাক তিস্তা নদীর করালগ্রাসে বিলীন হতে দেখেন নিজেদের বসতঘর। পরপর চারবার ঘর বিলীনের পর তাঁর মাথায় চিন্তা আসে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখবেন। এরপর উদ্যোগ নেন গাছের চারা রোপণের। দেরি না করে নিজের টাকায় শুরু করেন চারা রোপণের কাজ। ধীরে ধীরে তা নেশায় পরিণত হয়। এই পর্যন্ত রাজ্জাক লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ১ লাখ ৪০ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলা রাজ্জাক ভারতীয় কাঁটাতারে ঘেঁষা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ সিন্দুর্না গ্রামের নূরল হকের ছেলে। ভাই বোনদের মধ্যে রাজ্জাক বড়। ২০১২ সালে হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর মনোনিবেশ করেন কৃষি কাজে।
রাজ্জাকের বাড়িতে যাওয়ার আগেই সড়কের দুধারে দেখতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কোথাও ফল আবার কোথাও ওষধি গাছ। এমন অনেক সড়ক আছে যেখানে শুধুই রাজ্জাকের রোপণ করা গাছ মাথা উঁচু করে পথ চারিদের ছায়া দিচ্ছে। এরপর তাঁর বাড়িতে গেলে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছের বাগান। নানা জাতের ফল ও ওষধি গাছের চারা, পরম পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা চারাগুলো রোপণের উপযোগী হলেই লাগানো হবে বিভিন্ন রাস্তার ধারে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তিস্তায় বসত ঘর বিলীনের পর গাছ রোপণের চিন্তা মাথায় আসে। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে ২০০৬ সালে শুরু করি। ফজরের নামাজ শেষ করেই দৃঢ় মনোবল নিয়ে বের হই। আর এই পথ চলার সঙ্গী হলো একটি বাইসাইকেল আর কোদাল। অন্যদের ঘুম ভাঙার আগেই গাছের চারা রোপণ শেষ করে ঘরে ফিরে সংসারে মনোনিবেশ করি। এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েক বছর।’
রাজ্জাকের দাবি, ধাপে ধাপে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় ১ লাখ ৪০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন। ২০১৪ সালে ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। এ ছাড়া তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের নিয়ে সবুজ পৃথিবী বাঁচাও নামের একটি সামাজিক সংগঠন গঠন করেছেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘আমার লাগানো বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে মানুষ। ক্লান্ত হলে প্রচণ্ড গরমে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে। তাই প্রায় সবাই আমাকে গাছ পাগল বলে ডাকে। আমি বিরক্ত হই না। এতে আমি আরও উৎসাহ পাই। যত দিন বাঁচব গাছ লাগিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও সামাজিক সংগঠন সবুজ পৃথিবী বাঁচাও-এর উপদেষ্টা নাজমুল কায়েস হিরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছ পাগল খ্যাত আব্দুর রাজ্জাকের নেশায় রূপ নেওয়া কাজে কেউ এগিয়ে না এলেও দমে যাননি কখনো। নিজের টাকা খরচ করে দিনের পর দিন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের চারা রোপণ করেন। শুধু নিজ উপজেলায় নয় জেলার আর চারটি উপজেলায়ও তিনি বৃক্ষ রোপণ করেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে