নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ফুরফুরে আছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হবেন। তবে এই মসৃণ পথে কাঁটা ছড়ানোর তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে নিজ দলের জেলা ও মহানগরের অন্তত দুই ডজন নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা বিরোধিতায় নেমেছেন। কেন্দ্র তাঁদের তালিকা করে সতর্ক থাকতে বলেছে। বিভেদ আছে জাতীয় পার্টিতেও।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। বিরোধিতা করে কোনো লাভ হবে না।’
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, দুজন সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল (ডাবলু সরকারের ভগ্নিপতি), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান খায়ের, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুকিতুজ্জামান জুরাত, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান। থানা ও ওয়ার্ড শাখার যেসব সভাপতি-সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের অনেকে কেবল নিজের জন্য ভোট চাইছেন, নৌকার জন্য নয়।
দলীয় নেতারা বলেছেন, ডাবলু সরকারের ভাগনে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, ভাই নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডুকেও ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। ডাবলুর আরেক ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হামিদ সরকার টেকন নিজের প্রচার করছেন। সরকার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও নেই। গত মার্চে একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ডাবলু রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁর অনুসারী ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও নৌকার পক্ষে কাজ করছেন না।
অবশ্য ডাবলু সরকার নৌকার বিরোধিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, তিনি একা একা নৌকার জন্য কাজ করছেন।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ওই ব্যক্তিরা না নামাতেই দলের জন্য ভালো হয়েছে। ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালেও নৌকার বিরোধিতা করার লোক ছিল। এবারও আছে। তবে এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, এখানে প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
দলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যাঁরা নৌকার জন্য কাজ করছেন না, তার ব্যাখ্যা ওই নেতারাই দেবেন। রাজশাহীতে একটু সমস্যা আছে। ভোটের জন্য এগুলো সমাধান হচ্ছে না। ভোটের পর সব সমাধান হবে।
জাতীয় পার্টিতেও বিভেদ
বিভেদ আছে জাতীয় পার্টিতেও (জাপা)। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থী স্থানীয় নেতারা মহানগরের সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চুকে আগেভাগেই মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন। তাঁর পাশে নেই রওশনপন্থী নেতারা। পাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও কোন্দলে জড়াচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলে শৃঙ্খলা নেই। আমি ভোটে আছি, এটা দলের অনেকের পছন্দ না। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব। দু-একজন তো মাঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্যও বলেছেন। তবে আমি ভোটে থাকব।’
কর্মী-সংকটে জাকের পার্টির প্রার্থী
মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ারকে প্রচারে নেমে কর্মী-সংকটে পড়তে হচ্ছে। এ পর্যন্ত মাত্র এক দিন তাঁর পক্ষে শহরে মিছিল হয়েছে। এতেও অংশ নিয়েছিলেন বাইরের জেলার দলীয় কর্মীরা। লতিফ আনোয়ার বলেন, ‘স্থানীয় কর্মীদের নিয়েই প্রচার করছি। মিছিলের দিন পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আসায় বাইরে থেকে কর্মীরা এসেছিলেন।’
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ফুরফুরে আছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হবেন। তবে এই মসৃণ পথে কাঁটা ছড়ানোর তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে নিজ দলের জেলা ও মহানগরের অন্তত দুই ডজন নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা বিরোধিতায় নেমেছেন। কেন্দ্র তাঁদের তালিকা করে সতর্ক থাকতে বলেছে। বিভেদ আছে জাতীয় পার্টিতেও।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। বিরোধিতা করে কোনো লাভ হবে না।’
আওয়ামী লীগের সূত্র বলেছে, দুজন সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল (ডাবলু সরকারের ভগ্নিপতি), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান খায়ের, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুকিতুজ্জামান জুরাত, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান। থানা ও ওয়ার্ড শাখার যেসব সভাপতি-সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের অনেকে কেবল নিজের জন্য ভোট চাইছেন, নৌকার জন্য নয়।
দলীয় নেতারা বলেছেন, ডাবলু সরকারের ভাগনে আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, ভাই নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ সরকার সেডুকেও ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। ডাবলুর আরেক ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হামিদ সরকার টেকন নিজের প্রচার করছেন। সরকার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও নেই। গত মার্চে একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ডাবলু রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁর অনুসারী ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও নৌকার পক্ষে কাজ করছেন না।
অবশ্য ডাবলু সরকার নৌকার বিরোধিতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, তিনি একা একা নৌকার জন্য কাজ করছেন।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ওই ব্যক্তিরা না নামাতেই দলের জন্য ভালো হয়েছে। ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালেও নৌকার বিরোধিতা করার লোক ছিল। এবারও আছে। তবে এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, এখানে প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
দলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যাঁরা নৌকার জন্য কাজ করছেন না, তার ব্যাখ্যা ওই নেতারাই দেবেন। রাজশাহীতে একটু সমস্যা আছে। ভোটের জন্য এগুলো সমাধান হচ্ছে না। ভোটের পর সব সমাধান হবে।
জাতীয় পার্টিতেও বিভেদ
বিভেদ আছে জাতীয় পার্টিতেও (জাপা)। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থী স্থানীয় নেতারা মহানগরের সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চুকে আগেভাগেই মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন। তাঁর পাশে নেই রওশনপন্থী নেতারা। পাশে যাঁরা আছেন, তাঁরাও কোন্দলে জড়াচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলে শৃঙ্খলা নেই। আমি ভোটে আছি, এটা দলের অনেকের পছন্দ না। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব। দু-একজন তো মাঠ ছেড়ে দেওয়ার জন্যও বলেছেন। তবে আমি ভোটে থাকব।’
কর্মী-সংকটে জাকের পার্টির প্রার্থী
মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ারকে প্রচারে নেমে কর্মী-সংকটে পড়তে হচ্ছে। এ পর্যন্ত মাত্র এক দিন তাঁর পক্ষে শহরে মিছিল হয়েছে। এতেও অংশ নিয়েছিলেন বাইরের জেলার দলীয় কর্মীরা। লতিফ আনোয়ার বলেন, ‘স্থানীয় কর্মীদের নিয়েই প্রচার করছি। মিছিলের দিন পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আসায় বাইরে থেকে কর্মীরা এসেছিলেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে