জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। রোপণের ১১০-১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে। বীজের বাম্পার ফলনের কথা জেনে গত বছর সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকে ন্যায্য দামে বীজ কেনার প্রতিশ্রুতিও ছিল। কিন্তু উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য আর ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছর সূর্যমুখীর চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন নীলফামারীর চাষিরা। এতে সূর্যমুখী চাষের জন্য সরকারের দেওয়া প্রণোদনার উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, বীজ কেনার কথা সত্য নয়। মূলত উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে না পেরে চাষিরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বিগত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এতে প্রতি বিঘায় ২৬৬ কেজি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকা। এ হিসাবে প্রায় চার কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু উৎপাদিত বীজের ক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় প্রতি কেজি বীজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন চাষিরা।
সৈয়দপুরের কয়ামিস্ত্রিপাড়ার চাষি নির্মল রায় জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪৫ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। এতে পানি সেচ ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ৭ মণ বীজ ঘরে তোলেন। কৃষি অফিস প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে কেনার প্রতিশ্রুতি দিলেও উৎপাদনের পর তারা সে বীজ কিনতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় একজন তেল ব্যবসায়ীর কাছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রির এ ঝামেলার কারণে তিনি আর সূর্যমুখীর চাষ করেননি।
কৃষি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনায় সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছিল। আশাতীত ফলন হলেও স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি না হওয়ায় এর চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন চাষিরা। এবার গোটা জেলায় মাত্র ২৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
সূর্যমুখীচাষি কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু জানান, তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বীজ বিক্রি করেছেন। অথচ এ জমিতে প্রতিবছর ভুট্টা চাষ করে এক লাখ টাকা আয় করতেন। কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট তৈরি করে সূর্যমুখীচাষিদের জিম্মি করে কৃষি বিভাগেই কম দামে বীজগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল জানান, কৃষি বিভাগ সূর্যমুখীচাষিদের উৎপাদিত বীজ ক্রয় করার বিষয়টি সত্য নয়। বাজারজাত করার জন্য চাষিদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগ তা করেছে।
কৃষিবিষয়ক শিক্ষক অশ্বিনী কুমার রায় জানান, সূর্যমুখী চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর আবাদ বাড়ছে। সূর্যমুখীর শস্যদানা থেকে উৎপাদিত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেলের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর তেল ভাঙানোর মেশিন স্থাপনে কোনো উদ্যোক্তা এগিয়ে এলে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষ সম্ভব, যা দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নীলফামারীর মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের উপযোগী। রোপণের ১১০-১২০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে। বীজের বাম্পার ফলনের কথা জেনে গত বছর সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকে ন্যায্য দামে বীজ কেনার প্রতিশ্রুতিও ছিল। কিন্তু উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য আর ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছর সূর্যমুখীর চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন নীলফামারীর চাষিরা। এতে সূর্যমুখী চাষের জন্য সরকারের দেওয়া প্রণোদনার উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, বীজ কেনার কথা সত্য নয়। মূলত উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে না পেরে চাষিরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বিগত মৌসুমে নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৯৯০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। এতে প্রতি বিঘায় ২৬৬ কেজি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। প্রতি কেজি বীজের সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকা। এ হিসাবে প্রায় চার কোটি টাকার সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু উৎপাদিত বীজের ক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় প্রতি কেজি বীজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন চাষিরা।
সৈয়দপুরের কয়ামিস্ত্রিপাড়ার চাষি নির্মল রায় জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪৫ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। এতে পানি সেচ ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ৭ মণ বীজ ঘরে তোলেন। কৃষি অফিস প্রতি মণ ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে কেনার প্রতিশ্রুতি দিলেও উৎপাদনের পর তারা সে বীজ কিনতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় একজন তেল ব্যবসায়ীর কাছে প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রির এ ঝামেলার কারণে তিনি আর সূর্যমুখীর চাষ করেননি।
কৃষি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনায় সূর্যমুখী চাষের জন্য চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছিল। আশাতীত ফলন হলেও স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি না হওয়ায় এর চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন চাষিরা। এবার গোটা জেলায় মাত্র ২৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
সূর্যমুখীচাষি কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু জানান, তিন বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বীজ বিক্রি করেছেন। অথচ এ জমিতে প্রতিবছর ভুট্টা চাষ করে এক লাখ টাকা আয় করতেন। কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট তৈরি করে সূর্যমুখীচাষিদের জিম্মি করে কৃষি বিভাগেই কম দামে বীজগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল জানান, কৃষি বিভাগ সূর্যমুখীচাষিদের উৎপাদিত বীজ ক্রয় করার বিষয়টি সত্য নয়। বাজারজাত করার জন্য চাষিদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগ তা করেছে।
কৃষিবিষয়ক শিক্ষক অশ্বিনী কুমার রায় জানান, সূর্যমুখী চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর আবাদ বাড়ছে। সূর্যমুখীর শস্যদানা থেকে উৎপাদিত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেলের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর তেল ভাঙানোর মেশিন স্থাপনে কোনো উদ্যোক্তা এগিয়ে এলে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষ সম্ভব, যা দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে