শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারীয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর ৬ দফা হামলার অভিযোগ উঠেছে। সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থকদের হামলায় অন্তত ১৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও আঙ্গারীয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার। তাঁর দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁর (নৌকার প্রার্থী) একটি নির্বাচনী ক্লাব ভাঙচুর করেছে, মিছিলে হামলা করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আসমা আক্তার। আর মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। নিয়মিত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা। শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থকেরা গত ১৯ অক্টোবর তুলাতলা গ্রামে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মুজাম সরদার (৭০) নামে একজনকে আহত করেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ২১ অক্টোবর আসমা আক্তারের বাড়ির সামনে ইট, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী বিল্লাল হোসেনকে। ২৮ অক্টোবর সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মাতুব্বরকে, ২৯ অক্টোবর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ ফকিরকে (৮০) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হয়েছে। সবশেষ ২ নভেম্বর দক্ষিণ ভাষানচর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ক্ষমতাসীনদের সমর্থকেরা। এই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হন। নির্বাচনী প্রচারের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনটি মাইক ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন তাঁর দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই সব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বিএনপি পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে। তারা আমাকে মাঠে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমার কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলা করা হচ্ছে। প্রার্থীর স্বামী সরকারি চিকিৎসক, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনিও প্রচার চালাচ্ছেন। থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। বিষয়গুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, ‘আমি নৌকার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। আনোয়ার হাওলাদারের কোনো প্রচারে হামলা করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করে আমার ও আমার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁর সমর্থকেরা আমাদের একটি নির্বাচনী ক্লাব ভাঙচুর করেছে, মিছিলে হামলা করেছে।’
আঙ্গারীয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আঙ্গারীয়া ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু আইনশৃঙ্খলার বিষয় জড়িত, তাই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনও ও ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। আর আমি উভয় প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছি।’
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারীয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর ৬ দফা হামলার অভিযোগ উঠেছে। সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থকদের হামলায় অন্তত ১৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও আঙ্গারীয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার। তাঁর দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁর (নৌকার প্রার্থী) একটি নির্বাচনী ক্লাব ভাঙচুর করেছে, মিছিলে হামলা করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আসমা আক্তার। আর মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। নিয়মিত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা। শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থকেরা গত ১৯ অক্টোবর তুলাতলা গ্রামে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মুজাম সরদার (৭০) নামে একজনকে আহত করেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ২১ অক্টোবর আসমা আক্তারের বাড়ির সামনে ইট, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী বিল্লাল হোসেনকে। ২৮ অক্টোবর সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার মাতুব্বরকে, ২৯ অক্টোবর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ ফকিরকে (৮০) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হয়েছে। সবশেষ ২ নভেম্বর দক্ষিণ ভাষানচর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ক্ষমতাসীনদের সমর্থকেরা। এই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হন। নির্বাচনী প্রচারের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনটি মাইক ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন তাঁর দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই সব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বিএনপি পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে। তারা আমাকে মাঠে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমার কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলা করা হচ্ছে। প্রার্থীর স্বামী সরকারি চিকিৎসক, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনিও প্রচার চালাচ্ছেন। থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। বিষয়গুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, ‘আমি নৌকার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। আনোয়ার হাওলাদারের কোনো প্রচারে হামলা করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করে আমার ও আমার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁর সমর্থকেরা আমাদের একটি নির্বাচনী ক্লাব ভাঙচুর করেছে, মিছিলে হামলা করেছে।’
আঙ্গারীয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আঙ্গারীয়া ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু আইনশৃঙ্খলার বিষয় জড়িত, তাই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনও ও ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। আর আমি উভয় প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে