সম্পাদকীয়
এক বছর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র সমস্যার কথা জানা যায়। কত মানুষ বহু কষ্টে সঞ্চিত অর্থ বাড়তি লাভের আশায় ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন! ইভ্যালির শত
শত গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির দুই প্রধান কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিন।
এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন আদালত। এই বোর্ডকে ইভ্যালির দায়দেনা নিরূপণ করে প্রতিষ্ঠানটি চলবে, নাকি দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে, সে ব্যাপারে মতামত জানাতে নির্দেশনা দেন আদালত।
এক বছরেও বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা বোর্ড ইভ্যালির সংকট দূর করার ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আদালতের নির্দেশনা পুরোপুরি পালন করতে না পারার কারণ সম্পর্কে বিচারপতি মানিক বলেছেন, রাসেলের অসহযোগিতার কারণে অডিট ফার্ম দায়দেনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পায়নি। রাসেল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন, তার কোনো হিসাব নেই।
বুধবার উচ্চ আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার বিপক্ষে মতামত জানিয়ে আদালতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে এই বোর্ড। আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিচারপতি মানিক গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘বর্তমান অবস্থায় ইভ্যালি চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আদালতে দেওয়া মতামত প্রতিবেদনে আমরা ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা না করার পক্ষে মত দিয়েছি। কারণ, এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের শত শত কোটি টাকা জড়িয়ে আছে।
ইভ্যালি দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে তাদের কেউ টাকা ফিরে পাবে না। বিনিয়োগ পেলে কোম্পানিটি চলবে, অন্যথায় বন্ধ হয়ে যাবে।’
ইভ্যালি ডোবানোর জন্য মোহাম্মদ রাসেলকেই দায়ী করে বিচারপতি মানিক বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো কোম্পানি চালিয়েছেন। কোম্পানির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করেছেন।
ইভ্যালির সংকটের কারণ চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গে সংকট উত্তরণের উপায় নিয়েও যদি কোনো দিকনির্দেশনা বিচারপতি মানিক দিতেন, তাহলে নতুন পরিচালনা বোর্ডের হয়তো কিছু সুবিধা হতো। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ডে থাকছেন মোহাম্মদ রাসেলের পরিবারের তিনজন সদস্য এবং ই-ক্যাব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। তাঁরা হলেন শামীমা নাসরিন ও তাঁর মা এবং বোনের স্বামী। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার এবং ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন বোর্ড ইভ্যালিকে ফিরিয়ে আনবে। গ্রাহক অবশ্যই খুব দ্রুত তাদের টাকা ফেরত পাবে।
মানুষ দ্রুত টাকা ফেরত পাবে—এই আশাবাদ প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই প্রত্যাশা পূরণে নতুন বোর্ড ব্যর্থ হলে মানুষ তখন কী করবে?
এক বছর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র সমস্যার কথা জানা যায়। কত মানুষ বহু কষ্টে সঞ্চিত অর্থ বাড়তি লাভের আশায় ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন! ইভ্যালির শত
শত গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির দুই প্রধান কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিন।
এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন আদালত। এই বোর্ডকে ইভ্যালির দায়দেনা নিরূপণ করে প্রতিষ্ঠানটি চলবে, নাকি দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে, সে ব্যাপারে মতামত জানাতে নির্দেশনা দেন আদালত।
এক বছরেও বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা বোর্ড ইভ্যালির সংকট দূর করার ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আদালতের নির্দেশনা পুরোপুরি পালন করতে না পারার কারণ সম্পর্কে বিচারপতি মানিক বলেছেন, রাসেলের অসহযোগিতার কারণে অডিট ফার্ম দায়দেনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পায়নি। রাসেল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন, তার কোনো হিসাব নেই।
বুধবার উচ্চ আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার বিপক্ষে মতামত জানিয়ে আদালতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে এই বোর্ড। আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিচারপতি মানিক গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘বর্তমান অবস্থায় ইভ্যালি চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আদালতে দেওয়া মতামত প্রতিবেদনে আমরা ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা না করার পক্ষে মত দিয়েছি। কারণ, এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের শত শত কোটি টাকা জড়িয়ে আছে।
ইভ্যালি দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে তাদের কেউ টাকা ফিরে পাবে না। বিনিয়োগ পেলে কোম্পানিটি চলবে, অন্যথায় বন্ধ হয়ে যাবে।’
ইভ্যালি ডোবানোর জন্য মোহাম্মদ রাসেলকেই দায়ী করে বিচারপতি মানিক বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো কোম্পানি চালিয়েছেন। কোম্পানির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করেছেন।
ইভ্যালির সংকটের কারণ চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গে সংকট উত্তরণের উপায় নিয়েও যদি কোনো দিকনির্দেশনা বিচারপতি মানিক দিতেন, তাহলে নতুন পরিচালনা বোর্ডের হয়তো কিছু সুবিধা হতো। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ডে থাকছেন মোহাম্মদ রাসেলের পরিবারের তিনজন সদস্য এবং ই-ক্যাব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। তাঁরা হলেন শামীমা নাসরিন ও তাঁর মা এবং বোনের স্বামী। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার এবং ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সহসমন্বয়ক সাকিব হাসান নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন বোর্ড ইভ্যালিকে ফিরিয়ে আনবে। গ্রাহক অবশ্যই খুব দ্রুত তাদের টাকা ফেরত পাবে।
মানুষ দ্রুত টাকা ফেরত পাবে—এই আশাবাদ প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই প্রত্যাশা পূরণে নতুন বোর্ড ব্যর্থ হলে মানুষ তখন কী করবে?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে