আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
৫০ কোটি টাকায় কেনা তিনটি জাহাজ এখন চট্টগ্রাম বন্দরের গলার কাঁটা। বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জের পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালে পণ্য পরিবহনের জন্য কনটেইনারবাহী ওই জাহাজগুলো কেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো এমভি পানগাঁও এক্সপ্রেস, এমভি পানগাঁও ভিশন ও এমভি পানগাঁও সাকসেস।
২০১৩ সালের শেষ দিকে ৫০ কোটি টাকায় কেনা হয় ১২০ থেকে ১৪০ টিউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ তিনটি। এগুলো পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা আয় করেছে বন্দর।
শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজ তিনটি পরিচালনা করত। পরে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের কাছে ৫ বছরের চুক্তিতে জাহাজগুলো হস্তান্তর করা হয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সামিট অ্যালায়েন্স সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাহাজ তিনটি চট্টগ্রাম বন্দরকে ফেরত দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে (বিএসসি) তিনটি জাহাজ পরিচালনার অনুরোধ করা হয়। বিএসসি এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। দফায় দফায় জাহাজগুলো পরিচালনার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় তিন বছর ধরে অলস পড়ে আছে সেগুলো।
সূত্রে জানা গেছে, একাধিকবার ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও উপযুক্ত দর মেলেনি। বাধ্য হয়ে জাহাজ ৩টি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম বন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত পানগাঁও টার্মিনালে নদীপথে কনটেইনার পরিবহনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকায় জাহাজ ৩টি কেনা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দুটি এবং ২০১৪ সালের আগস্টে একটি জাহাজ বুঝে নেন তাঁরা। শুরুতে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজ তিনটি পরিচালনা করে বন্দর। পরবর্তী কালে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জেটিতে তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রতি মাসে তিনটি জাহাজের ভাড়া বাবদ ৪২ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি হয়।
এদিকে কনটেইনার পরিবহন করে ক্রমাগত লোকসানের কবলে পড়ে সামিট অ্যালায়েন্স। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২ বছর ৮ মাসের মাথায় বন্দরের কাছে জাহাজগুলো হস্তান্তর করে তারা।
পরবর্তীতে জাহাজ তিনটি ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় বন্দর। তবে আশানুরূপ দর না পাওয়ায় জাহাজ তিনটি নিলামের বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। এ জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের আইন উপদেষ্টার মতামত জানতে চাওয়া হয়।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে জাহাজ তিনটি বিক্রির বিষয়ে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের আইন উপদেষ্টা। এর আগে দেড় বছর আগে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কা রুটে পরিচালনার জন্যও আইন উপদেষ্টার মতামত চাওয়া হয়েছিল। জাহাজের ফিটনেস থাকা সাপেক্ষে এই রুটেও পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল। এরপরও জাহাজ তিনটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে এরই মধ্যে জাহাজ তিনটি পরিচালনার জন্য বিএসসিকে অনুরোধ জানায় বন্দর। এ বিষয়ে বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (শিপিং) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেওয়া চিঠির মাধ্যমে ওই তিনটি জাহাজ পরিচালনায় প্রস্তাব পেয়েছি। তবে এই জাহাজগুলো আমাদের পরিচালনার সুযোগ নেই। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জাহাজ তিনটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত জানতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বন্দরের নৌ বিভাগের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম ওই তিনটি জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০১৭ সালের শেষ থেকে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে অলস পড়ে ছিল জাহাজ তিনটি। সম্প্রতি জাহাজগুলো বন্দরের সার্ভিস জেটিতে আনা হয়েছে। বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
৫০ কোটি টাকায় কেনা তিনটি জাহাজ এখন চট্টগ্রাম বন্দরের গলার কাঁটা। বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জের পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালে পণ্য পরিবহনের জন্য কনটেইনারবাহী ওই জাহাজগুলো কেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো এমভি পানগাঁও এক্সপ্রেস, এমভি পানগাঁও ভিশন ও এমভি পানগাঁও সাকসেস।
২০১৩ সালের শেষ দিকে ৫০ কোটি টাকায় কেনা হয় ১২০ থেকে ১৪০ টিউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ তিনটি। এগুলো পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা আয় করেছে বন্দর।
শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজ তিনটি পরিচালনা করত। পরে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের কাছে ৫ বছরের চুক্তিতে জাহাজগুলো হস্তান্তর করা হয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সামিট অ্যালায়েন্স সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জাহাজ তিনটি চট্টগ্রাম বন্দরকে ফেরত দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে (বিএসসি) তিনটি জাহাজ পরিচালনার অনুরোধ করা হয়। বিএসসি এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। দফায় দফায় জাহাজগুলো পরিচালনার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় তিন বছর ধরে অলস পড়ে আছে সেগুলো।
সূত্রে জানা গেছে, একাধিকবার ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও উপযুক্ত দর মেলেনি। বাধ্য হয়ে জাহাজ ৩টি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম বন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত পানগাঁও টার্মিনালে নদীপথে কনটেইনার পরিবহনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকায় জাহাজ ৩টি কেনা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দুটি এবং ২০১৪ সালের আগস্টে একটি জাহাজ বুঝে নেন তাঁরা। শুরুতে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজ তিনটি পরিচালনা করে বন্দর। পরবর্তী কালে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জেটিতে তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রতি মাসে তিনটি জাহাজের ভাড়া বাবদ ৪২ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি হয়।
এদিকে কনটেইনার পরিবহন করে ক্রমাগত লোকসানের কবলে পড়ে সামিট অ্যালায়েন্স। ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২ বছর ৮ মাসের মাথায় বন্দরের কাছে জাহাজগুলো হস্তান্তর করে তারা।
পরবর্তীতে জাহাজ তিনটি ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় বন্দর। তবে আশানুরূপ দর না পাওয়ায় জাহাজ তিনটি নিলামের বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। এ জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের আইন উপদেষ্টার মতামত জানতে চাওয়া হয়।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে জাহাজ তিনটি বিক্রির বিষয়ে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের আইন উপদেষ্টা। এর আগে দেড় বছর আগে চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কা রুটে পরিচালনার জন্যও আইন উপদেষ্টার মতামত চাওয়া হয়েছিল। জাহাজের ফিটনেস থাকা সাপেক্ষে এই রুটেও পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল। এরপরও জাহাজ তিনটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে এরই মধ্যে জাহাজ তিনটি পরিচালনার জন্য বিএসসিকে অনুরোধ জানায় বন্দর। এ বিষয়ে বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (শিপিং) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেওয়া চিঠির মাধ্যমে ওই তিনটি জাহাজ পরিচালনায় প্রস্তাব পেয়েছি। তবে এই জাহাজগুলো আমাদের পরিচালনার সুযোগ নেই। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জাহাজ তিনটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত জানতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বন্দরের নৌ বিভাগের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম ওই তিনটি জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২০১৭ সালের শেষ থেকে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে অলস পড়ে ছিল জাহাজ তিনটি। সম্প্রতি জাহাজগুলো বন্দরের সার্ভিস জেটিতে আনা হয়েছে। বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে