বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে জুমে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘ঠান্ডা আলু’ চাষ। চাহিদা থাকায় পাহাড়ের শীতকালীন ফসল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
পাহাড়ে মারমা ভাষায় একে বলে ‘রোয়াই উ’। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাড়ায় ‘রোয়াই উ’ বলা হলেও শহরে এটি ‘ঠান্ডা আলু’ নামেই পরিচিত। ইংরেজিতে একে ‘ম্যাক্সিকান ইয়াম’ বা ‘ম্যাক্সিকান টার্নিপ’ বলা হয়।
বাদামি রংয়ের ঠান্ডা আলু লম্বা ও গোলাকৃতি হয়। সমতলের মিষ্টি আলুর মতো দেখতে হলেও ঠান্ডা আলুর চামড়া অনেক পুরু হয়। স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় এটি পাহাড়ি-বাঙালি সবার বেশ পছন্দের খাবার এটি।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন জানান, জুমচাষেই কেবল ঠান্ডা আলু চাষ হয়। এ কারণে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য তিন জেলায় এই ফলের চাষ হয়।
সুয়ালকের বাসিন্দা আকাশ মারমা বলেন, বৈশাখ (এপ্রিল) মাস থেকে জুমে নতুন ধানের বীজ রোপণের সময় ঠান্ডা আলুর বীজও বপন করা হয়। ধান উঠে গেলে আলুর গাছগুলো বাড়তে থাকে। এ জন্য অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ-ফাল্গুন (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিন মাস সাধারণত ঠান্ডা আলুর মৌসুম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবানের ডলুপাড়া, চড়ুইপাড়া, কানাপাড়া, তুমব্রুপাড়া, হেবরনপাড়া এলাকায় পাহাড়ে জুমের জমিতে ঠান্ডা আলু চাষ হয়েছে। জমি থেকে আলু তুলে ধুয়ে পরিষ্কার করে বাজারে নিয়ে আসেন চাষিরা। জেলা সদরের মধ্যমপাড়ায় মারমা বাজার, বালাঘাটা, বান্দরবান বাজার, রেইচা বাজার, সুয়ালক বাজারে ঠান্ডা আলু বিক্রি হতে দেখা যায়।
ঠান্ডা আলু বিক্রেতা আবদুল আলী বলেন, পাহাড়িদের কাছ থেকে পাইকারি দরে ঠান্ডা আলু কিনে বান্দরবান বাজারে এনে বিক্রি করেন তিনি। প্রতি কেজি আলু ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পাইকার মাবুদ সওদাগর বলেন, শহরে চাহিদা থাকায় শীতকালে তিনি ঠান্ডা আলুর ব্যবসা করেন। বান্দরবান বাজার থেকে আলু কিনে ট্রাক ও মাহেন্দ্র করে পটিয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন।
বালাঘাটা বাজারে নিজে চাষ করা ঠান্ডা আলু বিক্রি করতে আসা পূর্ণিমা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তাঁর জমিতে এবার ঠান্ডা আলুর ভালো ফলন হয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ ঠান্ডা আলু বাজারে এনে বিক্রি করেন। নিজে বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি পাওয়া যায়।
লেমুঝিরির জুম চাষি লালু তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, জুমের বড় গুণ এখানে চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহার হয় না। গাছপালা পুড়িয়ে জৈব সার পাওয়া যায়। কম স্থানে বেশি ফলন ও ওজনে বেশি হওয়ায় অনেকে এখন জুমে ঠান্ডা আলুর চাষ করেন। দাম ভালো পাওয়া যাওয়ায় তাঁর মতো অনেকে এই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বান্দরবান সদরের কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, পাহাড়ে জুমে চাষ করা ধান উঠে যাওয়ার পর ঠান্ডা আলুগাছগুলো বড় হতে থাকে। আলু বড় হলে গাছের গোড়ার মাটি ফেটে যায়। তখন আলু সংগ্রহ করা হয়। মাঝারি ঢালু পাহাড়ি জমিতে ঠান্ডা আলুর ফলন ভালো হয়। জুমের জমিতে ঠান্ডা আলু চাষের জন্য কৃষি বিভাগ হতে সহযোগিতা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে জুমে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘ঠান্ডা আলু’ চাষ। চাহিদা থাকায় পাহাড়ের শীতকালীন ফসল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
পাহাড়ে মারমা ভাষায় একে বলে ‘রোয়াই উ’। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাড়ায় ‘রোয়াই উ’ বলা হলেও শহরে এটি ‘ঠান্ডা আলু’ নামেই পরিচিত। ইংরেজিতে একে ‘ম্যাক্সিকান ইয়াম’ বা ‘ম্যাক্সিকান টার্নিপ’ বলা হয়।
বাদামি রংয়ের ঠান্ডা আলু লম্বা ও গোলাকৃতি হয়। সমতলের মিষ্টি আলুর মতো দেখতে হলেও ঠান্ডা আলুর চামড়া অনেক পুরু হয়। স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় এটি পাহাড়ি-বাঙালি সবার বেশ পছন্দের খাবার এটি।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন জানান, জুমচাষেই কেবল ঠান্ডা আলু চাষ হয়। এ কারণে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য তিন জেলায় এই ফলের চাষ হয়।
সুয়ালকের বাসিন্দা আকাশ মারমা বলেন, বৈশাখ (এপ্রিল) মাস থেকে জুমে নতুন ধানের বীজ রোপণের সময় ঠান্ডা আলুর বীজও বপন করা হয়। ধান উঠে গেলে আলুর গাছগুলো বাড়তে থাকে। এ জন্য অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ-ফাল্গুন (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিন মাস সাধারণত ঠান্ডা আলুর মৌসুম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবানের ডলুপাড়া, চড়ুইপাড়া, কানাপাড়া, তুমব্রুপাড়া, হেবরনপাড়া এলাকায় পাহাড়ে জুমের জমিতে ঠান্ডা আলু চাষ হয়েছে। জমি থেকে আলু তুলে ধুয়ে পরিষ্কার করে বাজারে নিয়ে আসেন চাষিরা। জেলা সদরের মধ্যমপাড়ায় মারমা বাজার, বালাঘাটা, বান্দরবান বাজার, রেইচা বাজার, সুয়ালক বাজারে ঠান্ডা আলু বিক্রি হতে দেখা যায়।
ঠান্ডা আলু বিক্রেতা আবদুল আলী বলেন, পাহাড়িদের কাছ থেকে পাইকারি দরে ঠান্ডা আলু কিনে বান্দরবান বাজারে এনে বিক্রি করেন তিনি। প্রতি কেজি আলু ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পাইকার মাবুদ সওদাগর বলেন, শহরে চাহিদা থাকায় শীতকালে তিনি ঠান্ডা আলুর ব্যবসা করেন। বান্দরবান বাজার থেকে আলু কিনে ট্রাক ও মাহেন্দ্র করে পটিয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন।
বালাঘাটা বাজারে নিজে চাষ করা ঠান্ডা আলু বিক্রি করতে আসা পূর্ণিমা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তাঁর জমিতে এবার ঠান্ডা আলুর ভালো ফলন হয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ ঠান্ডা আলু বাজারে এনে বিক্রি করেন। নিজে বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি পাওয়া যায়।
লেমুঝিরির জুম চাষি লালু তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, জুমের বড় গুণ এখানে চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহার হয় না। গাছপালা পুড়িয়ে জৈব সার পাওয়া যায়। কম স্থানে বেশি ফলন ও ওজনে বেশি হওয়ায় অনেকে এখন জুমে ঠান্ডা আলুর চাষ করেন। দাম ভালো পাওয়া যাওয়ায় তাঁর মতো অনেকে এই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বান্দরবান সদরের কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, পাহাড়ে জুমে চাষ করা ধান উঠে যাওয়ার পর ঠান্ডা আলুগাছগুলো বড় হতে থাকে। আলু বড় হলে গাছের গোড়ার মাটি ফেটে যায়। তখন আলু সংগ্রহ করা হয়। মাঝারি ঢালু পাহাড়ি জমিতে ঠান্ডা আলুর ফলন ভালো হয়। জুমের জমিতে ঠান্ডা আলু চাষের জন্য কৃষি বিভাগ হতে সহযোগিতা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে