কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে মাঝারি মেয়াদে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানিপ্রবাহ কমা-বাড়ার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কয়েক দিন জেলায় নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপচরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এসব চরের বাসিন্দারের বাড়িঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে দুই-তিন দিনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু চরাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর, পূর্ব তিনহাজারি, মুছল্লীপাড়া, মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম মুসল্লিপাড়া, ঝুনকার চর, চরভগবতীপুর ও চর পার্বতীপুরের কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী। এসব গ্রামের বেশকিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এসব গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের দ্বীপচর মশালের চরের বাসিন্দা হামিদুল বলেন, ‘পানি খুব বাড়ন্ত ভাই। বাড়িঘরে উঠতে শুরু করছে। এমনে পানি বাড়লে আজ কাইলে সবার ঘরে পানি ঢুকে পড়ব।’
পাউবো সূত্র জানায়, ২০ জুন পর্যন্ত উজানে বৃষ্টিপাত চলতে পারে। উজানের পানিপ্রবাহ জেলার নদ-নদী দিয়ে জুনের ২৪-২৫ তারিখ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। ওই সময় পর্যন্ত জেলার নদ-নদীর পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মাঝারি মেয়াদে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়া জেলার রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দুর্গত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১০ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণসহায়তা বিতরণে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে ধরলা নদীর ডান তীরের বাঁধের কিছু কিছু স্থানে মাটি ধসে পড়ছে। আমাদের লোকজন ওইগুলো মেরামতে কাজ করছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলায় বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।’
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে মাঝারি মেয়াদে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবো জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানিপ্রবাহ কমা-বাড়ার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কয়েক দিন জেলায় নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপচরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এসব চরের বাসিন্দারের বাড়িঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে দুই-তিন দিনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু চরাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর, পূর্ব তিনহাজারি, মুছল্লীপাড়া, মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম মুসল্লিপাড়া, ঝুনকার চর, চরভগবতীপুর ও চর পার্বতীপুরের কয়েক শ পরিবার পানিবন্দী। এসব গ্রামের বেশকিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এসব গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের দ্বীপচর মশালের চরের বাসিন্দা হামিদুল বলেন, ‘পানি খুব বাড়ন্ত ভাই। বাড়িঘরে উঠতে শুরু করছে। এমনে পানি বাড়লে আজ কাইলে সবার ঘরে পানি ঢুকে পড়ব।’
পাউবো সূত্র জানায়, ২০ জুন পর্যন্ত উজানে বৃষ্টিপাত চলতে পারে। উজানের পানিপ্রবাহ জেলার নদ-নদী দিয়ে জুনের ২৪-২৫ তারিখ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। ওই সময় পর্যন্ত জেলার নদ-নদীর পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মাঝারি মেয়াদে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়া জেলার রৌমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দুর্গত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১০ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণসহায়তা বিতরণে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে ধরলা নদীর ডান তীরের বাঁধের কিছু কিছু স্থানে মাটি ধসে পড়ছে। আমাদের লোকজন ওইগুলো মেরামতে কাজ করছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলায় বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে