মো. নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে অবস্থিত কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি। একসময় এই পাঠাগারে মরমি কবি সিরাজুলের রচিত অনেক গানের সংকলন, বই এবং তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বই রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির পাঠকের জন্য বই ও জাতীয় পত্রিকা রাখা হতো নিয়মিত। কিন্তু ১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে।
‘আল্লাহু তুমি জাল্লেজালালুহ’—এ রকম অসংখ্য বিখ্যাত গীতিকবিতার রচয়িতা মরমি কবি সিরাজুল ইসলাম। ১৯৩০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রখ্যাত এই গুণী মানুষের জন্ম হয় কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা ইউনিয়নের গোকুলচর গ্রামে। ২০০২ সালের ৯ জুন নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর লেখা বিখ্যাত গানগুলো এখনো রয়েছে মানুষের মুখে মুখে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৪৮ সাল থেকে সংগীতচর্চা শুরু করেন কবি সিরাজুল ইসলাম। পরে ১৯৫৪ সালে তিনি রেডিওর গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হলে তিনি সেখানেও গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। কবির লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পীরা। তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। পরে তিনি নিজ বাড়িতে এলাকার মানুষের জ্ঞানচর্চার জন্য স্থাপন করেন একটি পাঠাগার, যার নাম ‘বই বাগান’।
জানা যায়, মৃত্যুর পরে কবির প্রিয় বই বাগানের একটি কক্ষেই দাফন করা হয় কবির মরদেহ। পরে কবির স্মরণে ২০০২ সালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়। এই পাঠাগারে মরমি কবি সিরাজুলের রচিত অনেক গানের সংকলন, বই এবং তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বই রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির পাঠকের জন্য বই ও জাতীয় পত্রিকা রাখা হতো নিয়মিত। কিন্তু ২০০৭ সালের শেষের দিকে জরুরি প্রয়োজনে পাঠাগারটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় বইপত্র। পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের ১৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কেউই।
কবি সিরাজুল ইসলামের পুত্রবধূ খালেদা আক্তার সিমা বলেন, সরকার কবির স্মৃতি ধরে রাখতে কবি মারা যাওয়ার পর উপজেলা চত্বরে নির্মাণ করেন কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি। কিন্তু লাইব্রেরি চালু করার পাঁচ বছর অতিবাহিত হতেই সেটি বন্ধ করে দিয়ে স্থাপন করা হয় পুলিশ ফাঁড়ি।
খালেদা আক্তার আরও বলেন, কবি জীবদ্দশায় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এখন সরকারের উচিত কবির ইতিহাস ও বইগুলো সংরক্ষণ করা। ১৫ বছর ধরে একটি পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি, অথচ কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।
কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘অনেক বছর ধরে পাঠাগারেই রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মকর্তা ছাড়াও ১৯ জনের ফোর্স রয়েছে। আধুনিক পুলিশ ফাঁড়ির কোনো সুযোগ-সুবিধাই নেই এখানে। অনেকটা গাদাগাদি করে এখানে কাজ করতে হয়। আমরাও চাই না পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকুক। আমাদের নিজস্ব একটি ভবন হলেই আমরা পাঠাগারটি ছেড়ে দেব।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়িটির অবস্থা অত্যন্ত অবর্ণনীয়। ফাঁড়ির ভবনটির অবস্থাও জীর্ণশীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে ভবনটি। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি, কিন্তু তারা ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
শাহাবুদ্দিন কবির আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তার জন্য ফাঁড়িটি জরুরি। আমাদের জায়গা দিলে আমরা ভবন নির্মাণ করে নেব। এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, ‘পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়িটি আসলে অনেক বছর আগেই স্থাপিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুলিশের পক্ষ থেকেও একাধিকবার আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় জমি পেলেই আমরা ফাঁড়িটি স্থানান্তর করতে পারব।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে অবস্থিত কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি। একসময় এই পাঠাগারে মরমি কবি সিরাজুলের রচিত অনেক গানের সংকলন, বই এবং তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বই রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির পাঠকের জন্য বই ও জাতীয় পত্রিকা রাখা হতো নিয়মিত। কিন্তু ১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে।
‘আল্লাহু তুমি জাল্লেজালালুহ’—এ রকম অসংখ্য বিখ্যাত গীতিকবিতার রচয়িতা মরমি কবি সিরাজুল ইসলাম। ১৯৩০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রখ্যাত এই গুণী মানুষের জন্ম হয় কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা ইউনিয়নের গোকুলচর গ্রামে। ২০০২ সালের ৯ জুন নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর লেখা বিখ্যাত গানগুলো এখনো রয়েছে মানুষের মুখে মুখে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৪৮ সাল থেকে সংগীতচর্চা শুরু করেন কবি সিরাজুল ইসলাম। পরে ১৯৫৪ সালে তিনি রেডিওর গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হলে তিনি সেখানেও গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। কবির লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অনেক খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পীরা। তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। পরে তিনি নিজ বাড়িতে এলাকার মানুষের জ্ঞানচর্চার জন্য স্থাপন করেন একটি পাঠাগার, যার নাম ‘বই বাগান’।
জানা যায়, মৃত্যুর পরে কবির প্রিয় বই বাগানের একটি কক্ষেই দাফন করা হয় কবির মরদেহ। পরে কবির স্মরণে ২০০২ সালে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়। এই পাঠাগারে মরমি কবি সিরাজুলের রচিত অনেক গানের সংকলন, বই এবং তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বই রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির পাঠকের জন্য বই ও জাতীয় পত্রিকা রাখা হতো নিয়মিত। কিন্তু ২০০৭ সালের শেষের দিকে জরুরি প্রয়োজনে পাঠাগারটি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় বইপত্র। পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের ১৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কেউই।
কবি সিরাজুল ইসলামের পুত্রবধূ খালেদা আক্তার সিমা বলেন, সরকার কবির স্মৃতি ধরে রাখতে কবি মারা যাওয়ার পর উপজেলা চত্বরে নির্মাণ করেন কবি সিরাজুল ইসলাম পাবলিক লাইব্রেরি। কিন্তু লাইব্রেরি চালু করার পাঁচ বছর অতিবাহিত হতেই সেটি বন্ধ করে দিয়ে স্থাপন করা হয় পুলিশ ফাঁড়ি।
খালেদা আক্তার আরও বলেন, কবি জীবদ্দশায় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এখন সরকারের উচিত কবির ইতিহাস ও বইগুলো সংরক্ষণ করা। ১৫ বছর ধরে একটি পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি, অথচ কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।
কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘অনেক বছর ধরে পাঠাগারেই রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মকর্তা ছাড়াও ১৯ জনের ফোর্স রয়েছে। আধুনিক পুলিশ ফাঁড়ির কোনো সুযোগ-সুবিধাই নেই এখানে। অনেকটা গাদাগাদি করে এখানে কাজ করতে হয়। আমরাও চাই না পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকুক। আমাদের নিজস্ব একটি ভবন হলেই আমরা পাঠাগারটি ছেড়ে দেব।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘কোনাখোলা পুলিশ ফাঁড়িটির অবস্থা অত্যন্ত অবর্ণনীয়। ফাঁড়ির ভবনটির অবস্থাও জীর্ণশীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে ভবনটি। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি, কিন্তু তারা ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
শাহাবুদ্দিন কবির আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তার জন্য ফাঁড়িটি জরুরি। আমাদের জায়গা দিলে আমরা ভবন নির্মাণ করে নেব। এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, ‘পাঠাগারে পুলিশ ফাঁড়িটি আসলে অনেক বছর আগেই স্থাপিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুলিশের পক্ষ থেকেও একাধিকবার আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় জমি পেলেই আমরা ফাঁড়িটি স্থানান্তর করতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে