ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
দেশে লিচুর রাজধানী বলা হয়ে থাকে মাগুরা জেলার দুটি ইউনিয়নকে। হাজরাপুর ও হাজিপুর এই দুটি এলাকায় প্রতিটি বাড়ি যেন একটি লিচুরবাগান। পুরোনো লিচুর বাগান থেকে শুরু করে নতুন বাগানও দেখা যায়। এখন ভরা মৌসুমে লিচুবাগানের যত্ন শুরু হয়েছে। কিন্তু লিচুচাষি ও বাগান কেনা মালিকরা এখন চিন্তিত। সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে লিচুর গ্রামগুলোতে চলছে দুশ্চিন্তা। সেচ দিয়েও লিচুর পচন ঠেকাতে পারছেন না বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন।
ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যেমন নানা ভোগান্তিতে। তেমনই লিচুর প্রায় ১০ গ্রামে শতাধিক লিচু চাষির স্বপ্ন ম্লান হতে চলেছে। জানুয়ারির শেষের দিকে লিচু গাছে ভালো ফুল আসায় ভরসা ছিল ভালো ব্যবসা হবে চাষিদের। ছোট লিচু গাছে থাকতেই তা দেখে শেষ হয়েছে বাগান কেনাবেচা। এ সময় মাগুরা সদরের হাজীপুর, হাজরাপুর, মির্জাপুর, ইছাখাদা, সত্যপুর, শিবরামপুর, নড়িহাটি’র প্রতিটি লিচু বাগানে উৎসব শুরু হয়ে যায় বাগান কেনাবেচার।
গত দুই বছর লিচুর চাষিরা ভালো ব্যবসা করতে পারেননি বলে জানা গেছে। বিশেষ করে যারা লিচু বাগান ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করেননি তারা ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হয়েছেন। করোনার সময়ে ২০২০ সালে লকডাউন আর যাতায়াতে সমস্যার কারণে লিচুতে লোকসান হয়। ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লিচুর অনেক ক্ষতি হয়। ঝড়ে পড়া লিচু কেজি হিসাবেও বিক্রি হয়নি বলে ভুক্তভোগী চাষিরা জানান।
লিচুর গ্রামগুলোতে গত বুধবার ঘুরে চাষিদের থেকে জানা গেছে এবার লিচুর ফলন অনেক বেশি। লিচুর ভরা মৌসুমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের লিচু ব্যাপারীরা মাগুরায় এসে লিচু সংগ্রহ করা শুরু করবে আর সপ্তাহ খানিক পরে।। বাগান ব্যাপারীরা এক মাস আগেই লিচু সংগ্রহের জন্য লিচু’র বাগান মালিকদের আগাম টাকা দিয়ে রেখেছে। প্রতিবছর লিচু চাষিরা খরচ বাদে লাভ করে লাখ লাখ টাকা। এই ১০ গ্রামে অন্তত ২০০ বেশি লিচু বাগান রয়েছে। যেখানে প্রতি বাগান গাছে ফলন হিসাবে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে এবার। দর হিসাবে এবার কোটি টাকার ওপরে লিচুর ব্যবসা হতে যাচ্ছে বলে চাষিও ব্যাপারীরা জানিয়েছে।
কিন্তু চিন্তার জায়গায় ঠায় নিয়েছে অতিরিক্ত খরা, প্রচণ্ড দাবদাহ ও নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাগুরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়ের মুখে। কাঁচা লিচুতে পাকা রং আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাদামি বর্ণের হয়ে লিচু পচে যাচ্ছে বলে সরেজমিন দেখা গেছে। নড়িহাটি, হাজরাপুর, ইছাখাদা এলাকায় শতাধিক বাগানে হলদে রং পেতে শুরু করেছে লিচুর।
ইছাখাদা এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা ও বাগান মালিক রবিউল ইসলাম জানান, এখন দেশি লিচু মাঝ বয়সী। এগুলো ভেতরে পরিপক্ব হয়নি। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের ফলে লিচু পেকে যাচ্ছে। যা মূলত এটার খোসার রংই পরিবর্তন হচ্ছে। ভেতরে কাঁচা। তাই এই লিচু বাজারে তেমন চলবে না। ক্ষতির মুখে আমরা আবারও পেড়তে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে দরকার পরিবেশটা লিচুর অনুকূলে থাকা।
সদরের শিবরামপুরের ফারুক হোসেন, দিদার, মফিজপাটোয়ারী বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জান গেছে। এবার লিচুর ফলন ভালো। আর দুই সপ্তাহ পরে লিচু বাজারে যাবে। তাঁরা অধিকাংশ বাগান এক মাস আগেই বিক্রি করেছেন ব্যাপারীদের কাছে। ২০টি গাছের বাগান আড়াই লাখ টাকাও বিক্রি হয়েছে এই এলাকায়। রয়েছে ৫০ বিঘার ওপরে হাজারো গাছ। লিচু বিক্রি করা পেছনে তারা জানান, লিচু চাষ গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই ব্যাপারীদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন বড় বাগানগুলো। তবে ছোট বাগান নিয়ে আছেন বিপাকে। সব লিচু শুকিয়ে গাছ থেকে পরা শুরু করেছে। অতিরিক্ত গরমে এমনটা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহামুদ জানান, জেলায় এবার সব জমিতেই লিচুর চাষ হয়েছে খুব ভালো। এবার নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহে অনেক লিচুর বাগানে লিচু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা লিচু চাষিদের নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয়ে সেচ ও গাছের গোড়ায়, পাতায় এবং ফলে স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি। কদিন পর দেশি জাতের লিচুতে রং আসতে শুরু করবে। এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই মুহূর্তে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে তবে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
দেশে লিচুর রাজধানী বলা হয়ে থাকে মাগুরা জেলার দুটি ইউনিয়নকে। হাজরাপুর ও হাজিপুর এই দুটি এলাকায় প্রতিটি বাড়ি যেন একটি লিচুরবাগান। পুরোনো লিচুর বাগান থেকে শুরু করে নতুন বাগানও দেখা যায়। এখন ভরা মৌসুমে লিচুবাগানের যত্ন শুরু হয়েছে। কিন্তু লিচুচাষি ও বাগান কেনা মালিকরা এখন চিন্তিত। সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে লিচুর গ্রামগুলোতে চলছে দুশ্চিন্তা। সেচ দিয়েও লিচুর পচন ঠেকাতে পারছেন না বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন।
ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যেমন নানা ভোগান্তিতে। তেমনই লিচুর প্রায় ১০ গ্রামে শতাধিক লিচু চাষির স্বপ্ন ম্লান হতে চলেছে। জানুয়ারির শেষের দিকে লিচু গাছে ভালো ফুল আসায় ভরসা ছিল ভালো ব্যবসা হবে চাষিদের। ছোট লিচু গাছে থাকতেই তা দেখে শেষ হয়েছে বাগান কেনাবেচা। এ সময় মাগুরা সদরের হাজীপুর, হাজরাপুর, মির্জাপুর, ইছাখাদা, সত্যপুর, শিবরামপুর, নড়িহাটি’র প্রতিটি লিচু বাগানে উৎসব শুরু হয়ে যায় বাগান কেনাবেচার।
গত দুই বছর লিচুর চাষিরা ভালো ব্যবসা করতে পারেননি বলে জানা গেছে। বিশেষ করে যারা লিচু বাগান ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করেননি তারা ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হয়েছেন। করোনার সময়ে ২০২০ সালে লকডাউন আর যাতায়াতে সমস্যার কারণে লিচুতে লোকসান হয়। ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লিচুর অনেক ক্ষতি হয়। ঝড়ে পড়া লিচু কেজি হিসাবেও বিক্রি হয়নি বলে ভুক্তভোগী চাষিরা জানান।
লিচুর গ্রামগুলোতে গত বুধবার ঘুরে চাষিদের থেকে জানা গেছে এবার লিচুর ফলন অনেক বেশি। লিচুর ভরা মৌসুমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের লিচু ব্যাপারীরা মাগুরায় এসে লিচু সংগ্রহ করা শুরু করবে আর সপ্তাহ খানিক পরে।। বাগান ব্যাপারীরা এক মাস আগেই লিচু সংগ্রহের জন্য লিচু’র বাগান মালিকদের আগাম টাকা দিয়ে রেখেছে। প্রতিবছর লিচু চাষিরা খরচ বাদে লাভ করে লাখ লাখ টাকা। এই ১০ গ্রামে অন্তত ২০০ বেশি লিচু বাগান রয়েছে। যেখানে প্রতি বাগান গাছে ফলন হিসাবে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে এবার। দর হিসাবে এবার কোটি টাকার ওপরে লিচুর ব্যবসা হতে যাচ্ছে বলে চাষিও ব্যাপারীরা জানিয়েছে।
কিন্তু চিন্তার জায়গায় ঠায় নিয়েছে অতিরিক্ত খরা, প্রচণ্ড দাবদাহ ও নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাগুরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়ের মুখে। কাঁচা লিচুতে পাকা রং আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাদামি বর্ণের হয়ে লিচু পচে যাচ্ছে বলে সরেজমিন দেখা গেছে। নড়িহাটি, হাজরাপুর, ইছাখাদা এলাকায় শতাধিক বাগানে হলদে রং পেতে শুরু করেছে লিচুর।
ইছাখাদা এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা ও বাগান মালিক রবিউল ইসলাম জানান, এখন দেশি লিচু মাঝ বয়সী। এগুলো ভেতরে পরিপক্ব হয়নি। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের ফলে লিচু পেকে যাচ্ছে। যা মূলত এটার খোসার রংই পরিবর্তন হচ্ছে। ভেতরে কাঁচা। তাই এই লিচু বাজারে তেমন চলবে না। ক্ষতির মুখে আমরা আবারও পেড়তে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে দরকার পরিবেশটা লিচুর অনুকূলে থাকা।
সদরের শিবরামপুরের ফারুক হোসেন, দিদার, মফিজপাটোয়ারী বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জান গেছে। এবার লিচুর ফলন ভালো। আর দুই সপ্তাহ পরে লিচু বাজারে যাবে। তাঁরা অধিকাংশ বাগান এক মাস আগেই বিক্রি করেছেন ব্যাপারীদের কাছে। ২০টি গাছের বাগান আড়াই লাখ টাকাও বিক্রি হয়েছে এই এলাকায়। রয়েছে ৫০ বিঘার ওপরে হাজারো গাছ। লিচু বিক্রি করা পেছনে তারা জানান, লিচু চাষ গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই ব্যাপারীদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন বড় বাগানগুলো। তবে ছোট বাগান নিয়ে আছেন বিপাকে। সব লিচু শুকিয়ে গাছ থেকে পরা শুরু করেছে। অতিরিক্ত গরমে এমনটা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহামুদ জানান, জেলায় এবার সব জমিতেই লিচুর চাষ হয়েছে খুব ভালো। এবার নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহে অনেক লিচুর বাগানে লিচু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা লিচু চাষিদের নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয়ে সেচ ও গাছের গোড়ায়, পাতায় এবং ফলে স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি। কদিন পর দেশি জাতের লিচুতে রং আসতে শুরু করবে। এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই মুহূর্তে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে তবে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে