খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় ১৫ মার্চ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। এসব পণ্য বিক্রি করা হবে ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া ক্রেতাদের কাছে। ইতিমধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নগরীর ৬০ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষ পাবেন এসব কার্ড।
দ্রুত তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কেসিসি মেয়র ও টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান। টিসিবির পণ্যর মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে আগ্রহ দেখা গেছে।
কারা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাবেন তা নির্ধারণে নগরীর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বপ্রথম দরিদ্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
এর আগে একজন ক্রেতা বারবার টিসিবি পণ্য কিনতে পারত। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা টিসিবি পণ্য কেনার সুযোগ পেত না। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যাতে টিসিবি পণ্য কিনতে পারে সে জন্যই ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ।
টিসিবির পণ্যর মধ্য তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৬ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তাই তুলনামূলক কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে টুটপাড়া মহির বাড়ি খালপাড় এলাকার ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘টিসিবির পণ্যর দাম কম হওয়ায় প্রতি মাসে টিসিবির তেল চিনি ডাল কিনি। এ মাসে এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। তাই টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরুর অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে গতকাল খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, খোলা ১৮০ টাকা, চিনি ৮০. ডাল মসুর ৯০ থেকে ১২০ টাকা। চিকন চাল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৬ টাকা ৪৮ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৫৫ থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে এসে অনেক ক্রেতাদেরই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে টুটপাড়ার বাসিন্দা হালিম বেগম জানান, তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। মাসে যে কয় টাকা পান তা দিয়ে তাঁর সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। মাসের শেষে গিয়ে মানুষের কাছে ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুধু তিনি নন। একই কথা বলেন, নগরীর বানিয়াখামার এলাকার মো. বাবু। তিনি বলেন, ‘প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ভাবে চললে সাধারণ মানুষ বাঁচবে কীভাবে।’
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের বিষয়ে কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত তালিকা প্রস্তুত করার। কোনো হতো দারিদ্র্য যাতে বাদ না পড়ে সেভাবে তালিকা করা হচ্ছে।’
এদিকে টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের মাধ্যমে এক কোটি হতো দরিদ্র মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্যগুলো বিতরণ করবেন। ফ্যামিলি কার্ড ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করবেন।’
টিসিবি পণ্য বিক্রির পূর্বের প্রক্রিয়া বন্ধের প্রসঙ্গে রবিউল বলেন, ‘আগে প্রক্রিয়ায় সবার পণ্য নেওয়ার সুযোগ ছিল। এতে এক লোক বারবার পণ্য নিতে পারত। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ সুযোগটা রাখা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কার্ডের সংখ্যা এসে গেছে। এ কার্ডগুলো প্রতি নিম্ন আয়ের পরিবারের একজনকে দেওয়া হবে। দুটি ধাপে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ধাপে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী একবার পণ্য কিনতে পারবেন।’
রবিউল আরও বলেন, নতুন এ প্রক্রিয়ায় একজন ক্রেতা দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই কেজি তেল নিতে পারবে। কার্ড অনুযায়ী প্রতিটি ট্রাকে মাল দেওয়া হবে। ডিলারদের অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। কার্ড সংখ্যা নির্ধারিত। যদি কার্ডধারীদের বিক্রয়কেন্দ্রে না পাওয়া যায় তাহলে কমিটির গরিব মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণ করতে পারবে। কোনো ওয়ার্ডে কতটা কার্ড আছে ওই ওয়ার্ডে কতটা ট্রাক লাগে সে পরিমাণ দেওয়া হবে। তবে ট্রাকের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে তিনি আরও জানান।
খুলনায় ১৫ মার্চ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। এসব পণ্য বিক্রি করা হবে ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া ক্রেতাদের কাছে। ইতিমধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নগরীর ৬০ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষ পাবেন এসব কার্ড।
দ্রুত তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কেসিসি মেয়র ও টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান। টিসিবির পণ্যর মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে আগ্রহ দেখা গেছে।
কারা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাবেন তা নির্ধারণে নগরীর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বপ্রথম দরিদ্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
এর আগে একজন ক্রেতা বারবার টিসিবি পণ্য কিনতে পারত। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা টিসিবি পণ্য কেনার সুযোগ পেত না। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যাতে টিসিবি পণ্য কিনতে পারে সে জন্যই ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ।
টিসিবির পণ্যর মধ্য তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৬ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তাই তুলনামূলক কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে টুটপাড়া মহির বাড়ি খালপাড় এলাকার ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘টিসিবির পণ্যর দাম কম হওয়ায় প্রতি মাসে টিসিবির তেল চিনি ডাল কিনি। এ মাসে এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। তাই টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরুর অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে গতকাল খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, খোলা ১৮০ টাকা, চিনি ৮০. ডাল মসুর ৯০ থেকে ১২০ টাকা। চিকন চাল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৬ টাকা ৪৮ টাকা। পেঁয়াজের দাম ৫৫ থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারে এসে অনেক ক্রেতাদেরই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে টুটপাড়ার বাসিন্দা হালিম বেগম জানান, তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। মাসে যে কয় টাকা পান তা দিয়ে তাঁর সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। মাসের শেষে গিয়ে মানুষের কাছে ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুধু তিনি নন। একই কথা বলেন, নগরীর বানিয়াখামার এলাকার মো. বাবু। তিনি বলেন, ‘প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ভাবে চললে সাধারণ মানুষ বাঁচবে কীভাবে।’
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের বিষয়ে কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত তালিকা প্রস্তুত করার। কোনো হতো দারিদ্র্য যাতে বাদ না পড়ে সেভাবে তালিকা করা হচ্ছে।’
এদিকে টিসিবির খুলনা অঞ্চলের প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের মাধ্যমে এক কোটি হতো দরিদ্র মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্যগুলো বিতরণ করবেন। ফ্যামিলি কার্ড ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করবেন।’
টিসিবি পণ্য বিক্রির পূর্বের প্রক্রিয়া বন্ধের প্রসঙ্গে রবিউল বলেন, ‘আগে প্রক্রিয়ায় সবার পণ্য নেওয়ার সুযোগ ছিল। এতে এক লোক বারবার পণ্য নিতে পারত। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ সুযোগটা রাখা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কার্ডের সংখ্যা এসে গেছে। এ কার্ডগুলো প্রতি নিম্ন আয়ের পরিবারের একজনকে দেওয়া হবে। দুটি ধাপে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ধাপে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী একবার পণ্য কিনতে পারবেন।’
রবিউল আরও বলেন, নতুন এ প্রক্রিয়ায় একজন ক্রেতা দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই কেজি তেল নিতে পারবে। কার্ড অনুযায়ী প্রতিটি ট্রাকে মাল দেওয়া হবে। ডিলারদের অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। কার্ড সংখ্যা নির্ধারিত। যদি কার্ডধারীদের বিক্রয়কেন্দ্রে না পাওয়া যায় তাহলে কমিটির গরিব মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণ করতে পারবে। কোনো ওয়ার্ডে কতটা কার্ড আছে ওই ওয়ার্ডে কতটা ট্রাক লাগে সে পরিমাণ দেওয়া হবে। তবে ট্রাকের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে তিনি আরও জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে