শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চলতি আমন মৌসুমে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্যগুদাম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধান চাল সংগ্রহ প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের ৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও কৃষকদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। একদিকে সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম অন্যদিকে নানা বিধি-নিষেধ থাকায় অনেকে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, গুদামে ধান দিতে গেলে নানাবিধ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সরকারি মূল্যের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় এ সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলতি বছরে সরকার- নির্ধারিত ২৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৬৯৩ টন আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে আমন সংগ্রহ ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কথা থাকলেও এ কার্যক্রমের ৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি। ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ কৃষকেরা সরকার-নির্ধারিত এ মূল্যে ধান দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
একাধিক কৃষকেরা বলছেন, সরকারি মূল্য ১১২০ টাকা করে প্রতি মণ ধান কিনছে খাদ্য গুদাম। অথচ বাড়ি থেকে ব্যাপারীরা ধান কিনছেন প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে। অনেক সময় ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জটিলতায় অনেক দূর থেকে বয়ে নিয়ে গিয়েও পুনরায় ধান নিয়ে ফিরে আসতে হয় যা এক প্রকারের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। আবার নামমাত্র ধান চাল সংগ্রহ উপজেলা কমিটি থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে ধান চাল সংগ্রহে নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। অনেকেই জানেন না ধান দেওয়ার নির্ধারিত সময়।
উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের আশুরহাট গ্রামের ধানচাষি সুব্রত কুমার মল্লিক বলেন, ‘এবার আমন ধান সংগ্রহে সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে এই দরে আমাদের ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপারীরা বাড়ি থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই আমন মৌসুমে বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করা লাভ। এ ছাড়াও গুদামে ধান নিয়ে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।’
পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামের চাষি আব্দুল করিম বলেন, ‘একে তো সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম আবার খাদ্য গুদামে ধান নিয়ে গেলে ধান ভিজা, চিটাসহ নানা প্রশ্ন। আবার অনেক সময় ধান নিয়ে গিয়ে ফেরত আনতে হয়, যার জন্য খাদ্যগুদামে আর ধান দেব না। আবার কখন খাদ্য গুদাম ধান সংগ্রহ করে তা-ও আমরা ঠিকমতো জানি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টায় আছি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে কীভাবে ধান ক্রয় করা যায়। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা খাদ্য গুদামের ধান ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য আমার জানা নেই। কয়েক দিন আগে ক্রয় কমিটি করেছি।’
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চলতি আমন মৌসুমে কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্যগুদাম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধান চাল সংগ্রহ প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ের ৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও কৃষকদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। একদিকে সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম অন্যদিকে নানা বিধি-নিষেধ থাকায় অনেকে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, গুদামে ধান দিতে গেলে নানাবিধ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সরকারি মূল্যের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় এ সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক ঘোষিত সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলতি বছরে সরকার- নির্ধারিত ২৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৬৯৩ টন আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে আমন সংগ্রহ ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কথা থাকলেও এ কার্যক্রমের ৪৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি। ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ কৃষকেরা সরকার-নির্ধারিত এ মূল্যে ধান দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
একাধিক কৃষকেরা বলছেন, সরকারি মূল্য ১১২০ টাকা করে প্রতি মণ ধান কিনছে খাদ্য গুদাম। অথচ বাড়ি থেকে ব্যাপারীরা ধান কিনছেন প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে। অনেক সময় ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জটিলতায় অনেক দূর থেকে বয়ে নিয়ে গিয়েও পুনরায় ধান নিয়ে ফিরে আসতে হয় যা এক প্রকারের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। আবার নামমাত্র ধান চাল সংগ্রহ উপজেলা কমিটি থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে ধান চাল সংগ্রহে নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। অনেকেই জানেন না ধান দেওয়ার নির্ধারিত সময়।
উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের আশুরহাট গ্রামের ধানচাষি সুব্রত কুমার মল্লিক বলেন, ‘এবার আমন ধান সংগ্রহে সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে এই দরে আমাদের ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাপারীরা বাড়ি থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে ধান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই আমন মৌসুমে বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করা লাভ। এ ছাড়াও গুদামে ধান নিয়ে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।’
পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামের চাষি আব্দুল করিম বলেন, ‘একে তো সরকার নির্ধারিত ধানের দাম কম আবার খাদ্য গুদামে ধান নিয়ে গেলে ধান ভিজা, চিটাসহ নানা প্রশ্ন। আবার অনেক সময় ধান নিয়ে গিয়ে ফেরত আনতে হয়, যার জন্য খাদ্যগুদামে আর ধান দেব না। আবার কখন খাদ্য গুদাম ধান সংগ্রহ করে তা-ও আমরা ঠিকমতো জানি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টায় আছি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে কীভাবে ধান ক্রয় করা যায়। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা খাদ্য গুদামের ধান ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য আমার জানা নেই। কয়েক দিন আগে ক্রয় কমিটি করেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে