বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় ৬৪ জনের নামোল্লেখ ও পাঁচ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সগীর হোসেন বাদী হয়ে বরগুনা থানায় এ মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক সোহেল খানকে। তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল খান গতকাল শুক্রবার দুপুরে জানান, ‘মামলায় এখন পর্যন্ত নজরুল ইসলাম, সুমন হোসেন, আব্বাস, জাকির হোসেন, শিপন, বাদল ও মাসুদ নামের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির। তিনি এ হামলার ঘটনায় বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। নাসিরের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারি বাদলের হয়ে হামলায় সহযোগিতা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ। এ ছাড়াও তিনি প্রচারের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো ভূমিকা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল ইসলাম নাসির দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বারি বাদল পরিকল্পিতভাবে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি আগে থেকেই বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় তাঁর পক্ষের মোট ৪৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ১২ জনকে জখম করা হয়েছে। এদের একজন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও বাকিরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে পথসভায় যাওয়ার সময় মনসাতলী নামক জায়গায় নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকার সমর্থকেরা লাকুরতলা এলাকায় তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধর করেন। পরে সন্ধ্যায় পরীরখাল এলাকা থেকে নৌকা সমর্থকেরা পথসভায় যাওয়ার সময় আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা হামলা করে তাঁদের। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় ১২ জন আহত হন।
এরপর রাত ১০টায় পরীরখাল বাজার থেকে পুলিশ প্রহরায় ফেরার পথে নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা চালান স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদলের সমর্থকেরা। এতে আহত হন নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির, ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিমসহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বারী বাদলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রচারের শুরু থেকেই নৌকার কর্মী–সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের মারধর, হুমকি ও বাধা দিয়ে আসছে। গতকালও নৌকার প্রার্থীর উপস্থিতিতে আমার কর্মী–সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমার ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরওয়ার দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা তাঁর প্রচার মাইক ভাঙচুর ও দুজন কর্মীকে মারধর করে আহত করেছেন।
বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি অভিযোগ আসে, তবে সেটা দুঃখজনক।’
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় ৬৪ জনের নামোল্লেখ ও পাঁচ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সগীর হোসেন বাদী হয়ে বরগুনা থানায় এ মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক সোহেল খানকে। তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল খান গতকাল শুক্রবার দুপুরে জানান, ‘মামলায় এখন পর্যন্ত নজরুল ইসলাম, সুমন হোসেন, আব্বাস, জাকির হোসেন, শিপন, বাদল ও মাসুদ নামের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির। তিনি এ হামলার ঘটনায় বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। নাসিরের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারি বাদলের হয়ে হামলায় সহযোগিতা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ। এ ছাড়াও তিনি প্রচারের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো ভূমিকা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল ইসলাম নাসির দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বারি বাদল পরিকল্পিতভাবে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি আগে থেকেই বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় তাঁর পক্ষের মোট ৪৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ১২ জনকে জখম করা হয়েছে। এদের একজন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও বাকিরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে পথসভায় যাওয়ার সময় মনসাতলী নামক জায়গায় নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌকার সমর্থকেরা লাকুরতলা এলাকায় তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধর করেন। পরে সন্ধ্যায় পরীরখাল এলাকা থেকে নৌকা সমর্থকেরা পথসভায় যাওয়ার সময় আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা হামলা করে তাঁদের। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় ১২ জন আহত হন।
এরপর রাত ১০টায় পরীরখাল বাজার থেকে পুলিশ প্রহরায় ফেরার পথে নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা চালান স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদলের সমর্থকেরা। এতে আহত হন নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির, ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিমসহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বারী বাদলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রচারের শুরু থেকেই নৌকার কর্মী–সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের মারধর, হুমকি ও বাধা দিয়ে আসছে। গতকালও নৌকার প্রার্থীর উপস্থিতিতে আমার কর্মী–সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমার ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরওয়ার দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা তাঁর প্রচার মাইক ভাঙচুর ও দুজন কর্মীকে মারধর করে আহত করেছেন।
বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি অভিযোগ আসে, তবে সেটা দুঃখজনক।’
বরগুনা সদর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে