সম্পাদকীয়
সরকারিভাবে আমাদের দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য চিকিৎসক ছাড়াও বিনা মূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ওষুধপথ্য, প্যাথলজিক্যাল টেস্টসহ এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, যাদের জন্য এসব করা হয়েছে, তারাই সেই সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আজকের পত্রিকার রংপুর বিভাগ সংস্করণে ২৮ ডিসেম্বরে ‘চার মাস ধরে নষ্ট এক্স-রে মেশিন’বিষয়ক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ থেকে জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র চার মাস ধরে নষ্ট। এতে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। অনেকে নিরুপায় হয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর ডিজিটাল কোনো এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র ছিল না। ২০২০ সালে সরবরাহ করা অ্যানালগ এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে। বছরের বেশির ভাগ সময় যন্ত্র দুটি নষ্টই থাকে। মেরামত করা হলেও কয়েক দিন চলার পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়। সর্বশেষ চার মাস ধরে হাসপাতালের যন্ত্র দুটি নষ্ট হয়ে আছে। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো সেখানে কোনো টেকনিশিয়ানও নেই।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ রোগী সেবা নেয়। এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন হয় অনেক রোগীর। তারা বেসরকারি কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে এসব পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে।
মূলত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। কারণ, সেখানে কম মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু কেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেশিন এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়? কারণ হলো, প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কম-বেশি দালালদের সিন্ডিকেট আছে। আর এসব সিন্ডিকেটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। মূলত কমিশন-বাণিজ্যের লোভে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাধারণ জনগণকে বলির পাঁঠা বানান।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় দেশের মানুষের সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার আশা জাগে।
রাষ্ট্রের সহযোগিতায় অন্তত পয়সার অভাবে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে না—এমন ধারণা করাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও যেসব খাতে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা আর নৈরাজ্য চলে আসছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ উল্লেখযোগ্য।
এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট না হলেও যতটা আছে, তা-ও যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যেত, তাহলে অবস্থা এ রকম করুণ হতো না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যদি সরাসরি এসব বিষয় মনিটর করা হতো, তাহলে এসব নৈরাজ্য অনেকখানি কমে যেত।
সরকারিভাবে আমাদের দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য চিকিৎসক ছাড়াও বিনা মূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ওষুধপথ্য, প্যাথলজিক্যাল টেস্টসহ এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, যাদের জন্য এসব করা হয়েছে, তারাই সেই সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আজকের পত্রিকার রংপুর বিভাগ সংস্করণে ২৮ ডিসেম্বরে ‘চার মাস ধরে নষ্ট এক্স-রে মেশিন’বিষয়ক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ থেকে জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র চার মাস ধরে নষ্ট। এতে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। অনেকে নিরুপায় হয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর ডিজিটাল কোনো এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র ছিল না। ২০২০ সালে সরবরাহ করা অ্যানালগ এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে। বছরের বেশির ভাগ সময় যন্ত্র দুটি নষ্টই থাকে। মেরামত করা হলেও কয়েক দিন চলার পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়। সর্বশেষ চার মাস ধরে হাসপাতালের যন্ত্র দুটি নষ্ট হয়ে আছে। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো সেখানে কোনো টেকনিশিয়ানও নেই।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ রোগী সেবা নেয়। এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করার প্রয়োজন হয় অনেক রোগীর। তারা বেসরকারি কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে এসব পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে।
মূলত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। কারণ, সেখানে কম মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু কেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেশিন এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়? কারণ হলো, প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কম-বেশি দালালদের সিন্ডিকেট আছে। আর এসব সিন্ডিকেটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। মূলত কমিশন-বাণিজ্যের লোভে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাধারণ জনগণকে বলির পাঁঠা বানান।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায় দেশের মানুষের সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার আশা জাগে।
রাষ্ট্রের সহযোগিতায় অন্তত পয়সার অভাবে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে না—এমন ধারণা করাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও যেসব খাতে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা আর নৈরাজ্য চলে আসছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ উল্লেখযোগ্য।
এই খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ যথেষ্ট না হলেও যতটা আছে, তা-ও যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যেত, তাহলে অবস্থা এ রকম করুণ হতো না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যদি সরাসরি এসব বিষয় মনিটর করা হতো, তাহলে এসব নৈরাজ্য অনেকখানি কমে যেত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে