শামিমুজ্জামান, খুলনা
মানুষের অতি জরুরি পণ্য সয়াবিন তেলের দাম আগেই ছিল নাগালের বাইরে। কয়েক দিন আগে এর দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য ভোজ্যতেলসহ টিসিবির পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কপিলমুনি, চুকনগর ও আলাইপুর বাজারসহ মহানগরীর ২৬ বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে লিটারে বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের বোতল ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।
গত এক সপ্তাহ আগে এক লিটার তেলের বোতল ১৫৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৭৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে খোলা তেলও প্রতি কেজিতে তিন টাকা করে বেড়েছে। বড় বাজারের পাইকারি খোলা তেল ব্যবসায়ী মেসার্স রেজা অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো শাহ আলম সরদার বলেন, এবার কোনো ঘোষণা ছাড়াই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি রীতিমতো বড় ব্যবসায়ীদের ডাকাতি। গত এক সপ্তাহ আগে যে তেল তিনি ১৫৩ টাকায় বিক্রি করেছেন এখন তা ১৫৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দোলখোলা মোড়ের পাইকারি দোকানি আবদুল হক জানান, ২০২০ সালের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত ১০ দফা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মাসে এটির দাম হয় দুই টাকা না হয় পাঁচ টাকা করে বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে খুচরা বাজারেও বাড়ছে। নগরীর রূপসা পশ্চিম বাজারের শহীদুল স্টোরের মালিক মো. শহীদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরে তেল বিক্রি করছেন। বাজারে হঠাৎ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় তা এ দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করলে আমাদের কিছুই করার থাকে না।
রূপচাঁদা তেল কোম্পানির খুলনার পরিবেশক জানান, প্রতি লিটার তেলে পাঁচ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে কোম্পানি এ পণ্যটির মূল্য নির্ধারণ করে দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তা ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যের কোনো তেল তাদের গোডাউনে নেই বলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে। নগরীর রূপসা বাজারের ক্রেতা আবদুর রহিম ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং নেই। মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হচ্ছে না। টিসিবি যে পণ্য সরবরাহ করছে, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
কোনো ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৯৪ টাকার তেল এখন ১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা আরও এক দফা তেলের দাম বাড়িয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি করা হবে না।
এ ব্যাপারে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এদিকে মানুষের ভোগান্তি কমাতে ৫টি পয়েন্টে ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি তেল চিনি ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে তেল ৬০০ লিটার, চিনি ৫০০ কেজি, ডাল ৪০০ কেজি ও পেঁয়াজ ৩০০ কেজি বরাদ্দ রয়েছে।
একজন ক্রেতা ২ লিটার তেল ২ কেজি চিনি এবং পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৫ কেজি কিনতে পারবে।
তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে টিসিবির তেল কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ ব্যাপারে টুটপাড়া মোড়ে কথা হয় আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর পণ্য কিনতে পেরেছেন। তিনি জানান, মূলত তেল কিনতে এসেছেন, কিন্তু তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কেনা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অন্য পণ্যও কিনেছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরেক ক্রেতা মো. আলাউদ্দিন হক জানান, তিনি দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পরও টিসিবির পণ্য কিনতে পারেননি। ডিলাররা জানিয়েছেন, পণ্য শেষ হয়ে গেছে। তিনি পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি জানান। এ ব্যাপারে টিসিবির খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক মো. রবিউল মোর্শেদ জানান, আপাতত পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। সরকারি নির্দেশনা দিলেও বাড়ানো হবে।
মানুষের অতি জরুরি পণ্য সয়াবিন তেলের দাম আগেই ছিল নাগালের বাইরে। কয়েক দিন আগে এর দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য ভোজ্যতেলসহ টিসিবির পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কপিলমুনি, চুকনগর ও আলাইপুর বাজারসহ মহানগরীর ২৬ বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে লিটারে বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের বোতল ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।
গত এক সপ্তাহ আগে এক লিটার তেলের বোতল ১৫৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৭৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে খোলা তেলও প্রতি কেজিতে তিন টাকা করে বেড়েছে। বড় বাজারের পাইকারি খোলা তেল ব্যবসায়ী মেসার্স রেজা অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো শাহ আলম সরদার বলেন, এবার কোনো ঘোষণা ছাড়াই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি রীতিমতো বড় ব্যবসায়ীদের ডাকাতি। গত এক সপ্তাহ আগে যে তেল তিনি ১৫৩ টাকায় বিক্রি করেছেন এখন তা ১৫৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দোলখোলা মোড়ের পাইকারি দোকানি আবদুল হক জানান, ২০২০ সালের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত ১০ দফা তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মাসে এটির দাম হয় দুই টাকা না হয় পাঁচ টাকা করে বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে খুচরা বাজারেও বাড়ছে। নগরীর রূপসা পশ্চিম বাজারের শহীদুল স্টোরের মালিক মো. শহীদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরে তেল বিক্রি করছেন। বাজারে হঠাৎ ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় তা এ দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করলে আমাদের কিছুই করার থাকে না।
রূপচাঁদা তেল কোম্পানির খুলনার পরিবেশক জানান, প্রতি লিটার তেলে পাঁচ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে কোম্পানি এ পণ্যটির মূল্য নির্ধারণ করে দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তা ছাড়া পূর্বনির্ধারিত মূল্যের কোনো তেল তাদের গোডাউনে নেই বলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে। নগরীর রূপসা বাজারের ক্রেতা আবদুর রহিম ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং নেই। মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হচ্ছে না। টিসিবি যে পণ্য সরবরাহ করছে, তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
কোনো ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৯৪ টাকার তেল এখন ১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা আরও এক দফা তেলের দাম বাড়িয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি করা হবে না।
এ ব্যাপারে জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এদিকে মানুষের ভোগান্তি কমাতে ৫টি পয়েন্টে ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি তেল চিনি ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে তেল ৬০০ লিটার, চিনি ৫০০ কেজি, ডাল ৪০০ কেজি ও পেঁয়াজ ৩০০ কেজি বরাদ্দ রয়েছে।
একজন ক্রেতা ২ লিটার তেল ২ কেজি চিনি এবং পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৫ কেজি কিনতে পারবে।
তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে টিসিবির তেল কেনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ ব্যাপারে টুটপাড়া মোড়ে কথা হয় আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর পণ্য কিনতে পেরেছেন। তিনি জানান, মূলত তেল কিনতে এসেছেন, কিন্তু তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কেনা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অন্য পণ্যও কিনেছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরেক ক্রেতা মো. আলাউদ্দিন হক জানান, তিনি দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পরও টিসিবির পণ্য কিনতে পারেননি। ডিলাররা জানিয়েছেন, পণ্য শেষ হয়ে গেছে। তিনি পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি জানান। এ ব্যাপারে টিসিবির খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক মো. রবিউল মোর্শেদ জানান, আপাতত পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। সরকারি নির্দেশনা দিলেও বাড়ানো হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে