রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবোজ্জ্বল ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’। যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীকে ঢুকতে দেয়নি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা সর্বক্ষণ সগৌরবে উড্ডীন ছিল। এখান থেকেই স্বাধীন বাংলার প্রথম মুদ্রা প্রচলন শুরু হয়। ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’ এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃিতর দাবি জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ অনেকে রৌমারী সফর করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।
সে সময় এই মুক্তাঞ্চলে সরকার নির্দেশিত বেসামরিক প্রশাসন চালু ছিল। রৌমারীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী রৌমারীর মাটি পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কালের সাক্ষী হিসাবে ৭১ এ নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র চাঁনমারী দাঁড়িয়ে আছে রৌমারীর মাটিতে।
এতসব অবদানের পরেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি কুড়িগ্রাম জেলার প্রান্তিক ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল।’ এখান থেকে হাতে লেখা ‘অগ্রদূত’ নামে একটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকার পরও রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় হতাশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গোটা রৌমারী মানুষ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তাদের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ শুরুর খবর আমরা সকালে জানতে পারি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এসকে মজিদ মুকুল, নুরুল ইসলাম পাপু মিয়া, সরুজ্জামান বকুল, হুমায়ুন কবির ও আতাউর রহমানসহ ১৫-২০ জন একসঙ্গে বসে আলোচনা করে রৌমারীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমাদের এ উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র চালানোসহ সকল প্রশিক্ষণ প্রদানের দায়িত্ব নেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটিতে আসা ফ্লাইট সার্জেন্ট মজিবুর রহমান, নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম, হাবিলদার রিয়াজুল হক, নায়েক সিরাজুল হক ভোলা, নায়েক নজরুল ইসলাম, নায়েক শাহজাহান আলী, নায়েক ফায়জুল হক, নায়েক সোলায়মান আলী, হাবিলদার বদিউজ্জামান ও হাবিলদার আবুল খায়ের।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুই দিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে হাবিলদার আলতাফ (আফতাব আলী) রৌমারী সিজি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে স্কুলটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ক্যাম্পটি বিশাল আকার ধারণ করে।
রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল বলেন, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে তখন কোনো প্রকার ক্লাস হতো না। ছাত্ররা আগ্রহ দেখিয়ে প্রশিক্ষণে নাম লেখায় এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবোজ্জ্বল ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’। যেখানে পাকিস্তানি বাহিনীকে ঢুকতে দেয়নি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা সর্বক্ষণ সগৌরবে উড্ডীন ছিল। এখান থেকেই স্বাধীন বাংলার প্রথম মুদ্রা প্রচলন শুরু হয়। ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল’ এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃিতর দাবি জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ অনেকে রৌমারী সফর করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।
সে সময় এই মুক্তাঞ্চলে সরকার নির্দেশিত বেসামরিক প্রশাসন চালু ছিল। রৌমারীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী রৌমারীর মাটি পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এই কেন্দ্র থেকে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। কালের সাক্ষী হিসাবে ৭১ এ নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র চাঁনমারী দাঁড়িয়ে আছে রৌমারীর মাটিতে।
এতসব অবদানের পরেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি কুড়িগ্রাম জেলার প্রান্তিক ভূমি ‘রৌমারী মুক্তাঞ্চল।’ এখান থেকে হাতে লেখা ‘অগ্রদূত’ নামে একটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকার পরও রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় হতাশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গোটা রৌমারী মানুষ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তাদের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ শুরুর খবর আমরা সকালে জানতে পারি। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এসকে মজিদ মুকুল, নুরুল ইসলাম পাপু মিয়া, সরুজ্জামান বকুল, হুমায়ুন কবির ও আতাউর রহমানসহ ১৫-২০ জন একসঙ্গে বসে আলোচনা করে রৌমারীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমাদের এ উদ্যোগে প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্র চালানোসহ সকল প্রশিক্ষণ প্রদানের দায়িত্ব নেন ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছুটিতে আসা ফ্লাইট সার্জেন্ট মজিবুর রহমান, নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম, হাবিলদার রিয়াজুল হক, নায়েক সিরাজুল হক ভোলা, নায়েক নজরুল ইসলাম, নায়েক শাহজাহান আলী, নায়েক ফায়জুল হক, নায়েক সোলায়মান আলী, হাবিলদার বদিউজ্জামান ও হাবিলদার আবুল খায়ের।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দুই দিন পর ২৮ মার্চ ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে হাবিলদার আলতাফ (আফতাব আলী) রৌমারী সিজি জামান হাইস্কুলকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হিসেবে উদ্বোধন করেন। সেই থেকে স্কুলটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ক্যাম্পটি বিশাল আকার ধারণ করে।
রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল বলেন, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে তখন কোনো প্রকার ক্লাস হতো না। ছাত্ররা আগ্রহ দেখিয়ে প্রশিক্ষণে নাম লেখায় এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে