নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার চালু করতে না পারায় দেশব্যাপী লোডশেডিং বেড়েছে। দিনে তিন-চারবার চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে সাত-আটবার। কোথাও কোথাও গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ৪ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত আশুগঞ্জ ও ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট চালু করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, একদিকে গ্যাস ও তেল-সংকটের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র; অন্যদিকে গ্রিডে আবারও বিপর্যয় হতে পারে—এই আশঙ্কায় দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ আনা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গেছে ৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সপ্তাহখানেক লাগবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছি।’ তবে পিজিসিবির তথ্যমতে, গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যুতের সর্বনিম্ন চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬৬৯ মেগাওয়াট, সন্ধ্যায় সেই চাহিদা ১৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। লোডশেডিং করা হয় ১ হাজার ৭০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গ্রিড বিপর্যয়ের পর সতর্কতার কারণে গ্রিডে লোড কম দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জ্বালানির অভাবে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোহা. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুতের সরবরাহ আগের জায়গায় আনতে। সতর্কতার কারণে আমরা গ্রিডে এখন লোড কম দেওয়ায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এই মাসের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।’
দেশের মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ৮৩ শতাংশই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন। আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ২৭ লাখ। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, তিন দিন ধরে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো। অনেক সময় এই পরিমাণ বিদ্যুৎও পাওয়া যায় না। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুৎ কখন যায় আর কখন আসে, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। গতকাল বিদ্যুৎ গেছে ৮ বারের বেশি। অনেক সময় আধা ঘণ্টা থাকার পর বিদ্যুৎ আবার এক ঘণ্টার জন্য চলে যাচ্ছে। রাত দুইটা-তিনটায়ও বিদ্যুৎ যাচ্ছে এখন।’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও সঞ্চালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এখন বিদ্যুতের চাহিদা একটু কমে ৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো। প্রতিদিন ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হয়।’
কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার তুলনায় পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না আরইবি। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হলে প্রয়োজন প্রতিদিন ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, কিন্তু পিডিবি দিতে পারছে ৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ঘাটতি ৫০০ মেগাওয়াট।
ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসি ও ডেসকোর কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের লোড কম থাকায় বাধ্য হয়ে তিন দিন ধরে প্রতিদিন দু-তিন ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের আগে আমার এলাকায় লোডশেড ছিল ২০০ মেগাওয়াটের মতো। তখন আমরা দিনে সর্বোচ্চ দুবার লোডশেডিং করতাম। আমার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা আছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ আছে কখনো ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে প্রতিদিন আমাদের ৪০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন ‘লোডশেডিং নিয়ে আমাদের যে শিডিউল আছে, তা মানা যাচ্ছে না। সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিনবার লোডশেডিং করতে হয়েছে। আমি জানি না দিনের বাকি অংশে আর কতবার লোডশেডিং করতে হবে।’
লোডশেডিং নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে ধানমন্ডির বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। জুন-জুলাই মাসে লোডশেডিং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেও এখন দিনে কমপক্ষে চারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় জেনারেটর বা আইপিএস না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ছোট বাচ্চারা গরমে হাঁসফাঁস করে। আমরা কি আবার ২০১০ সালের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি।’
একই অবস্থা ডেসকোর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় ডেসকো এলাকায় ২০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা আছে ৯০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি; কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি ৭০০ মেগাওয়াটের কম। কোনো কোনো এলাকায় দিনে তিনবার লোডশেডিং করতে হয়।’
আশুগঞ্জ-ঘোড়াশালে উৎপাদন ব্যাহত
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, গ্রিডে বিপর্যয়ের পর ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ ও দেশের অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুতের কিছু ইউনিট চালু করা যায়নি। ঘোড়াশালের ৭টি ইউনিটের মধ্যে চালু করা গেছে দুটি। বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ২০০ মেগাওয়াটের মতো; কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা ৭২৫ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জের ৫টি ইউনিটের মধ্যে চালু আছে ২টি। ৭০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন উৎপাদন হচ্ছে ২০০ মেগাওয়াটের কম।
পিডিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা সামিউল হাসান বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সতর্কতা হিসেবে আমরা সঞ্চালন লাইনে লোড দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করছি। সে কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন এখন কমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসভিত্তিক। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ আছে সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
অন্যদিকে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের ঘাটতি থাকায় তেলভিত্তিক অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা করছে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে।’
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার চালু করতে না পারায় দেশব্যাপী লোডশেডিং বেড়েছে। দিনে তিন-চারবার চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে সাত-আটবার। কোথাও কোথাও গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ৪ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত আশুগঞ্জ ও ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট চালু করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, একদিকে গ্যাস ও তেল-সংকটের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র; অন্যদিকে গ্রিডে আবারও বিপর্যয় হতে পারে—এই আশঙ্কায় দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ আনা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গেছে ৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, উৎপাদন আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সপ্তাহখানেক লাগবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছি।’ তবে পিজিসিবির তথ্যমতে, গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যুতের সর্বনিম্ন চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬৬৯ মেগাওয়াট, সন্ধ্যায় সেই চাহিদা ১৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। লোডশেডিং করা হয় ১ হাজার ৭০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গ্রিড বিপর্যয়ের পর সতর্কতার কারণে গ্রিডে লোড কম দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জ্বালানির অভাবে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোহা. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুতের সরবরাহ আগের জায়গায় আনতে। সতর্কতার কারণে আমরা গ্রিডে এখন লোড কম দেওয়ায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এই মাসের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।’
দেশের মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ৮৩ শতাংশই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন। আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ২৭ লাখ। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, তিন দিন ধরে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো। অনেক সময় এই পরিমাণ বিদ্যুৎও পাওয়া যায় না। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুৎ কখন যায় আর কখন আসে, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। গতকাল বিদ্যুৎ গেছে ৮ বারের বেশি। অনেক সময় আধা ঘণ্টা থাকার পর বিদ্যুৎ আবার এক ঘণ্টার জন্য চলে যাচ্ছে। রাত দুইটা-তিনটায়ও বিদ্যুৎ যাচ্ছে এখন।’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ ও সঞ্চালন) দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এখন বিদ্যুতের চাহিদা একটু কমে ৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো। প্রতিদিন ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হয়।’
কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার তুলনায় পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না আরইবি। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হলে প্রয়োজন প্রতিদিন ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, কিন্তু পিডিবি দিতে পারছে ৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ঘাটতি ৫০০ মেগাওয়াট।
ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসি ও ডেসকোর কয়েকজন কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের লোড কম থাকায় বাধ্য হয়ে তিন দিন ধরে প্রতিদিন দু-তিন ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের আগে আমার এলাকায় লোডশেড ছিল ২০০ মেগাওয়াটের মতো। তখন আমরা দিনে সর্বোচ্চ দুবার লোডশেডিং করতাম। আমার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা আছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ আছে কখনো ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে প্রতিদিন আমাদের ৪০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন ‘লোডশেডিং নিয়ে আমাদের যে শিডিউল আছে, তা মানা যাচ্ছে না। সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিনবার লোডশেডিং করতে হয়েছে। আমি জানি না দিনের বাকি অংশে আর কতবার লোডশেডিং করতে হবে।’
লোডশেডিং নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে ধানমন্ডির বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। জুন-জুলাই মাসে লোডশেডিং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেও এখন দিনে কমপক্ষে চারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় জেনারেটর বা আইপিএস না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ছোট বাচ্চারা গরমে হাঁসফাঁস করে। আমরা কি আবার ২০১০ সালের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি।’
একই অবস্থা ডেসকোর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় ডেসকো এলাকায় ২০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা আছে ৯০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি; কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি ৭০০ মেগাওয়াটের কম। কোনো কোনো এলাকায় দিনে তিনবার লোডশেডিং করতে হয়।’
আশুগঞ্জ-ঘোড়াশালে উৎপাদন ব্যাহত
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, গ্রিডে বিপর্যয়ের পর ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ ও দেশের অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুতের কিছু ইউনিট চালু করা যায়নি। ঘোড়াশালের ৭টি ইউনিটের মধ্যে চালু করা গেছে দুটি। বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ২০০ মেগাওয়াটের মতো; কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা ৭২৫ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জের ৫টি ইউনিটের মধ্যে চালু আছে ২টি। ৭০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন উৎপাদন হচ্ছে ২০০ মেগাওয়াটের কম।
পিডিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা সামিউল হাসান বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সতর্কতা হিসেবে আমরা সঞ্চালন লাইনে লোড দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করছি। সে কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন এখন কমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসভিত্তিক। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ আছে সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
অন্যদিকে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের ঘাটতি থাকায় তেলভিত্তিক অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা করছে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে