শাপলা খন্দকার, বগুড়া
প্রাণঘাতী এইচআইভি/এইডস ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে। শুরুতে অনেকেই জানছে না শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। জানার আগেই তা ছড়িয়ে পড়ছে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে। কেউ জেনেও গোপন রাখছে সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসাসেবা চালু হলেও তা এখনো অনেকেরই অজানা।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালু হয়েছে এইডসের চিকিৎসা।সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলাসহ কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ময়মনসিংহের এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
শজিমেক হাসপাতালের এআরটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে মোট ২১৪ জন এইচআইভি পজিটিভ রোগী ৷ এদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন, নারী ৩৮ জন, শিশু ৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন। ২০১৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে এইডস হয়ে মারা গেছে ১৯ জন।
উত্তরাঞ্চলে দ্রুত এবং আশঙ্কাজনক হারে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও বগুড়ায়। ২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জে শনাক্ত হন ৩ জন। পরের বছর যোগ হয় আরও ৬ জন। ২০২১ সালে নতুন শনাক্ত হন ৯ জন এবং ২০২২ সালে শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ৫৩ জনে। এই জেলায় বর্তমানে মোট ৭১ জন এইডস আক্রান্ত।
রাজশাহীতে ২০১৯ সালে শনাক্ত হন ৪ জন, ২০২১ সালে ৭ জন এবং ২০২২ সালে শনাক্ত হন ১২ জন। আর বগুড়ায় ২০১৯ সালে শনাক্ত হন ১৪ জন, ২০২০ সালে ৬ জন, ২০২১ সালে ৮ জন এবং ২০২২ সালে ১০ জন।
এ বছর ৪৯ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে সিরাজগঞ্জ, ১২ জন শনাক্ত নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী এবং ১০ জন শনাক্ত নিয়ে তৃতীয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে বগুড়া। শুরু থেকেই কম শনাক্তের অবস্থানে আছে উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, নাটোর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা।
এই হাসপাতালের এইচটিসি বা এআরটি বিভাগ সূত্র বলছে, এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সমকামী এবং উভকামী বহুগামী পুরুষেরা। এরপরই আছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এরপর আছে রক্ত, মায়ের বুকের দুধ, স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা এবং ইঞ্জেকটিভ ড্রাগের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এইচআইভি পজিটিভ রোগীরা পারিবারিক এবং সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে তাদের রোগের কথা গোপন রাখছে।ফলে শরীরে ভাইরাসের মাত্রা বাড়তে বাড়তে একসময় তা এইডসে রূপান্তরিত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ডায়রিয়া, ক্রনিক ডিজিজ, যক্ষ্মাসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তারা।
শজিমেক হাসপাতালের এআরটি ফোকাল পারসন অধ্যাপক ছাইদুর রহমান বলেন, ‘অনেকের ডায়রিয়া ও জ্বর হচ্ছে অনেক দিন থেকে।কোনো চিকিৎসায় সারছে না। কেউবা আবার যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত হলেও তারা বুঝতে পারছে না।’
ছয় বছর আগে জ্বরে ভুগতে শুরু করেন বগুড়ার এক ব্যবসায়ী হোসেন আলী (ছদ্মনাম)। শরীরে দেখা দেয় র্যাশ। কোনো চিকিৎসাতেই সারছিল না জ্বর; নিরাময় হচ্ছিল না র্যাশও। তিন মাসেই তাঁর ওজন কমে যায় ১৫ কেজি। এভাবে তিন বছর কাটার পর রক্ত পরীক্ষায় তাঁর এইডস শনাক্ত হয়। এখন তিনি শয্যাশায়ী।
হোসেন আলী বলেন, ‘আমি শুরুতেই যদি সমস্যা ও লক্ষণগুলো খুলে বলতাম, তাহলে হয়তো চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতাম।’ যৌনকর্মীর সঙ্গে মেলামেশার কারণেই এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিকিৎসককে জানান তিনি।
এ প্রতিবেদকের কথা হয় এইচআইভি পজিটিভ এক পুরুষ যৌনকর্মীর সঙ্গে। বারেক (ছদ্মনাম) নামের ওই সমকামী পুরুষ টাকার বিনিময়ে সমকামীদের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন।
বারেক বলেন, তিনি যে এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন শুরুতে তা বুঝতে পারেননি। প্রথমে তাঁর সঙ্গী আল ইমরান (ছদ্মনাম) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শজিমেক হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ইমরানের তথ্য নেয় এইচআইভি নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও। সেই এনজিওর প্রকল্পের অংশ হিসেবে আক্রান্ত রোগীর সহযোগীদের খুঁজে বের করা হয়। একে একে পরীক্ষা করা হয় সবাইকে। তখনই পজিটিভ শনাক্ত হন বারেক।
অধ্যাপক ছাইদুর বলেন, শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করলেও তা এইডসে রূপান্তরিত হতে সময় নেয়। শুরুতেই চিকিৎসা নিলে লাইফটাইম (সারা জীবন) সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
জয়পুরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সালেহা বেগম (৪৫) (ছদ্মনাম) জানান, এইডসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গেছেন। ভারতে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত থাকা ওই ব্যক্তি ভারত থেকেই নিয়ে এসেছিলেন এইচআইভি ভাইরাস। স্বামীর মাধ্যমে আক্রান্ত হন সালেহাও। তখন থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০১৯ সালে বগুড়ার শজিমেকে এইচটিসি সেন্টার চালু হলে তাঁকে সেখানে পাঠানো হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবন করে এখন সুস্থ জীবন যাপন করছেন তিনি।
আইসিডিডিআরবির ব্যবস্থাপনায়, দ্য গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে এবং সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় এইডস ও এসটিডি কন্ট্রোলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বগুড়ায় এইচআইভি নিয়ে কাজ করছে লাইটহাউস নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। বর্তমানে সমকামী পুরুষ (এমএসএম), পুরুষ যৌনকর্মী (এমএসডব্লিউ) এবং তৃতীয় লিঙ্গের (টিজি) মানুষদের নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি।
হাসপাতালের এইচটিসি বিভাগ থেকে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে আসা সব পুরুষকে খুঁজে বের করে তাদের পরীক্ষা করা, আক্রান্তদের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো এবং তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের কাজ করেন এই এনজিওর কর্মীরা।
উত্তরবঙ্গে লাইটহাউসের কার্যালয় আছে রাজশাহী সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ সদর, পাবনা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর ও শেরপুর উপজেলা, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর ও হিলিতে। এসব কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে (২০২২) এই অঞ্চলে এইডসের উচ্চঝুঁকিতে আছেন ৮ হাজার ৫৬ জন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এঁদের মধ্যে সমকামী পুরুষ এবং পুরুষ যৌনকর্মী আছেন ৭ হাজার ৩৫৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৭০২ জন।
লাইটহাউসের বগুড়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক পারভেজ আলম বলেন, শারীরিক মেলামেশা নিয়ন্ত্রিত না হলে এ রোগের সংক্রমণ বাড়তে থাকবে আশঙ্কাজনকভাবে। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে উদ্যোগ নিয়ে যদি পুরুষ যৌনকর্মীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এইডসের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।
প্রাণঘাতী এইচআইভি/এইডস ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে। শুরুতে অনেকেই জানছে না শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। জানার আগেই তা ছড়িয়ে পড়ছে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে। কেউ জেনেও গোপন রাখছে সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসাসেবা চালু হলেও তা এখনো অনেকেরই অজানা।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চালু হয়েছে এইডসের চিকিৎসা।সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলাসহ কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ময়মনসিংহের এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
শজিমেক হাসপাতালের এআরটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে মোট ২১৪ জন এইচআইভি পজিটিভ রোগী ৷ এদের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন, নারী ৩৮ জন, শিশু ৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন। ২০১৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে এইডস হয়ে মারা গেছে ১৯ জন।
উত্তরাঞ্চলে দ্রুত এবং আশঙ্কাজনক হারে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও বগুড়ায়। ২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জে শনাক্ত হন ৩ জন। পরের বছর যোগ হয় আরও ৬ জন। ২০২১ সালে নতুন শনাক্ত হন ৯ জন এবং ২০২২ সালে শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ৫৩ জনে। এই জেলায় বর্তমানে মোট ৭১ জন এইডস আক্রান্ত।
রাজশাহীতে ২০১৯ সালে শনাক্ত হন ৪ জন, ২০২১ সালে ৭ জন এবং ২০২২ সালে শনাক্ত হন ১২ জন। আর বগুড়ায় ২০১৯ সালে শনাক্ত হন ১৪ জন, ২০২০ সালে ৬ জন, ২০২১ সালে ৮ জন এবং ২০২২ সালে ১০ জন।
এ বছর ৪৯ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে সিরাজগঞ্জ, ১২ জন শনাক্ত নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী এবং ১০ জন শনাক্ত নিয়ে তৃতীয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে বগুড়া। শুরু থেকেই কম শনাক্তের অবস্থানে আছে উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, নাটোর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা।
এই হাসপাতালের এইচটিসি বা এআরটি বিভাগ সূত্র বলছে, এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সমকামী এবং উভকামী বহুগামী পুরুষেরা। এরপরই আছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এরপর আছে রক্ত, মায়ের বুকের দুধ, স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা এবং ইঞ্জেকটিভ ড্রাগের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এইচআইভি পজিটিভ রোগীরা পারিবারিক এবং সামাজিক নিগ্রহের ভয়ে তাদের রোগের কথা গোপন রাখছে।ফলে শরীরে ভাইরাসের মাত্রা বাড়তে বাড়তে একসময় তা এইডসে রূপান্তরিত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ডায়রিয়া, ক্রনিক ডিজিজ, যক্ষ্মাসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তারা।
শজিমেক হাসপাতালের এআরটি ফোকাল পারসন অধ্যাপক ছাইদুর রহমান বলেন, ‘অনেকের ডায়রিয়া ও জ্বর হচ্ছে অনেক দিন থেকে।কোনো চিকিৎসায় সারছে না। কেউবা আবার যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত হলেও তারা বুঝতে পারছে না।’
ছয় বছর আগে জ্বরে ভুগতে শুরু করেন বগুড়ার এক ব্যবসায়ী হোসেন আলী (ছদ্মনাম)। শরীরে দেখা দেয় র্যাশ। কোনো চিকিৎসাতেই সারছিল না জ্বর; নিরাময় হচ্ছিল না র্যাশও। তিন মাসেই তাঁর ওজন কমে যায় ১৫ কেজি। এভাবে তিন বছর কাটার পর রক্ত পরীক্ষায় তাঁর এইডস শনাক্ত হয়। এখন তিনি শয্যাশায়ী।
হোসেন আলী বলেন, ‘আমি শুরুতেই যদি সমস্যা ও লক্ষণগুলো খুলে বলতাম, তাহলে হয়তো চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতাম।’ যৌনকর্মীর সঙ্গে মেলামেশার কারণেই এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিকিৎসককে জানান তিনি।
এ প্রতিবেদকের কথা হয় এইচআইভি পজিটিভ এক পুরুষ যৌনকর্মীর সঙ্গে। বারেক (ছদ্মনাম) নামের ওই সমকামী পুরুষ টাকার বিনিময়ে সমকামীদের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন।
বারেক বলেন, তিনি যে এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন শুরুতে তা বুঝতে পারেননি। প্রথমে তাঁর সঙ্গী আল ইমরান (ছদ্মনাম) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শজিমেক হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ইমরানের তথ্য নেয় এইচআইভি নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও। সেই এনজিওর প্রকল্পের অংশ হিসেবে আক্রান্ত রোগীর সহযোগীদের খুঁজে বের করা হয়। একে একে পরীক্ষা করা হয় সবাইকে। তখনই পজিটিভ শনাক্ত হন বারেক।
অধ্যাপক ছাইদুর বলেন, শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করলেও তা এইডসে রূপান্তরিত হতে সময় নেয়। শুরুতেই চিকিৎসা নিলে লাইফটাইম (সারা জীবন) সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
জয়পুরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সালেহা বেগম (৪৫) (ছদ্মনাম) জানান, এইডসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গেছেন। ভারতে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত থাকা ওই ব্যক্তি ভারত থেকেই নিয়ে এসেছিলেন এইচআইভি ভাইরাস। স্বামীর মাধ্যমে আক্রান্ত হন সালেহাও। তখন থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ২০১৯ সালে বগুড়ার শজিমেকে এইচটিসি সেন্টার চালু হলে তাঁকে সেখানে পাঠানো হয়। নিয়মিত ওষুধ সেবন করে এখন সুস্থ জীবন যাপন করছেন তিনি।
আইসিডিডিআরবির ব্যবস্থাপনায়, দ্য গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে এবং সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় এইডস ও এসটিডি কন্ট্রোলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বগুড়ায় এইচআইভি নিয়ে কাজ করছে লাইটহাউস নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। বর্তমানে সমকামী পুরুষ (এমএসএম), পুরুষ যৌনকর্মী (এমএসডব্লিউ) এবং তৃতীয় লিঙ্গের (টিজি) মানুষদের নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি।
হাসপাতালের এইচটিসি বিভাগ থেকে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে আসা সব পুরুষকে খুঁজে বের করে তাদের পরীক্ষা করা, আক্রান্তদের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো এবং তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের কাজ করেন এই এনজিওর কর্মীরা।
উত্তরবঙ্গে লাইটহাউসের কার্যালয় আছে রাজশাহী সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ সদর, পাবনা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর ও শেরপুর উপজেলা, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর ও হিলিতে। এসব কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে (২০২২) এই অঞ্চলে এইডসের উচ্চঝুঁকিতে আছেন ৮ হাজার ৫৬ জন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এঁদের মধ্যে সমকামী পুরুষ এবং পুরুষ যৌনকর্মী আছেন ৭ হাজার ৩৫৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৭০২ জন।
লাইটহাউসের বগুড়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক পারভেজ আলম বলেন, শারীরিক মেলামেশা নিয়ন্ত্রিত না হলে এ রোগের সংক্রমণ বাড়তে থাকবে আশঙ্কাজনকভাবে। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে উদ্যোগ নিয়ে যদি পুরুষ যৌনকর্মীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এইডসের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে