ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
শিক্ষাজীবনে এমন লম্বা বিরতি কখনো আসেনি। করোনার প্রভাবে চারদিকে দুঃখ-কষ্ট আর হতাশা। কবে কলেজে আবার ক্লাস শুরু হবে, কবে শেষ হবে অনার্স। এরপর ছুটতে হবে সরকারি চাকরির পেছনে। সামনে এক মহাযুদ্ধ! এসব দুশ্চিন্তা জেঁকে ধরেছিল ইমরানকে। তবে সমস্যা বেশি দূর এগোতে দেননি তিনি। ছোটবেলা থেকে কৃষক বাবাকে সঙ্গ দিতে দিতে কৃষিটা ভালোই শিখে নিয়েছিলেন। বরই চাষ করে অবশেষে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছেন ইমরান।
সাতক্ষীরা সদর থেকে ২০ কিলোমিটারের পথ কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন। হেলাতলার ব্রজাবাক্স গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হুসাইন (২৩)। সাতক্ষীরা সিটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তাঁর একটি সিদ্ধান্ত পরিবারে স্বচ্ছন্দ এনে দিয়েছে। গল্পটা আজকের পত্রিকাকে জানান ইমরান।
উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০১৭ সালে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে যুক্ত হন তিনি। সবজি চাষ করেও সংসারের অভাব যাচ্ছিল না। ২০১৮ সালে এসে ইমরান সিদ্ধান্ত নেন সবজির পরিবর্তে পেয়ারা বাগান করবেন। তিন বিঘা জমিতে বাপ-ছেলে মিলে ৩০০টি থাই-৩ জাতের পেয়ারার চারা রোপণ করেন। নিবিড় পরিচর্যায় গাছগুলো বেশ বেড়ে উঠছিল। পেয়ারা বিক্রি করে টুকটাক লাভও হচ্ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে লন্ডভন্ড হয়ে যায় পুরো পেয়ারা বাগান।
ইমরান বলেন, ‘একদিকে করোনায় তখন ক্লাস বন্ধ, অন্যদিকে বাগানটাও শেষ। মাঝে একবার ভেবেছিলাম ফ্রান্সে চলে যাব। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তাই আবার কৃষিতেই মন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আর এতেই সফলতা আসে।’
পেয়ারাবাগান নষ্ট হওয়ার পর ইমরান মন দেন বরইতে। এবার সাত বিঘা জমিতে বল কুল, টক কুল ও থাই আপেল জাতের চারা রোপণ করেন তিনি। এক বছর পরই গাছে ফল আসতে থাকে। চলতি মৌসুমে তাঁর বাগানে বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়। বিঘাপ্রতি ৭০-৭৫ মণ বড়ই হয়েছে। ইমরান জানান, প্রতি মণ সর্বনিম্ন ৪৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা দাম পড়ছে বাজারে। বিঘাপ্রতি খরচ ৬০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা বরইয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকা করে আসছে।
ইমরান বলেন, ‘একসময় আমিও ভেবেছি সরকারি চাকরি করব। এখন আর চাকরির কথা ভাবি না। আমি বাগান নিয়েই খুশি। আমার পরিবারের অভাবও নেই এখন।’
ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে আমি ধান ও বিভিন্ন মৌসুমি সবজি চাষ করতাম। ছেলের পরামর্শে প্রথমে পেয়ারা বাগান করি। পেয়ারা বাগান থেকে বেশ লাভ হচ্ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব নষ্ট হয়। যে কারণে আমরা কুল বাগান করি। এখন ভালোই লাভ আসছে।’
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পৌরসভা এবং সবকটি ইউনিয়নের সব জায়গায় কমবেশি কুল চাষ হয়। এর মধ্যে কেরালকাতা এবং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে হয় সবচেয়ে বেশি। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ৩২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩০০ হেক্টর জমিতে। ইমরানের মতো প্রায় সব চাষিকে আমরা উৎসাহ দিই, সহযোগিতা করি।’
শিক্ষাজীবনে এমন লম্বা বিরতি কখনো আসেনি। করোনার প্রভাবে চারদিকে দুঃখ-কষ্ট আর হতাশা। কবে কলেজে আবার ক্লাস শুরু হবে, কবে শেষ হবে অনার্স। এরপর ছুটতে হবে সরকারি চাকরির পেছনে। সামনে এক মহাযুদ্ধ! এসব দুশ্চিন্তা জেঁকে ধরেছিল ইমরানকে। তবে সমস্যা বেশি দূর এগোতে দেননি তিনি। ছোটবেলা থেকে কৃষক বাবাকে সঙ্গ দিতে দিতে কৃষিটা ভালোই শিখে নিয়েছিলেন। বরই চাষ করে অবশেষে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছেন ইমরান।
সাতক্ষীরা সদর থেকে ২০ কিলোমিটারের পথ কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন। হেলাতলার ব্রজাবাক্স গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হুসাইন (২৩)। সাতক্ষীরা সিটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তাঁর একটি সিদ্ধান্ত পরিবারে স্বচ্ছন্দ এনে দিয়েছে। গল্পটা আজকের পত্রিকাকে জানান ইমরান।
উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০১৭ সালে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে যুক্ত হন তিনি। সবজি চাষ করেও সংসারের অভাব যাচ্ছিল না। ২০১৮ সালে এসে ইমরান সিদ্ধান্ত নেন সবজির পরিবর্তে পেয়ারা বাগান করবেন। তিন বিঘা জমিতে বাপ-ছেলে মিলে ৩০০টি থাই-৩ জাতের পেয়ারার চারা রোপণ করেন। নিবিড় পরিচর্যায় গাছগুলো বেশ বেড়ে উঠছিল। পেয়ারা বিক্রি করে টুকটাক লাভও হচ্ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে লন্ডভন্ড হয়ে যায় পুরো পেয়ারা বাগান।
ইমরান বলেন, ‘একদিকে করোনায় তখন ক্লাস বন্ধ, অন্যদিকে বাগানটাও শেষ। মাঝে একবার ভেবেছিলাম ফ্রান্সে চলে যাব। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তাই আবার কৃষিতেই মন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আর এতেই সফলতা আসে।’
পেয়ারাবাগান নষ্ট হওয়ার পর ইমরান মন দেন বরইতে। এবার সাত বিঘা জমিতে বল কুল, টক কুল ও থাই আপেল জাতের চারা রোপণ করেন তিনি। এক বছর পরই গাছে ফল আসতে থাকে। চলতি মৌসুমে তাঁর বাগানে বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়। বিঘাপ্রতি ৭০-৭৫ মণ বড়ই হয়েছে। ইমরান জানান, প্রতি মণ সর্বনিম্ন ৪৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা দাম পড়ছে বাজারে। বিঘাপ্রতি খরচ ৬০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা বরইয়ে দেড় লক্ষাধিক টাকা করে আসছে।
ইমরান বলেন, ‘একসময় আমিও ভেবেছি সরকারি চাকরি করব। এখন আর চাকরির কথা ভাবি না। আমি বাগান নিয়েই খুশি। আমার পরিবারের অভাবও নেই এখন।’
ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে আমি ধান ও বিভিন্ন মৌসুমি সবজি চাষ করতাম। ছেলের পরামর্শে প্রথমে পেয়ারা বাগান করি। পেয়ারা বাগান থেকে বেশ লাভ হচ্ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব নষ্ট হয়। যে কারণে আমরা কুল বাগান করি। এখন ভালোই লাভ আসছে।’
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পৌরসভা এবং সবকটি ইউনিয়নের সব জায়গায় কমবেশি কুল চাষ হয়। এর মধ্যে কেরালকাতা এবং সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে হয় সবচেয়ে বেশি। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ৩২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩০০ হেক্টর জমিতে। ইমরানের মতো প্রায় সব চাষিকে আমরা উৎসাহ দিই, সহযোগিতা করি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে