কালিহাতী প্রতিনিধি
কালিহাতীর এলেঙ্গায় সরকারি শামসুল হক কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে টাকা কম নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ কলেজ থেকে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি ধরা হয়েছে (চতুর্থ বিষয়সহ) ২ হাজার ৩৩০ টাকা আর ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও মানবিক শাখার জন্য ১ হাজার ৭৭০ টাকা। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় কোনো শিক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে আরও ১৪০ টাকা করে দিতে হবে। এ ছাড়া নৈর্ব্যচনিক বিষয়েও ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে বিষয়প্রতি ১৪০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।
কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করে শামসুল হক কলেজে ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ হাজার, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নয়া মিয়া।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নয়া মিয়া বলেন, বিজ্ঞান বিভাগে মাত্র একজন শিক্ষক গণিতের, বাকি বিষয়গুলোর জন্য খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। এ রকম সব বিভাগেই শিক্ষক ও কর্মচারীর সংকট খণ্ডকালীন মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। তাঁদের সম্মানীর জোগান দিতে হচ্ছে এ আয় থেকে। তা ছাড়া, কলেজটি সরকারীকরণ হলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো সরকারি কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, এ বাড়তি টাকা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছ থেকে রেজ্যুলেশন করে নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী লাবণী আক্তার বলে, ‘শিক্ষকদের অনুরোধ করে মানবিক শাখায় সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি।’
এ ছাড়া রানা, সাদিক, খাদেমুলসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকেরা সাড়ে চার হাজার টাকার নিচে নিচ্ছেন না। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ৩৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কম দিতে চাইলে শিক্ষকেরা খারাপ আচরণ করেন। তবে মুখচেনা প্রভাবশালী নেতার পরিচয়ে কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, ‘ফরম পূরণে রেজ্যুলেশন করে দেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে পড়ছে না। তবে রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালিহাতীর এলেঙ্গায় সরকারি শামসুল হক কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে টাকা কম নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ কলেজ থেকে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি ধরা হয়েছে (চতুর্থ বিষয়সহ) ২ হাজার ৩৩০ টাকা আর ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও মানবিক শাখার জন্য ১ হাজার ৭৭০ টাকা। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় কোনো শিক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে আরও ১৪০ টাকা করে দিতে হবে। এ ছাড়া নৈর্ব্যচনিক বিষয়েও ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে বিষয়প্রতি ১৪০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।
কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করে শামসুল হক কলেজে ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচ হাজার, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নয়া মিয়া।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নয়া মিয়া বলেন, বিজ্ঞান বিভাগে মাত্র একজন শিক্ষক গণিতের, বাকি বিষয়গুলোর জন্য খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। এ রকম সব বিভাগেই শিক্ষক ও কর্মচারীর সংকট খণ্ডকালীন মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। তাঁদের সম্মানীর জোগান দিতে হচ্ছে এ আয় থেকে। তা ছাড়া, কলেজটি সরকারীকরণ হলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো সরকারি কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, এ বাড়তি টাকা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছ থেকে রেজ্যুলেশন করে নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী লাবণী আক্তার বলে, ‘শিক্ষকদের অনুরোধ করে মানবিক শাখায় সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি।’
এ ছাড়া রানা, সাদিক, খাদেমুলসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকেরা সাড়ে চার হাজার টাকার নিচে নিচ্ছেন না। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ৩৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কম দিতে চাইলে শিক্ষকেরা খারাপ আচরণ করেন। তবে মুখচেনা প্রভাবশালী নেতার পরিচয়ে কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, ‘ফরম পূরণে রেজ্যুলেশন করে দেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে পড়ছে না। তবে রশিদ ছাড়া টাকা আদায় করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে