রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ৭২৫ জন কৃষক। দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি থেকে যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকা পর্যন্ত সব ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যার সময় চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের একাংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় গোটা এলাকা তলিয়ে যায়।
ধনারচর নতুনগ্রাম নামক এলাকায় একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কর্তিমারী বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি বের হওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
যাদুরচর নতুনগ্রামের কৃষক শামছুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা থাকায় তাঁর দেড় বিঘা জমির সব ফসল নষ্ট গেছে। চাষে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। এভাবে পানি জমে থাকলে ভবিষ্যতে অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
ওই এলাকার কৃষক আনিছুর রহমান, নুর ইসলাম, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত বছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি মেরামত না করা এবং পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে বসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় বন্যার পানি ঢুকলেও তা আর বের হতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। আবাদ করতে না পারলে কী খেয়ে বাঁচব। এ চিন্তায় দিশেহারা আমরা। দ্রুত ওই এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী জানান, বন্যার সময় উপজেলার চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকায় বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়ে যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি, যাদুরচর নতুনগ্রাম ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতি হয় ১৯৫ হেক্টর জমির ফসল। জলাবদ্ধতা থাকায় বাকি ২৫০ হেক্টর জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। দ্রুত জলাবদ্ধতা দূরীকরণ না হলে নভেম্বর মাসে বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হলে রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।’ জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার কৃষকদের জন্য কিছুই করার নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত দরখাস্ত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হবে।
সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ৭২৫ জন কৃষক। দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি থেকে যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকা পর্যন্ত সব ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যার সময় চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের একাংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় গোটা এলাকা তলিয়ে যায়।
ধনারচর নতুনগ্রাম নামক এলাকায় একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কর্তিমারী বাজার এলাকায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি বের হওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
যাদুরচর নতুনগ্রামের কৃষক শামছুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা থাকায় তাঁর দেড় বিঘা জমির সব ফসল নষ্ট গেছে। চাষে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। এভাবে পানি জমে থাকলে ভবিষ্যতে অন্য কোনো ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
ওই এলাকার কৃষক আনিছুর রহমান, নুর ইসলাম, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত বছর বন্যায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি মেরামত না করা এবং পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে বসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় বন্যার পানি ঢুকলেও তা আর বের হতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। আবাদ করতে না পারলে কী খেয়ে বাঁচব। এ চিন্তায় দিশেহারা আমরা। দ্রুত ওই এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী জানান, বন্যার সময় উপজেলার চাক্তাবাড়ি-ধনারচর বেড়িবাঁধের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকায় বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়ে যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি, যাদুরচর নতুনগ্রাম ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি নামক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার ৭২৫ জন কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতি হয় ১৯৫ হেক্টর জমির ফসল। জলাবদ্ধতা থাকায় বাকি ২৫০ হেক্টর জমির সব ফসল নষ্ট হয়েছে। দ্রুত জলাবদ্ধতা দূরীকরণ না হলে নভেম্বর মাসে বীজতলা তৈরি করা সম্ভব হবে না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হলে রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।’ জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার কৃষকদের জন্য কিছুই করার নেই বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত দরখাস্ত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে