অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি চরণ আছে, ‘আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’। চিকিৎসকেরা যখন হৃদয়ের কথা বলেন, তখন হৃৎপিণ্ডের কথা বলেন, আর হৃৎপিণ্ডের সেবার কথা বলতে গেলে বাংলাদেশে সর্বাগ্রে যাঁর কথা বলতে হবে তিনি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালিক। ৯৪ বছর বয়সে ৫ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন।
স্বাধীনতার পর হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য ছিল কেবল পিজি হাসপাতালের ১টি ওয়ার্ড, ১টি সিসিইউ আর ২০টি বেড; সেটাও আবার মেডিসিন বিভাগের অংশ হিসেবে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যাঁরা হৃদ্রোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন, তাঁরাই হৃদরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতেন। বস্তুত সেই তখন থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্ডিওলজি (হৃদ্রোগ চিকিৎসা) মেডিসিন বিভাগের অংশ হিসেবেই কাজ করেছে। স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে একে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন অধ্যাপক ডা. আবদুল মালিক। কার্ডিওলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের ব্যবস্থা করেন; দেশের মানুষ সরাসরি কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সেবা লাভের সুযোগ লাভ করে।
তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পুরোনো ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট চালু করেন। এরপর একে হৃদ্রোগের জন্য পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। যার অনিবার্য ফল শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি)। ১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, যেটি বেসরকারি পর্যায়ের হয়েও সহনীয় মূল্যে উন্নতমানের হৃদ্রোগ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
ডা. আবদুল মালিক ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা লাভ করেন।
শৈশবেই বাবাকে হারিয়ে জীবনে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য চাকরিজীবনের শুরুতেই যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান আর্মি মেডিকেল কোরে। ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে রাওয়ালপিন্ডি কার্ডিয়াক সেন্টারে তাঁর নেতৃত্বে সম্পন্ন হয় পাকিস্তানের প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি। পাকিস্তান সরকার এ জন্য তাঁকে ও কর্নেল আকরামকে জাতীয় পুরস্কার দিয়েছিল।
সে বছরই তাঁকে মেজর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। তবু তাঁর মন পড়ে ছিল পূর্ব বাংলায়, জন্ম যে নিয়েছিলেন সিলেটে। তাঁর ভাবনা ছিল—হৃদ্রোগ চিকিৎসার এমন উন্নত সুবিধা পূর্ব বাংলায় নয় কেন? প্রেসিডেন্ট হেডকোয়ার্টারে কর্মরত জেনারেল পীরজাদা ছিলেন তাঁর রোগী। তাঁকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ডেপুটেশনে চলে আসেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। জুন মাসে যোগ দেন পিজি হাসপাতালে।
একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার সঙ্গে মালিক স্যারের নিবিড় যোগাযোগ ছিল। প্রতিকারমূলক (কিউরেটিভ) চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি তিনি হৃদ্রোগের প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (প্রিভেনটিভ হেলথ) নিয়ে আমৃত্যু কাজ করেছেন। সেটাই ছিল আমার সঙ্গে যোগসূত্র। কয়েক বছর জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালে কাজ করেছি। তখন স্যারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণেও তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকাকে তিনিই এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সেই সময় জাপানিরা বাংলাদেশে হৃদ্রোগের প্রকোপবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়েছিল। তখন তিনি পরিসংখ্যান ও গবেষণার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।
১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহায়তায় ঢাকার আশপাশের গ্রাম ও শিল্প এলাকায় জরিপ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, হৃদ্রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে উচ্চ রক্তচাপ, তারপর বাতজ্বর ও বাতজ্বরজনিত হৃদ্রোগ (হার্টের ভালব নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বিশুদ্ধ ও দূষিত রক্ত মিশ্রিত হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে)। তখন থেকে তিনি যুক্ত হন হৃদ্রোগের বড় বড় গবেষণার সঙ্গে।
পরবর্তী সময়ে তিনি হৃদ্রোগ ছাড়াও বাংলাদেশে ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়া বিবিধ অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ক্যানসার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি নিরূপণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রণীত ‘স্টেপ ২০১৮’ শীর্ষক জাতীয় গবেষণাকর্মের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছিলাম, তখন ছিলাম নিপসমে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তিনটি ‘স্টেপ’ই সম্পন্ন করা হয়েছিল। স্যার উচ্ছ্বসিত হয়ে আমাদের বাহবা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বক্তব্যে ও রচনায় তিনি নিয়মিত ‘স্টেপ ২০১৮ ’-এর ডেটা ব্যবহার করছেন। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। দেশের দিকপাল চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমি নিজেও সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছিল।
আজ দেশজুড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতালে ‘এনসিডি কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যেমন এনসিডির সমন্বিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তেমনি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ডা. মালিকের একটা মূল্যবান কথা দিয়ে শেষ করছি, ‘মানুষ তার জন্মের জন্য মোটেও দায়ী নয়। কিন্তু তার কর্মের জন্য অবশ্যই দায়ী। তাই যে যেখানে জন্ম নিয়েছে, যেখানে আছে, যে কাজ করছে, তা যেন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে করে, সেটাই সবচেয়ে বড় কর্ম।’
তিনি যখন যেখানে ছিলেন, নিজ কর্মগুণে সেখানে ভালো ছিলেন। এখন যেখানে গেলেন, আমরা নিশ্চিত, সেখানেও তিনি ভালো থাকবেন।
অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও গীতিকার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি চরণ আছে, ‘আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’। চিকিৎসকেরা যখন হৃদয়ের কথা বলেন, তখন হৃৎপিণ্ডের কথা বলেন, আর হৃৎপিণ্ডের সেবার কথা বলতে গেলে বাংলাদেশে সর্বাগ্রে যাঁর কথা বলতে হবে তিনি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালিক। ৯৪ বছর বয়সে ৫ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন।
স্বাধীনতার পর হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য ছিল কেবল পিজি হাসপাতালের ১টি ওয়ার্ড, ১টি সিসিইউ আর ২০টি বেড; সেটাও আবার মেডিসিন বিভাগের অংশ হিসেবে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যাঁরা হৃদ্রোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন, তাঁরাই হৃদরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতেন। বস্তুত সেই তখন থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্ডিওলজি (হৃদ্রোগ চিকিৎসা) মেডিসিন বিভাগের অংশ হিসেবেই কাজ করেছে। স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে একে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন অধ্যাপক ডা. আবদুল মালিক। কার্ডিওলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের ব্যবস্থা করেন; দেশের মানুষ সরাসরি কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সেবা লাভের সুযোগ লাভ করে।
তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পুরোনো ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট চালু করেন। এরপর একে হৃদ্রোগের জন্য পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। যার অনিবার্য ফল শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি)। ১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, যেটি বেসরকারি পর্যায়ের হয়েও সহনীয় মূল্যে উন্নতমানের হৃদ্রোগ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
ডা. আবদুল মালিক ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা লাভ করেন।
শৈশবেই বাবাকে হারিয়ে জীবনে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য চাকরিজীবনের শুরুতেই যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান আর্মি মেডিকেল কোরে। ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে রাওয়ালপিন্ডি কার্ডিয়াক সেন্টারে তাঁর নেতৃত্বে সম্পন্ন হয় পাকিস্তানের প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি। পাকিস্তান সরকার এ জন্য তাঁকে ও কর্নেল আকরামকে জাতীয় পুরস্কার দিয়েছিল।
সে বছরই তাঁকে মেজর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। তবু তাঁর মন পড়ে ছিল পূর্ব বাংলায়, জন্ম যে নিয়েছিলেন সিলেটে। তাঁর ভাবনা ছিল—হৃদ্রোগ চিকিৎসার এমন উন্নত সুবিধা পূর্ব বাংলায় নয় কেন? প্রেসিডেন্ট হেডকোয়ার্টারে কর্মরত জেনারেল পীরজাদা ছিলেন তাঁর রোগী। তাঁকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ডেপুটেশনে চলে আসেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। জুন মাসে যোগ দেন পিজি হাসপাতালে।
একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমার সঙ্গে মালিক স্যারের নিবিড় যোগাযোগ ছিল। প্রতিকারমূলক (কিউরেটিভ) চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি তিনি হৃদ্রোগের প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (প্রিভেনটিভ হেলথ) নিয়ে আমৃত্যু কাজ করেছেন। সেটাই ছিল আমার সঙ্গে যোগসূত্র। কয়েক বছর জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালে কাজ করেছি। তখন স্যারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণেও তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকাকে তিনিই এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সেই সময় জাপানিরা বাংলাদেশে হৃদ্রোগের প্রকোপবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়েছিল। তখন তিনি পরিসংখ্যান ও গবেষণার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।
১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সহায়তায় ঢাকার আশপাশের গ্রাম ও শিল্প এলাকায় জরিপ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, হৃদ্রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে উচ্চ রক্তচাপ, তারপর বাতজ্বর ও বাতজ্বরজনিত হৃদ্রোগ (হার্টের ভালব নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বিশুদ্ধ ও দূষিত রক্ত মিশ্রিত হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে)। তখন থেকে তিনি যুক্ত হন হৃদ্রোগের বড় বড় গবেষণার সঙ্গে।
পরবর্তী সময়ে তিনি হৃদ্রোগ ছাড়াও বাংলাদেশে ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়া বিবিধ অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ক্যানসার ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি নিরূপণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রণীত ‘স্টেপ ২০১৮’ শীর্ষক জাতীয় গবেষণাকর্মের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছিলাম, তখন ছিলাম নিপসমে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তিনটি ‘স্টেপ’ই সম্পন্ন করা হয়েছিল। স্যার উচ্ছ্বসিত হয়ে আমাদের বাহবা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বক্তব্যে ও রচনায় তিনি নিয়মিত ‘স্টেপ ২০১৮ ’-এর ডেটা ব্যবহার করছেন। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। দেশের দিকপাল চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমি নিজেও সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছিল।
আজ দেশজুড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতালে ‘এনসিডি কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যেমন এনসিডির সমন্বিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তেমনি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ডা. মালিকের একটা মূল্যবান কথা দিয়ে শেষ করছি, ‘মানুষ তার জন্মের জন্য মোটেও দায়ী নয়। কিন্তু তার কর্মের জন্য অবশ্যই দায়ী। তাই যে যেখানে জন্ম নিয়েছে, যেখানে আছে, যে কাজ করছে, তা যেন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে করে, সেটাই সবচেয়ে বড় কর্ম।’
তিনি যখন যেখানে ছিলেন, নিজ কর্মগুণে সেখানে ভালো ছিলেন। এখন যেখানে গেলেন, আমরা নিশ্চিত, সেখানেও তিনি ভালো থাকবেন।
অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও গীতিকার
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২২ মিনিট আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২৮ মিনিট আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১ ঘণ্টা আগে