হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
নগরীর বায়েজিদের পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজার নাগিন পাহাড়ের উত্তর-পূর্ব পাশে পাহাড় কেটে আট তলা ভবন নির্মাণ করেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম সুমন। পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরির দীর্ঘ সময়েও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। বাড়ির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর গত বছরের ৩ অক্টোবর তাঁকে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি।
একই পাহাড় কেটে ছয় তলা আরেকটি ভবন নির্মাণ করেন মো. আমির হোসেন। তিনিসহ কয়েকজন সেখানে গড়ে তোলেন গ্রিন ভ্যালি হাউজিং সোসাইটি। পুরো সোসাইটি পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি নজরে আসায় গত সেপ্টেম্বরে ওই হাউজিং সোসাইটির ১০ ভবন মালিককে জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
তাঁদের মতোই পাহাড় কেটে নাগিন পাহাড়ে টিনশেডের ঘর থেকে শুরু করে বহুতল ভবন তৈরি করেছেন অন্তত ৩৮ জন। তিন দফায় তাঁদের মোট ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ১০ জনকে ৩২ লাখ ৩০ হাজার, গত ৩ অক্টোবর ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বশেষ ২১ নভেম্বর ১৫ জনকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু যখন তাঁরা ওই পাহাড়টি কেটে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংস্থাটি। প্রতিটি পাহাড় কাটার ঘটনায় প্রথমে নিষ্ক্রিয় থাকে অধিদপ্তর। পাহাড় কেটে ফেলার পর জরিমানা করেই দায় সারেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনি পরিচালক স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
পরে সংস্থাটির চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬-এর (খ) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম নগরীর এ কে খান, পাহাড়তলী ও বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পাহাড় কাটা চলছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তায় কারণে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগরী থেকে অসংখ্য পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১২৩টি পাহাড় কাটা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি এখানে সরকারি সংস্থাগুলোও পাহাড় কাটছে। এতে নষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বছরখানেক আগে ১৮টি পাহাড় কেটে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড তৈরি করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আর এই সড়ককে ঘিরে এখনো কাটা হচ্ছে পাহাড়। যাতায়াত সহজ হওয়ায় অনেকে কম টাকায় পাহাড়ি জমি কিনছেন। তাঁদের বেশির ভাগই পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলছেন। এমনকি পাহাড় কেটে রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিও।
পাহাড় সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তর উদাসীন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, কেউ পাহাড় কেটে শেষ করে ফেলার পর সংস্থাটি জরিমানা করেন। এ ক্ষেত্রেও গড়িমসি করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, ‘পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনার পর সব দায় পড়ে জেলা প্রশাসনের ওপর। এ জন্য আমরা বর্ষাকালে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। অথচ এই কাজটাও করার কথা পরিবেশ অধিদপ্তরের। তাঁরা এটাও ঠিকমতো করেন না।’
নগরীর বায়েজিদের পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজার নাগিন পাহাড়ের উত্তর-পূর্ব পাশে পাহাড় কেটে আট তলা ভবন নির্মাণ করেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম সুমন। পাহাড় কাটা থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরির দীর্ঘ সময়েও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। বাড়ির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর গত বছরের ৩ অক্টোবর তাঁকে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি।
একই পাহাড় কেটে ছয় তলা আরেকটি ভবন নির্মাণ করেন মো. আমির হোসেন। তিনিসহ কয়েকজন সেখানে গড়ে তোলেন গ্রিন ভ্যালি হাউজিং সোসাইটি। পুরো সোসাইটি পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি নজরে আসায় গত সেপ্টেম্বরে ওই হাউজিং সোসাইটির ১০ ভবন মালিককে জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
তাঁদের মতোই পাহাড় কেটে নাগিন পাহাড়ে টিনশেডের ঘর থেকে শুরু করে বহুতল ভবন তৈরি করেছেন অন্তত ৩৮ জন। তিন দফায় তাঁদের মোট ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ১০ জনকে ৩২ লাখ ৩০ হাজার, গত ৩ অক্টোবর ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বশেষ ২১ নভেম্বর ১৫ জনকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু যখন তাঁরা ওই পাহাড়টি কেটে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংস্থাটি। প্রতিটি পাহাড় কাটার ঘটনায় প্রথমে নিষ্ক্রিয় থাকে অধিদপ্তর। পাহাড় কেটে ফেলার পর জরিমানা করেই দায় সারেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনি পরিচালক স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
পরে সংস্থাটির চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬-এর (খ) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রাম নগরীর এ কে খান, পাহাড়তলী ও বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পাহাড় কাটা চলছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তায় কারণে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম নগরী থেকে অসংখ্য পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১২৩টি পাহাড় কাটা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি এখানে সরকারি সংস্থাগুলোও পাহাড় কাটছে। এতে নষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বছরখানেক আগে ১৮টি পাহাড় কেটে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড তৈরি করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আর এই সড়ককে ঘিরে এখনো কাটা হচ্ছে পাহাড়। যাতায়াত সহজ হওয়ায় অনেকে কম টাকায় পাহাড়ি জমি কিনছেন। তাঁদের বেশির ভাগই পাহাড় কেটে সাবাড় করে ফেলছেন। এমনকি পাহাড় কেটে রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিও।
পাহাড় সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তর উদাসীন বলে মন্তব্য করেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, কেউ পাহাড় কেটে শেষ করে ফেলার পর সংস্থাটি জরিমানা করেন। এ ক্ষেত্রেও গড়িমসি করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, ‘পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনার পর সব দায় পড়ে জেলা প্রশাসনের ওপর। এ জন্য আমরা বর্ষাকালে পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। অথচ এই কাজটাও করার কথা পরিবেশ অধিদপ্তরের। তাঁরা এটাও ঠিকমতো করেন না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে