কামাল হোসেন, কয়রা
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যাসংখ্যার প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে। এ কারণে সেবা নিতে আসা রোগীদের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে থাকতে হচ্ছে বারান্দা ও মেঝেতে। ফলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি ভবন রয়েছে। একটি ৩১ শয্যা ও অন্যটি ১৯ শয্যাবিশিষ্ট। গত বছরের জুলাই মাসে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার স্থলে নতুন ভবন তৈরি না হওয়ায় ১৯ শয্যাবিশিষ্ট ভবনে চলছে ৫০ শয্যার সেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পরবর্তীকালে ১৯ শয্যার জন্য ২০১১ সালে তিনতলা বিশিষ্ট আরও একটি ভবন নির্মিত হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন প্রেষণে খুলনা জেলা সদরে রয়েছেন।
গত সোমবার দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গাটি পড়ে রয়েছে। ১৯ শয্যার ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা। ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বারান্দায়, মেঝে, চিলিকোঠায়, ওটি রুমের সামনে ও ডেলিভারি রুমের পাশে রাখা হয়েছে রোগীদের। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীর আত্মীয়স্বজনকে। দ্বিতীয় তলায় বাথরুম না থাকায় নিচতলায় গিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাদারবাড়ীয়া গ্রামের আহাম্মদ আলী সানা (৭০) বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। রুমে কোনো জায়গা না পেয়ে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে লোকজন যাওয়া-আসা করায় সমস্যা হচ্ছে। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের ঝামেলায় ঘুমও আসছে না।’ পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি বারোপোতা গ্রামের ফতেমা খাতুন (৪০) বলেন, ‘নারী-পুরুষ সব এক জায়গায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। কী আর করার। দ্বিতীয় তলায় বাথরুম না থাকায় সব চেয়ে কষ্ট হচ্ছে নিচতলায় গিয়ে বাথরুম ব্যবহার করতে।’
সিনিয়র নার্স শ্যামলী বলেন, ‘ভবনের সংকটে বারান্দা, মেঝে ও যেখানে একটু জায়গা খালি আছে, সেখানেই রোগীকে রাখতে হচ্ছে। চিকিৎসা দিতে আমাদের বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। কী আর করার, এভাবেই চলতে হচ্ছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুদীপ বালা বলেন, ‘১৯৬৪ সালে নির্মিত ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নতুন ভবন অনুমোদন হলেও নির্মাণ করতে কত দিন লাগবে, জানি না। সে কারণে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে বিকল্প একটা ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’ খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ জানান, নতুন ভবন অনুমোদন হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যাসংখ্যার প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি আছে। এ কারণে সেবা নিতে আসা রোগীদের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে থাকতে হচ্ছে বারান্দা ও মেঝেতে। ফলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি ভবন রয়েছে। একটি ৩১ শয্যা ও অন্যটি ১৯ শয্যাবিশিষ্ট। গত বছরের জুলাই মাসে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার স্থলে নতুন ভবন তৈরি না হওয়ায় ১৯ শয্যাবিশিষ্ট ভবনে চলছে ৫০ শয্যার সেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পরবর্তীকালে ১৯ শয্যার জন্য ২০১১ সালে তিনতলা বিশিষ্ট আরও একটি ভবন নির্মিত হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন প্রেষণে খুলনা জেলা সদরে রয়েছেন।
গত সোমবার দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গাটি পড়ে রয়েছে। ১৯ শয্যার ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা। ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বারান্দায়, মেঝে, চিলিকোঠায়, ওটি রুমের সামনে ও ডেলিভারি রুমের পাশে রাখা হয়েছে রোগীদের। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীর আত্মীয়স্বজনকে। দ্বিতীয় তলায় বাথরুম না থাকায় নিচতলায় গিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাদারবাড়ীয়া গ্রামের আহাম্মদ আলী সানা (৭০) বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। রুমে কোনো জায়গা না পেয়ে বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে লোকজন যাওয়া-আসা করায় সমস্যা হচ্ছে। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের ঝামেলায় ঘুমও আসছে না।’ পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি বারোপোতা গ্রামের ফতেমা খাতুন (৪০) বলেন, ‘নারী-পুরুষ সব এক জায়গায় থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। কী আর করার। দ্বিতীয় তলায় বাথরুম না থাকায় সব চেয়ে কষ্ট হচ্ছে নিচতলায় গিয়ে বাথরুম ব্যবহার করতে।’
সিনিয়র নার্স শ্যামলী বলেন, ‘ভবনের সংকটে বারান্দা, মেঝে ও যেখানে একটু জায়গা খালি আছে, সেখানেই রোগীকে রাখতে হচ্ছে। চিকিৎসা দিতে আমাদের বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। কী আর করার, এভাবেই চলতে হচ্ছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুদীপ বালা বলেন, ‘১৯৬৪ সালে নির্মিত ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নতুন ভবন অনুমোদন হলেও নির্মাণ করতে কত দিন লাগবে, জানি না। সে কারণে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে বিকল্প একটা ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’ খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ জানান, নতুন ভবন অনুমোদন হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে