সম্পাদকীয়
মোহিতলাল মজুমদার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিংশ শতাব্দীর একজন কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক। প্রথম জীবনে কবিতা লিখলেও পরবর্তী জীবনে সাহিত্য সমালোচক হিসেবেই তিনি খ্যাতি লাভ করেন।
তিনি তাঁর সমালোচনামূলক প্রবন্ধগুলো ‘কৃত্তিবাস ওঝা’, ‘সব্যসাচী’, ‘শ্রী সত্যসুন্দর দাস’ ইত্যাদি ছদ্মনামে লিখতেন।
মোহিতলাল মজুমদারের জন্ম ১৮৮৮ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কাঁচড়াপাড়া গ্রামে। তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলির বলাগড়ে। ছোটবেলায় তিনি কিছুদিন কাঁচড়াপাড়ার কাছে হালিশহরের এক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ৪-৫ বছর বয়সে কাশীরাম দাসের মহাভারতের সঙ্গে পরিচিত হন। ৯ বছর বয়সে তাঁর রোমান্স-পাঠে আগ্রহ জন্মায়। ১২-১৩ বছর বয়সে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ পড়ে শেষ করেন।
বলাগড় বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস এবং কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে বিএ পাস করেন মোহিতলাল। কিন্তু অজ্ঞাত সমস্যার কারণে এমএ ভর্তি হয়েও পড়া ছেড়ে দেন। তিনি কলকাতা হাইস্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। মাঝে কিছুদিন সেটেলমেন্ট অফিসে কানুনগো পদে কাজ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
বাংলা কাব্যে বিশেষ করে আরবি-ফারসি শব্দ প্রয়োগে মোহিতলালের বিশেষ কৃতিত্ব ছিল। তিনি ইংরেজি সাহিত্যেও সুপণ্ডিত ছিলেন। বাংলা ছন্দ ও অলংকার বিষয়ে ছিল তাঁর বিশেষ পাণ্ডিত্য। তিনি প্রথম দিকে রবীন্দ্র অনুরাগী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ‘শনিবারের চিঠি’র দলে যোগ দিয়ে তিনি রবীন্দ্রবিরোধী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ আসনে মাইকেল ও বঙ্কিমচন্দ্রকে বসানোর চেষ্টা করেন।
মৌলিক গ্রন্থ, সমালোচনা ও সম্পাদিত গ্রন্থ মিলিয়ে মোহিতলাল মজুমদারের প্রকাশিত গ্রন্থ অনেক। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো: স্বপন পসারী, স্মরগরল, আধুনিক বাংলা সাহিত্য, বাংলা কবিতার ছন্দ, কবি শ্রীমধুসূদন, সাহিত্য বিচার, বাংলা ও বাঙ্গালী প্রভৃতি। বঙ্গদর্শন পত্রিকা তৃতীয় পর্যায়ে মোহিতলালই প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন।
তিনি ১৯৫২ সালের ২৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
মোহিতলাল মজুমদার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিংশ শতাব্দীর একজন কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক। প্রথম জীবনে কবিতা লিখলেও পরবর্তী জীবনে সাহিত্য সমালোচক হিসেবেই তিনি খ্যাতি লাভ করেন।
তিনি তাঁর সমালোচনামূলক প্রবন্ধগুলো ‘কৃত্তিবাস ওঝা’, ‘সব্যসাচী’, ‘শ্রী সত্যসুন্দর দাস’ ইত্যাদি ছদ্মনামে লিখতেন।
মোহিতলাল মজুমদারের জন্ম ১৮৮৮ সালের ২৬ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কাঁচড়াপাড়া গ্রামে। তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলির বলাগড়ে। ছোটবেলায় তিনি কিছুদিন কাঁচড়াপাড়ার কাছে হালিশহরের এক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ৪-৫ বছর বয়সে কাশীরাম দাসের মহাভারতের সঙ্গে পরিচিত হন। ৯ বছর বয়সে তাঁর রোমান্স-পাঠে আগ্রহ জন্মায়। ১২-১৩ বছর বয়সে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ পড়ে শেষ করেন।
বলাগড় বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস এবং কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে বিএ পাস করেন মোহিতলাল। কিন্তু অজ্ঞাত সমস্যার কারণে এমএ ভর্তি হয়েও পড়া ছেড়ে দেন। তিনি কলকাতা হাইস্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। মাঝে কিছুদিন সেটেলমেন্ট অফিসে কানুনগো পদে কাজ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
বাংলা কাব্যে বিশেষ করে আরবি-ফারসি শব্দ প্রয়োগে মোহিতলালের বিশেষ কৃতিত্ব ছিল। তিনি ইংরেজি সাহিত্যেও সুপণ্ডিত ছিলেন। বাংলা ছন্দ ও অলংকার বিষয়ে ছিল তাঁর বিশেষ পাণ্ডিত্য। তিনি প্রথম দিকে রবীন্দ্র অনুরাগী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ‘শনিবারের চিঠি’র দলে যোগ দিয়ে তিনি রবীন্দ্রবিরোধী হয়ে ওঠেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ আসনে মাইকেল ও বঙ্কিমচন্দ্রকে বসানোর চেষ্টা করেন।
মৌলিক গ্রন্থ, সমালোচনা ও সম্পাদিত গ্রন্থ মিলিয়ে মোহিতলাল মজুমদারের প্রকাশিত গ্রন্থ অনেক। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো: স্বপন পসারী, স্মরগরল, আধুনিক বাংলা সাহিত্য, বাংলা কবিতার ছন্দ, কবি শ্রীমধুসূদন, সাহিত্য বিচার, বাংলা ও বাঙ্গালী প্রভৃতি। বঙ্গদর্শন পত্রিকা তৃতীয় পর্যায়ে মোহিতলালই প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন।
তিনি ১৯৫২ সালের ২৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে